somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অ্যানিমেশন জগতের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনির ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মিকি মাউসের স্রষ্টা মার্কিন অ্যানিমেটর এলিয়াস ডিজনি যিনি ওয়াল্ট ডিজনি (Walt Disney) নামে সুপরিচিত। ওয়াল্ট ডিজনি ছিলেন পৃথিবীর প্রথম এনিমেশন প্রোগ্রামার এবং বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালি আর সফল প্রযুক্তিক ভাবনার অধিকারী। একাধারে তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক, কাহিনীকার, নেপথ্য কণ্ঠ শিল্পী ও অ্যানিমেট। তিনি একটা পত্রিকায় কার্টুন আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। পত্রিকার মালিক তাকে চাকরিচ্যুত করেন এই বলে যে, তার কল্পনা করার শক্তি নাই এবং তার মধ্যে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া নাই। দমে যাননি ওয়াল্ট ডিজনি। তিনি ওয়াল্ট ডিজনি নামে একটা কম্পানি দেন এবং তার বাসার গেরেজ এ তার অফিস খুলেন। ওয়াল্ট ডিজনি বর্তমানে হলিউডের একটা বিখ্যাত কম্পানি। যার বাৎসরিক আয় ৪০ বিলিয়ন ডলার। মিকি মাউসের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ভাগ্যের চাকা খুলে যায় ওয়াল্ট ডিজনির। একজন শিল্পীর ব্যথিত হৃদয়ের সৃষ্টি এই মিকি মাউস। এর স্রষ্টা শুধু টিভি পর্দার মধ্যেই স্থায়ী রাখতে চাননি মিকিকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজের স্টুডিওতে বসেই পরিকল্পনা করতে থাকেন ‘মিকি মাউস অ্যামিউজমেন্ট পার্ক’ তৈরির। তার ফলে ফ্লোরিডায় অবস্থিত ‘ডিজনি ওয়ার্ল্ড’ এখন ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। এভাবেই এগোতে থাকে মিকি মাউস সিরিজের পথচলা। ১৯৪৭ সালে আলাস্কার সিলদের ওপর ভিত্তি করে ‘সিল আইল্যান্ড’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন ওয়াল্ট ডিজনি। সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে এ ছবির জন্য একাডেমি পুরস্কার জেতেন ওয়াল্ট। এর ফলেই তৈরি হয় একের পর এক বিশ্বনন্দিত অ্যানিমেশন। ১৯৫০-এ সিনডারেলা, ১৯৫১-তে অ্যালাইস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড ও ১৯৫৩ সালে পিটার প্যান। এত কিছুর সৃষ্টি যে মানুষটির জন্য, সেই ওয়াল্টার ইলিয়াস ডিজনি ১৯৬৬ সালের আজকের দিনে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে পাড়ি জমান অন্য কোথাও। আর পুরো বিশ্বের মানুষকে বিনোদিত করতে রেখে যান নিজের সেরা সৃষ্টি মিকি মাউসকে। স্বপ্নবাজ এই মানুষটির সেই বিখ্যাত উক্তি ‘If you can dream it, you can do it’ আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আজ তার ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। মিকি মাউসের শ্রষ্টা ওযাল্ট ডিজনির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।


ওয়াল্ট ডিজনি ১৯০১ সালের ৫ ডিসেম্বর আমেরিকার শিকাগো শহরের - পার্শ্ববর্তী হরমোজার ১২৪৯ ট্রিপ অ্যাভিনিউয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পিতা এলিয়াস ডিজনি ও মাতা ফ্লোরার চতুর্থ সন্তান। তার পিতামাতা আইরিশ বংশোদ্ভূত। তার পিতা এলিয়াসের জন্ম কানাডা প্রদেশেএবং মাতা জার্মান ও ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন। ওয়াল্টের অন্য ভাইয়েরা হলেন হারবার্ট, রেমন্ড, রয় এবং তার ছোট বোন রুথ। ওয়াল্ট ডিজনির বয়স যখন সাত বছর তখন থেকে ছবি আঁকা শুরু করেন তিনি। অন্য কোনো বিষয় নয়, শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ইঁদুরেরই ছবি আঁকতেন ডিজনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য বিষয়েরও ছবি আঁকতেন। এই সময়েই তার আঁকা ছবির বেশ চাহিদা তৈরি হয়। তাদের গ্রামে কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠান হলে ঘর সাজানোর জন্য ডিজনির