somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নূর মোহাম্মদ নূরু
নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

প্রভাবশালী জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্ক্সবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্সএর ১৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগানে যিনি শোষিত-বঞ্চিত মেহনতি মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, তিনি সমাজবিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কার্ল মার্ক্স। কয়েক বছর আগে অবধি ইউরোপের মানুষদের ধারণা ছিল: মার্ক্সিজম’এর দিন শেষ হয়েছে৷ কিন্তু কার্ল মার্ক্স অর্থনৈতিক শোষণ এবং অন্যায়ের যে সমালোচনা করেছিলেন, বর্তমান আর্থিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে তা খুবই বাস্তব মনে হতে পারে ৷ আজ আমরা বিশ্বের অর্থবাজারগুলিতে যা দেখছি, তা মার্ক্সের দেখা বিকাশধারারই একটি অংশ। তিনি দেখেছিলেন, পুঁজির চাহিদা ক্রমেই বাড়তে থাকবে৷ উৎপাদনের বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব পুষিয়ে দিতে ক্রমেই আরো বেশি পুঁজির প্রয়োজন পড়বে৷ অথচ এই পুঁজি উৎপাদনে বিনিয়োগ না করে, প্রধানত শেয়ারে এবং মুনাফাবাজিতেই বিনিয়োগ করা হবে৷ জীবিত অবস্থায় সেভাবে পরিচিত না হলেও মৃত্যুর পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। বিংশ শতাব্দীতে সমগ্র মানব সভ্যতা মার্ক্সের তত্ত্ব দ্বারা প্রবলভাবে আলোড়িত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতনের পর এ তত্ত্বের জনপ্রিয়তা কমে গেলেও তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে মার্ক্সবাদ এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ এই সমাজ বিজ্ঞানীর মৃ্ত্যুবার্ষিকী। ১৮৮৩ সালের আজকের তিনি তিনি লণ্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ১৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। মার্ক্সবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্স এর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।


কার্ল মার্ক্স ১৮১৮ সালের ৫ মে তৎকালীন প্রুশিয়া সম্রাজ্যের নিম্ন রাইন প্রদেশের অন্তর্গত ত্রিভস শহরের এক সচ্ছল মধ্যবিত্ত ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হার্শেল মার্ক্স পেশায় আইনজীবী ছিলেন। তার পূর্বপুরুষ যদিও ইহুদি ধর্মাবলম্বী ছিলেন, কিন্তু মার্ক্স জন্মাবার পরে তার পরিবার খ্রিষ্টান (প্রটেস্টান্ট) ধর্মে দীক্ষিত হয়। ছোট বেলা থেকে মার্ক্স ভালো ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কার্ল মার্ক্স ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াশোনা করেন। বাল্যপাঠ শেষে Trier Gymnasium এ ভর্তি হন এবং ১৭ বছর বয়সে সেখান থেকে স্নাতক হন। এরপর ইউনিভার্সিটি অফ বন-এ আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। তিনি ছিলেন একজন স্বভাব কবি। তার ইচ্ছা ছিল সাহিত্য ও দর্শন নিয়ে পড়া, কিন্তু তার বাবা মনে করতেন কার্ল স্কলার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবে না। কিছুদিনের মধ্যেই তার বাবা তাকে বার্লিনের Humboldt-Universität এ বদলি করিয়ে দেন। সে সময় মার্ক্স জীবন নিয়ে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন, তার লেখার ভাষা ছিল বাবার কাছ থেকে পাওয়া ধর্মতাত্ত্বিক তথা অতিবর্তী ঈশ্বরবাদের ভাষা। এ সময়ই তরুণ হেগেলিয়ানদের নাস্তিকতাবাদ গ্রহণ করেন। ১৮৪১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।


