somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ ঐতিহাসিক ১৮ ফেব্রুয়ারি শহীদ ড. শামসুজ্জোহা দিবস। ড. শামসুজ্জোহা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (তৎকালীন রিডার)। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি দেশের জনগণকে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি, ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, ১৫ ফেব্রুয়ারি, সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক শহীদ শামসুজ্জোহার মৃত্যু দেশেবাসীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব পালনকালে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন। শামসুজ্জোহাকে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গন্য করা হয়। ড. জ্জোহার মৃতুতে সারা দেশ ফুঁসে ওঠে। পতন হয় সামরিক শাসক আয়ুব খানের। প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্জোহার আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে একতাবদ্ধ হয় বাঙালি জাতি। ৭০-এর নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে এই আত্মত্যাগ। জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পাকিস্তানের রাজনীতিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয় আওয়ামী লীগ। রচিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নসৌধ। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার মৃত্যুর এতো বছর পরও যোগ্য সম্মানটুকু দেয়া হয়নি তাঁকে। জাতীয় আন্দোলনে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করলেও এখনো তাঁর বীরত্বগাঁথা সেই ইতিহাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। দেশব্যাপী ‘শিক্ষক দিবস’ উদযাপনের স্বীকৃতির জন্য চেষ্টাও করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এ নিয়ে রয়েছে ক্ষোভ। তারা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, ড. জোহাকে শুধু রাবির অধ্যাপক ভাবলে ভুল হবে, গোটা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে তিনিই প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। আজ শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইতিহাসে অম্লান শহীদ ড. শামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহা ১৯৩৪ সালের ১ মে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ড. জ্জোহা নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার পিতা মুহম্মদ আব্দুর রশীদ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নিম্নবেতনভোগী চাকরিজীবি ছিলেন। জোহা ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা স্কুলে পড়াশুনা করে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫০ সালে বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে তিনি প্রথম শ্রেণীতে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৫০ সালের প্রথম দিকেই পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গে সামপ্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে জোহার পরিবার পূর্ব পাকিস্তানে আসার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এরই অংশ হিসেবে ১৯৫০ সালে জোহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হন । এর অল্প পরই পুরো পরিবার ঢাকায় চলে আসে। জোহা ১৯৫৩ সালে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন এবং ১৯৫৪ সালে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি লন্ডনের Imperial College-এ উচ্চ ডিগ্রী লাভের জন্য একটি স্কলারশীপ পান এবং ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে থেকে তাঁর গবেষণা কাজের মাধ্যমে পিএইচডি ও ডিইসি ডিগ্রী লাভ করে ফিরে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত জোহা শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এরপর নিযুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে। এই মহান শিক্ষক পুরো শিক্ষক জাতির জন্যই অঢেল গৌরব ও অপরিমেয় অনুপ্রেরণার আধার। কিন্তু শিক্ষা যখন আজকের দিনে ব্যবসার পণ্যে পরিণত হচ্ছে, স্বার্থবাদী রাজনীতির নির্লজ্জ তোষামোদিতে কলুষিত হচ্ছে, তখন সত্যিই জোহার আদর্শ ঘুণে ধরা সমাজের কতক ‘শিক্ষক’ নামধারীদের আড়াল থেকে ভর্ৎসনা দিয়ে যায় বৈকি। ওদিকে শিক্ষার্থীদের পরম পূজনীয় এমন আত্মত্যাগী শিক্ষাগুরুকে যুগে যুগে পেতে চায় শিক্ষার্থীরা, এমন শিক্ষকের গর্বের অংশীদার যে তারাও! তবে জোহা রক্ত দিয়েছিলেন তাঁর শিরদাঁড়াসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য, তিনি কোনো স্বার্থপর দাসের শিক্ষাগুরু ছিলেন না। জোহা তাই ‘সব মেনে নেওয়া’ নামধারী শিক্ষার্থীদের জন্যও যেন এক বিমূর্ত চপেটাঘাত! স্মৃতির পাতায় যুগ-যুগান্তর অম্লান থাকুন শহীদ ড. শামসুজ্জোহা, তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হোক শিক্ষাঙ্গনের প্রতিটি প্রাণ।