কাছ থেকে ছবি কিনে নিতেন গ্রামবাসী। তবে টাকার বিনিময়ে নয়, রং পেন্সিল কিংবা চকলেটের বিনিময়ে ডিজনি তার আঁকা ছবিগুলো বিক্রি করতেন। অভাবের সংসারে বাবার কাজে সহযোগিতার জন্য স্কুলে পা রাখা হয় নি ডিজনির। দীর্ঘ ১৬ বছর পর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয় ডিজনির। তার বাবা জেলির ব্যবসা শুরু করার পর ডিজনি মূলত বেকার হয়ে পড়েন। তাই তার বাবা তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেন। কিন্তু পড়াশোনায় মন ছিল না ওয়াল্ট ডিজনির। পড়াশোনার সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হয়ে পড়াশোনার ইতি ঘটে ওয়াল্ট ডিজনির। ১৯১৮ সালে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে নাম লেখাতে গেলে বয়স কম থাকার কারণে ডিজনিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আন্তর্জাতিক রেডক্রসে যোগদান করেন। সে সময় ১ম বিশ্ব যুদ্ধ চলছিল। সে বছর তাকে ফ্রান্সে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে এক বছর কাজ করেন। মজার ব্যাপার হলো, যে কাপড় দিয়ে তার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছিলো সেই ঢাকনা তিনি ভরে রেখেছিলেন নানা ধরনের ছবি এঁকে। ১৯১৯ সালে ছুটি পান এই চাকরি থেকে। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর আবার শুরু করেন ছবি আঁকার যুদ্ধ। আঁকার হাতটিকে আরও ঝানু করে তৈরি করার জন্য ‘কমার্সিয়াল আর্টসে’ শিক্ষানবিস হিসেবে যোগ দেন। এখানে ওয়াল্ট ডিজনির সাথে পরিচয় হয় ‘ইউব ওয়ার্কাস’ এর। দুজনের মধ্যে একসময় ভালো বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। ‘ইউব ওয়ার্কাস’ ছিলেন প্রতিভাবান একজন পরিশ্রমী শিল্পী। অ্যানিমেশন জগতের স্রষ্টা হিসেবে সকলে ওয়াল্ট ডিজনি এর নাম জানলেও এই অ্যানিমেশন এর সৃষ্টিতে ‘ইউব ওয়ার্কাস’ এরও অনেকটা অবদান রয়েছে।


১৯২২ সালে জীবনের প্রথম সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ওয়াল্ট। বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে একটি অব্যবহৃত ক্যামেরা নিয়ে তৈরি করেন নিজের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। কয়েকজন কর্মীও নিযুক্ত করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইউয়েরক্স। টেনেসে শহরের পিক্টোরিয়াল ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রূপকথার কার্টুনের একটি সিরিজও বিক্রি করেন। তবে সুখের দিন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পর্যাপ্ত গ্রাহকের অভাবে মাত্র এক মাস স্থায়ী হয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে দুজনই একসঙ্গে যোগ দেন কানসাস সিটি ফিল্ম অ্যাড কোম্পানিতে। এখানে বিভিন্ন মুভি থিয়েটারের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরির কাজ করতেন তাঁরা। ১৯২৩ সালের জুলাইয়ে পিক্টোরিয়াল ফিল্মস দেউলিয়া হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় লাফ-ও-গ্রাম ফিল্মসও। এরপর ভাগ্য পরীক্ষার জন্য ওয়াল্ট পাড়ি জমান লস অ্যাঞ্জেলেসে। সেখানে গিয়ে হলিউডের বিখ্যাত ‘ইউনিভার্সাল স্টুডিও’র সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। ‘ইউনিভার্সাল স্টুডিও’ সেসময় কিছু কাজ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান থেকে করিয়ে নিত। ভাগ্যক্রমে সেরকম একটি কাজ পায় ওয়াল্ট ডিজনি। এরকম ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে বড় হতে থাকে ডিজনির প্রতিষ্ঠান। ১৯২৪ সালের জুনে থিয়েটারে আসে ডিজনি ব্রোস স্টুডিওর ‘অ্যালাইস ইন কার্টুনল্যান্ড’ স্বল্পদৈর্ঘ্যের অ্যানিমেশন ছবিটি। এ ছবির সফলতার পর আবার ইউয়েরক্স ও আরো দুজন অ্যানিমেটরকে সঙ্গে নিয়ে ছবি পরিচালনার দিকে মনোনিবেশ করেন ওয়াল্ট। তবে সুখের দিন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কেননা