(কার্ল মার্ক্স ও তার স্ত্রী জেনি ভন ভেস্তফানেল)
শিক্ষাজীবন শেষে তিনি রাইনল্যান্ডের যুবকদের দ্বারা পরিচালিত ‘রাইন অঞ্চলের সংবাদ পত্র’ নামক পত্রিকায় যোগ দেন এবং ১৮৪২ সালে তার সম্পাদক নিযুক্ত হন। সম্পাদক হিসাবে যোগ দেয়ার পর থেকেই ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে কাগজটির প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন সরকার পত্রিকাটি বন্ধ করে দেন। এই সময় মার্ক্স অর্থশাস্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার পাঠ নেওয়া শুরু করেন। ১৮৪৩ সাল মার্ক্সে তার প্রেমিকা জেনি ভন ভেস্তফানেলকে বিয়ে করেন এবং সে বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি প্যারিসে আসেন। এ শহর তখন জার্মান, ব্রিটিশ, পোলীয় ও ইতালীয় বিপ্লবীদের সদর দফতর হয়ে উঠেছিল। তিনি প্যারিসে গিয়েছিলেন মূলত জার্মান বিপ্লবী Arnold Ruge এর সাথে Deutsch-Französische Jahrbücher-এর উপর কাজ করতে। এখান থেকেই তিনি শুরু করেন অপরিসীম দারিদ্র ও ইউরোপীয় শক্তিশালী রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই। আর মার্ক্সের এই সংগ্রামে তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান তার অকৃত্রিম বন্ধু ও সহযোগী ফ্রেডরিক এঙ্গেলস। ১৮৪৪ সালের ২৮শে অক্টোবর মার্ক্স ও এঙ্গেল্‌স প্যারিসের Café de la Régence-তে তাদের বন্ধুত্ব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা ঘটান। এটা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক বন্ধুত্বের একটি। Deutsch-Französische Jahrbücher-এর পতন হওয়ার পর মার্ক্স প্যারিসের সবচেয়ে প্রগতিশীল জার্মান পত্রিকায় ("লিগ অফ দ্য জাস্ট" নামক গোপনীয় সমাজ এটা প্রকাশ করতো) একটি প্রবন্ধ লিখেন। এই প্রবন্ধের বিষয় ছিল "ইহুদি প্রশ্ন" এবং হেগেল। লেখালেখির বাইরে মার্ক্সের সময় কাটতো ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাস, Pierre-Joseph Proudhon এর রচনা এবং গ্রাম্য প্রোলেতারিয়াদের কথা পড়ে। ১৮৪৫ সালে প্রাশিয়ার সরকারের ষড়যন্ত্রে তিনি প্যারিস থেকে পরিবার সমেত বিতাড়িত হন এবং তিনি চলে যেতে বাধ্য হন ব্রাসেলস-এ। ১৮৪৭ সালে মার্ক্স ও এঙ্গেলস কম্যুনিস্ট লিগে যোগ দেন এবং সেই বছরই এঙ্গেলস-এর সহযোগিতায় যৌথভাবে রচনা করেন শ্রমিক শ্রেণীর অমোঘ হাতিয়ার ‘The Communist Manifesto’। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলোঃ The Capital, Value Price And Profit, The Critique Of Political Economy, The Proverty Of Philosophy । তবে তার Communist Manifesto একটি অমর সৃষ্টি যাকে অনেকে ‘সর্বকালের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলিল’ বলে অভিয়িত করেছেন।


১৮৪৮ সালে ইউরোপ জুড়ে প্রচুর বিপ্লব সংঘটিত হয়। অনেক কিছুই বদলে যায়। মার্ক্সকে বন্দী করা হয় এবং পরবর্তীতে বেলজিয়াম থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরই মধ্যে বিপ্লবীরা ফ্রান্সের রাজা লুই-ফিলিপ কে রাজি করিয়ে মার্ক্সকে প্যারিসে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে। রাজার আমন্ত্রণেই তিনি প্যারিসে প্রত্যাবর্তন করেন। এ সময় প্যারিসে জুন ডেইস আপরাইজিং নামে পরিচিত বিপ্লবটি সংঘটিত হয়। প্যারিসে জুন ডেইস আপরাইজিং শেষ হওয়ার পর ১৮৪৯ সালে মার্ক্স জার্মানির Cologne শহরে ফিরে যান এবং Neue Rheinische Zeitung পত্রিকাটি প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই পত্রিকা প্রকাশকালীন সময়েই তাকে দুই বার অভিযুক্ত করা হয়। একসময় পত্রিকাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় এবং তাকে প্যারিসে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু প্যারিস তাকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়, অগত্যা ১৮৪৯ সালের মে মাসে কার্ল মার্ক্স লন্ডনে চলে যান এবং এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। ১৮৫১ সালে নিউ ইয়র্ক ট্রিবিউন-এর স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৮৫৫ সালে মার্ক্স পরিবারের সন্তান এডগার যক্ষ্ণায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ১৮৫৭ সালে ৮০০ পৃষ্ঠার একটি পাণ্ডুলিপির কাজ শেষ করেন যাতে মূলধন, ল্যান্ডেড প্রোপার্টি, মজুরি শ্রম, রাষ্ট্র, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বিশ্ব বাজার বিষয়গুলো স্থান পায়। এই পাণ্ডুলিপিটি ১৯৪১ সালে Grundrisse der Kritik der Politischen Ökonomie (রাজনৈতিক অর্থনীতির সমালোচনার সাধারণ পরিচিতি) নামে প্রকাশিত হয়। বইটির সংক্ষিপ্ত নাম ছিল Grundrisse। ১৮৫৯ সালে প্রকাশ করেন কন্ট্রিবিউশন টু দ্য ক্রিটিক অফ পলিটিক্যাল ইকোনমি যা তার অর্থনীতি বিষয়ক পরিপক্ক প্রকাশনাগুলোর মধ্যে প্রথম হিসেবে বিবেচিত হয়। একইসাথে সংবাদ প্রতিবেদক হিসেবে মার্ক্স মার্কিন গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-১৯৬৫) ইউনিয়ন কারণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন। ১৮৬০-এর দশকের প্রথম দিকে মার্ক্স তিনটি খণ্ড রচনা শেষ করেন। প্রথম খণ্ডের নাম থিওরিস অফ সারপ্লাস ভ্যালু। এর প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল কয়েকজন রাজনৈতিক অর্থনীতি তাত্ত্বিকদের (বিশেষত অ্যাডাম স্মিথ ও ডেভিড রিকার্ডো) মতবাদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড মার্ক্সের জীবদ্দশায় পাণ্ডুলিপি পর্যায়েই থেকে যায়। তাঁর মৃত্যুর পর এঙ্গেলস এগুলো সমাপ্ত করেন এবং প্রকাশ করেন।


