অনেক দিন হয় সামুর পাতায়
গাঁজীর দেখা নাইরে, গাজীর দেখা নাই,
বন বাদাড়ে নিঝুম দ্বীপে
দেখছো নাকি ভাইরে, দেখছো নাকি ভাই।
রাজীব নূরের আহাজারী,
মনটা কেমন করে রে, মনটা কেমন করে।
কত জনে সান্তনা দেয়
প্রাণটা আনচান করে রে, মনটা আনচান করে।
গাঁজী ছাড়া সামুর পাতা
বিবর্ণ যে ভাইরে, বিবর্ণ যে ভাই,
বলো তোমরা মানুষটাকে
কোথায় খুঁজতে যাইরে, খুঁজতে কোথায় যাই।
কেউ কি জানো গাঁজীর খবর
আছে কেমন সুখেরে, আছে কেমন সুখে।
নাকি থাকে দুঃখে কাতর
ব্যাথা নিয়ে বুকেরে, ব্যাথা নিয়ে বুকে।
বুড়ো মানুষ, তায় দৃষ্টি ক্ষীন
স্মৃতি টলমল রে, তার স্মৃতি টলমল।
বিদেশ ভূমে কি যে করে ভেবে
চোখ যে ছল ছলরে, চোখ যে ছলছল ।
ফিরে এসো গাঁজীসাব
দেবনা আর বকা রে, দেবনা আরে বকা
তোমায় ছাড়া সামু যে আজ
লাগছে ভীষণ ফাঁকারে, লাগছে ভীষণ ফাঁকা।
গাঁজীসাবের অন্তর্ধানে আমরা ম্রিয়মাণ!
লেখাতে নাই প্রাণরে ভাই, লেখাতে নাই প্রাণ।
গাঁজীর খোঁচায় জানি সবাই
ফিরে পাবে জানরে, ফিরে পাবে জান।
গাজীকে চাই আবার কাছে
বিবাদ ভুলে যাইরে, বিবাদ ভুলে যাই।
গাঁজঁ ছাড়া হুল ফোটানোর
আরতা কেহ নাইরে, আরতো কেহ নাই
গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে,
পেঁচা কিংবা বান্দর হয়ে আর দিওনা আড়ি।
চাঁন্দের গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে
দাও দূর্গম পথ পাড়ি রে দূর্গম পথ পাড়ি।
বরণ ডালা হাতে নিয়ে
অপেক্ষাতে আছি যে, অপেক্ষাতে আছি।
আসলে ফিরে সবাই মিলে,
করবো নাচা নাচিরে, করবো নাচা নাচি।
রচনাকালঃ ঢাকাঃ ১১ নভেম্বর ২০১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