কানসাস শহরটি ছিল খুব ছোট্ট একটি শহর। তাই এই ছোট্ট শহরে তাদের এই বিজ্ঞাপন সংস্থা সেভাবে ডালপালা মেলতে পারেনি। এরপর মাত্র ২০ ডলার হাতে নিয়ে ওয়াল্ট ডিজনি পাড়ি দেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। ওয়াল্ট ডিজনি যে চরিত্রগুলো নিয়ে কাজ করতেন সেগুলো হলো প্রাণীদের কার্টুন। দর্শকদের মাথায় খেলা করতে শুরু করে যে, কিভাবে পরিচালক এগুলোকে চরিত্রে রূপদান করছেন। ১৯২৭ সালের দিকে এসে আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে থাকে ডিজনির জীবন। ১ম সবাক মুভি ‘স্টীমবোট উইলি’র সফলতা অর্জনের পর জোরেশোরে শুরু করেন ‘মিকি মাউস’ এর পরবর্তী ছবির কাজ। এবার ‘মিকি মাউস’কে নিয়ে ‘সিলি সিম্ফনি’ নামে সিরিজ নির্মাণের চিন্তাভাবনা করেন। এই সিরিজের ১ম মুভি ‘স্কেলিটন ড্যান্স’ মুক্তি পায় ১৯২৯ সালে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি ‘মিকি মাউস’কে। পরবর্তী ১০ বছরে এই সিরিজের ৭০ টি মুভি নির্মাণ করা হয়। ১৯৩৩ সালে ডিজনি অ্যানিমেশন মুভির জগতে ১ম রঙিন মুভি নির্মাণ করেন। মুভিটির নাম ‘ফ্লাওয়ার্স এন্ড ট্রিজ’। মিকি মাউসের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ভাগ্যের চাকা খুলে যায় ওয়াল্ট ডিজনির। এগোতে থাকে মিকি মাউস সিরিজের পথচলা। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ওয়াল্ট ডিজনিকে। ১৯৩৪ সালে তার প্রোডাকশন কোম্পানির কর্মীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাতশ’র বেশি। নিজের ছবিগুলির পারিবেশনের দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছিলেন। ডিজনি ওয়াল্ট একাই ৫৭৬টি কার্টুন-চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন পরিচালনা করেছেন ১১১টি। তিনি নিজে অভিনয় করেছেন ৯টিতে, অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ৫৯ বার আর অস্কার পেয়েছেন ২২ বার এছাড়াও তিনি ৪১টি নামীদামী পুরস্কার পেয়েছেন।


ব্যক্তিগত জীবনে ১৯২৫ সালের ১৩ জুলাই তিনি লিলিয়ান বাউন্ড নামের এক সহকর্মীকে বিয়ে করেন। ডায়েন ও শ্যারন নামে তাদের দুটি মেয়ে আছে। তিনি ডিজনি ওয়াল্ট তার নির্মিত অ্যানিমেটেড কার্টুন মুভিগুলোর মাধ্যমে শিশুদের কল্পনার জগতে নিয়ে যেতেন। সেই শিশুদের জন্য তিনি বাস্তবের এক ডিজনিল্যান্ড তৈরি করেন। যেখানে শিশুরা তাদের কল্পনার সাথে বাস্তব মিলিয়ে দেখতে পারেন। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত এই পার্কটি ১৯৫৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। ডিজনিল্যান্ডের আরেক নাম ম্যাজিক ল্যান্ড। ওয়াল্ট ডিজনির বিভিন্ন মুভির চরিত্রগুলো এই পার্কে তুলে ধরা হয়েছে। অত্যন্ত সুন্দরভাবে এসব চরিত্রগুলিকে সাজানো হয়েছে যেখান থেকে শিশুরা জানতে পারবে বিভিন্ন অতীত ইতিহাস। ১৯৬৬ সালে ডিসেম্বর মাসে তার শরীরটা হঠাৎ খুবই খারাপ হতে থাকে। ১৯৬৬ সালের ১৫ই ডিসেম্বর এই দুনিয়া থেকে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেয় চিরন্তন এই শিশু মানবটি। ডিজনি যেদিন মারা যান তার ঠিক ১০ দিন পরই ছিল বড়দিন। সেবার বড়দিনে শিশুরা কোনো আনন্দ পালন করেননি। তাদের প্রিয় এই বন্ধুটির মৃত্যুর সংবাদে তারা সবাই বড়দিনের আনন্দ ভুলে গিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক আইকন এবং বিনোদন জগতের অমর ব্যক্তিত্ব ওয়াল্ট ডিজনির সফলতার কাহিনী যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে পৃথিবীর সব শিশুদের। একটি ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে ততদিন মানুষ মনে রেখে যাবে ওয়াল্ট ডিজনিকে। আজ অ্যানিমেশন জগতের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনির ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। মিকি মাউসের স্রষ্টা ওযাল্ট ডিজনির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×