জীবনের শেষ দশকে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, আগের মত প্রত্যয়ী বুদ্ধবৃত্তিক আন্দোলন পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়েন। ১৮৮১ সালের ডিসেম্বরে জেনি মারা যাওয়ার পর মার্ক্স এক ধরণের catarrh-য় আক্রান্ত হন। এই রোগ তাকে জীবনের শেষ ১৫ মাস অসুস্থ করে রাখে। এই রোগ পরবর্তীতে ব্রঙ্কাইটিস ও সব শেষে pleurisy তে পরিণত হয়। এই pleurisy-র কারণেই ১৮৮৩ সালের ১৪ই মার্চ তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় মার্ক্সের কোন জাতীয়তা তথা দেশ ছিল না, তাকে ১৭ই মার্চ লন্ডনের হাইগেট সেমিটারি-তে সমাহিত করা হয়। তার সমাধি ফলকে দুটি বাক্য লেখা আছে। প্রথমে লেখা, কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোর শেষ লাইন "দুনিয়ার মজদুর এক হও" (Workers of all land unite), এরপরে লেখা ১১তম থিসিস অন ফয়ারবাখ-এর এঙ্গেলীয় সংস্করণের বিখ্যাত উক্তি, "এতোদিন দার্শনিকেরা কেবল বিশ্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাই করে গেছেন, কিন্তু আসল কাজ হল তা পরিবর্তন করা।" (The Philowophers have only interpreted the world in various ways - The point however is to change it) ১৯৫৪ সালে গ্রেট ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টি কার্ল মার্ক্সের সমাধিতে একটি সৌধ স্থাপন করে যার শীর্ষে আছে মার্ক্সের মুখমণ্ডলের ভাস্কর্য। লরেন্স ব্র্যাডশ এই মুখাবয়বটির স্থপতি। ১৯৭০ সালে সমাধি ডাকাতেরা ঘরে তৈরি বোমার মাধ্যমে তার কবর ধ্বংস করার ব্যর্থ চেষ্টা করে।


আজ আমরা বিশ্বের অর্থবাজারগুলিতে যা দেখছি, তা মার্ক্সের দেখা বিকাশধারারই একটি অংশ। তিনি দেখেছিলেন, পুঁজির চাহিদা ক্রমেই বাড়তে থাকবে৷ উৎপাদনের বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব পুষিয়ে দিতে ক্রমেই আরো বেশি পুঁজির প্রয়োজন পড়বে৷ অথচ এই পুঁজি উৎপাদনে বিনিয়োগ না করে, প্রধানত শেয়ারে এবং মুনাফাবাজিতেই বিনিয়োগ করা হবে৷ যদিও তার চিন্তা চেতনার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও সম্ভব হয়নি তবুও তার চিন্তা-চেতনা কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষকে এক হতে এবং শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সহায়তা করে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এই সার কথা আজ শুধু বামপন্থী দলগুলি নয়, অন্যান্য দল ও শ্রমিক সংগঠনগুলিও বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারছে৷ তার পরেও নানা রকম ঐক্য, ভুয়া সমাজতন্ত্রী, খাটি সমাজতন্ত্রী, সংস্কারবাদী, সংশোধনবাদীরা মার্ক্সবাদের নাম ভাঙ্গিয়ে; যুদ্ধ নয়, বিপ্লব নয়, লড়াই নয়, শ্রমিক শ্রেণীর রাজনৈতিক সংগ্রাম নয়, কিন্তু মার্কসবাদের রাজনীতি করছে। মার্ক্স প্রেমিক সেজে শ্রমিক শ্রেণীর দরদি হয়ে, তীর্থের কাকের মত বসে আছে আখের গুছানোর ‘যদি কিছু পাওয়া যায়’ এই আশায়।


আজ মহান দার্শনিক, সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্ক্সবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্সের ১৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। আসুন এই মহান দার্শনিকের মৃত্যু দিবসে নতুন করে জানি তাঁর বিপ্লবী জীবন ও তার মতবাদের বিরুদ্ধাচারনকারীদের বিরুদ্ধে স্বয়ং মার্ক্স কিভাবে লড়াই করেছেন কিংবা কিভাবে বিপ্লবকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তার বিপ্লবী সংগ্রামী জীবন ও মতবাদ হয়ত আমাদের কে সত্য মিথ্যার পার্থক্য নিরূপণে সাহায্য করবে। উনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত জার্মান চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্ক্সবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্স এর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×