somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ ২৬ জুন, আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস

২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ ২৬ জুন, আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস। সারা বিশ্বে মানুষ যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় তার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসে আলাপ আলোচনা হয় এ দিবসে। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসটি উৎসর্গ করেছে বিশ্বব্যাপী যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের উদ্দেশে। নির্যাতিতদের পুনর্বাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদের সদর দফতরটি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহাগেন এ অবস্থিত৷ এখানে ২৭ জন এবং ব্রাসেলস শহরে দুইজন কর্মী কাজ করেন নির্যাতিতদের জন্য৷ এরা শলাপরামর্শ দিয়ে, দান এবং অর্থ সংগ্রহ করে গোটা বিশ্বে নির্যাতিতদের পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে থাকেন৷ বেশির ভাগ শিল্পোন্নত দেশই নির্যাতিতদের জন্য গঠিত পুনর্বাসন কেন্দ্রে সরাসরি সাহায্য দিয়ে থাকে ৷ কিন্তু তবুও এটা যথেষ্ট নয়৷ বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও নির্যাতিতদের অনুকুল নয়৷ তাই হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের স্বাভাবিক কাজের বাইরে ঐচ্ছিকভাবে এবং কোন ফি না নিয়ে নির্যাতিতদের চিকিত্ সা করে থাকেন৷ কিন্তু এ কাজে তাদের প্রয়োজন অর্থ আর এই অর্থের বিরাট যোগানদাতা হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং নির্যাতিতদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের সেচ্ছা তহবিল৷ যেসব দেশে নির্যাতন চালানো হয় সেসব দেশে সাহায্য যোগাতে এই দুটি সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসেনের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক পরিষদ বলছে, যারা নির্যাতনের শিকার তাদের সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে শুধু তারা নয় তাদের পরিবার এবং সমাজের অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।


দিনটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি দেশে গত বছরের (২০১৯) জানুয়ারি মাস থেকে এ বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৫৩৫ জন। বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘটিত বিচার বর্হিভূত হত্যার মধ্যে কথিত বন্দুক যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের, শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং অন্যান্য (গুলি, অসুস্থ ও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার) ৩১ জনের। এর মধ্যে গত সাড়ে পাঁচ মাসেই ১১ জন নির্যাতনের ফলে নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে। এইচআরএফবির সমন্বয়ক তামান্না হকের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সনদ অনুমোদন করে । আর এর ১৫ বছর পর ২০১৩ সালে এ সনদের আলোকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন গ্রহণ করে। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করা এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এ আইনের অধীনে কোনো মামলার সুরাহা হয়নি। হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগের বিপরীতে মামলা হয়েছে গুটি কয়েক (১৭টি)। অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগী বা তার পরিবার নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মামলা করার সাহস পান না। যারা সাহস করে মামলা করেছেন তারা নানা পর্যায়ে হয়রানি ও হুমকি শিকার হচ্ছেন। ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে নানা প্রতিকূলতার শিকার হচ্ছেন।


নির্যাতিতদের পুনর্বাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদ তার কোপেনহাগেন দফতরে সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও তথ্য৷ এগুলোর মূল্যায়ন করা হয় সেখানে। পরে এসব বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়৷এদিকে, গত ২২শে জুন জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনের একটি অতিরিক্ত প্রোটোকল কার্যে পরিণত হল৷ এটি দুই হাজার দুই সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাশ হয়েছিল৷ এতে আগে থেকে না জানিয়েই কারাগার ও পুলিশী পাহারা কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা বলা হয়েছে৷ এগুলো পরিদর্শন করবে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কমিটি। এইচআরএফবি মনে করে, বিদ্যমান দায়হীনতা ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি রোধে সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সংবিধান ও মানবাধিকারের মানদণ্ড এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়াটা জরুরি। নয়তো কিছু সদস্যের অপরাধ প্রবণতা ও স্বেচ্ছাচারিতা রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ক্রমান্বয়ে জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে নেবে। আর এটি রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক হবে না।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৫
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×