১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ১৯৬৬-এর ছয় দফা ও ১১ দফা দাবিতে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলে। ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে মিছিল করা অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান শহীদ হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। এই দুটি হত্যাকান্ডে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে ওঠে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, সান্ধ্যকালীন আইন জারি করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করে। আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল বের করলে অনেক ছাত্রের জীবননাশের আশঙ্কা থাকায় প্রক্টর শামসুজ্জোহা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন সেনাসদস্যদের। বলা হয়ে থাকে তিনি ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, যদি একটি গুলিও বর্ষিত হয়, তা ছাত্রদের গায়ে লাগার পূর্বে তার গায়ে লাগবে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙে রাস্তাসংলগ্ন খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ক্যাপ্টেন হাদী নামক একজন সামরিক কর্মকর্তা পিস্তল উঁচিয়ে ছাত্রদের দিকে তাক করে। ড. জ্জোহা তখন সেখানে ছুটে যান। তৎকালীন সহকারী প্রক্টর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল খালেকের মুখে শোনা যায়, সেনা কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করেছিলেন তার পরিচয়। তিনি বলেছিলেন ‘রিডার’। তারা শুনেছিলেন ‘লিডার’। তিনি সেনাসদস্যদের শান্ত হতে আহ্বান করেন। কিন্তু সেনাসদস্যরা তার কথা উপেক্ষা করে উপর্যুপরি বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে রাস্তার নিচে খাদে ফেলে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে তাকে নিয়ে পুরাতন পৌরভবনসংলগ্ন স্থানে কয়েক ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় রাখা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহারের সবুজ চত্বর রঞ্জিত হয়েছিল শহীদ অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহার বুকের তাজা রক্তে। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১টা ৪০ মিনিটে ড. জোহা ইন্তেকাল করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান। এর পরের ইতিহাস তো সকলের জানা। ড. শামসুজ্জোহার রক্তস্নাত পথ ধরে গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ড,জোহার মৃত্যু তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছিলো এবং প্রভাব ছিলো সূদূরপ্রসারী, যা দেশকে স্বাধীন করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলো।


ব্যক্তিগতজীবনে প্রফেসর ড. সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে নিলুফার ইয়াসমিনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। নিলুফার ইয়াসমিন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের একজন শিক্ষয়িত্রী। ১৯৬৬ সালে এই দম্পতি একটি কন্যাসন্তান লাভ করে। আত্মভোলা এই মানুষটি ভালোবাসতেন প্রকৃতিকে, ভালোবাসতেন বইয়ের পাতাকে; বলা বাহুল্য, সীমাহীন ভালোবাসতেন নিজ ছাত্রছাত্রীদের। চৌহদ্দির মানুষের বয়ানে, স্ত্রী নীলুফার জোহা ডলির সাথেও রোমান্টিক সম্পর্ক ছিলো তাঁর। স্ত্রী এবং একমাত্র মেয়েটিকে রেখে লোকান্তরিত হয়েছিলেন তিনি। ড. জোহার কানাডা যাবারও কথা ছিলো, তার বদলে না ফেরার দেশে চলে গিয়ে তিনি বরং আমাদের জাতির জন্যই তৈরি করে গিয়েছিলেন এক নিকষ কালো শূন্যতা। দেশ স্বাধীনের পর তার অবদানের কৃতজ্ঞতাস্বরুপ তাকে শহীদ বুদ্ধিজীবির সম্মানে ভূষিত করা হয়। তার মৃত্যুর পরপরই তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার নামানুসারে নবনির্মিত আবাসিক হলের নামকরণ করেন শহীদ শামসুজ্জোহা হল। নাটোরে তার নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ প্রতিবছর জোহা সিম্পজিয়াম পালন করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি দেশের শিক্ষকসমাজ জোহার মৃত্যুদিবসকে "জাতীয় শিক্ষক দিবস" হিসেবে পালনের দাবী জানিয়ে আসছে। তার নামানুসারে নির্মিত আবাসিক হলশহীদ শামসুজ্জোহা হলের মূল ফটকের পাশে একটি স্মৃতি স্মারক স্ফুলিঙ্গ নির্মাণ করা হয় ২০১২ সালে। ২০০৮ সালে ড. জোহাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। আজ শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইতিহাসে অম্লান শহীদ ড. শামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×