somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলাম ধর্ম মতে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য (১ম পর্ব)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগের পর্বঃ ইসলাম ধর্মে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব কর্তব্য
হে মানব! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেন; আর যিনি তাদের দুইজন থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন; আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট নিজ নিজ হক দাবি করে থাক এবং আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে সতর্ক থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। – ( সূরা আন-নিসা: ১ ) নারীকে সমাজের অর্ধেক বলা হয়ে থাকে; আর নারী তিনি তো মাতা, স্ত্রী, কন্যা, বোন, নিকটাত্মীয়া …; আর তিনি তো লালনপালনকারিনী, শিক্ষিকা, শিশুদের পরিচর্যাকারিনী…। আর তিনি হলেন পুরুষদের জন্মদাত্রী, বীরপুরুষদের লালন-পালনকারিনী, মহিলাদের শিক্ষিকা …। আবার তিনি হলেন নেতা, আলেম ও দা‘ঈ তথা আল্লাহর পথে আহ্বানকারীদের গড়ে তোলার অন্যতমা কারিগর। আর সেখান থেকেই ইসলামী চিন্তবিদগণ নারীদের ব্যাপারটি নিশ্চিতভাবে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন, যেভাবে আল-কুরআনুল কারীম সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে; একজন মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা হিসেবে তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানসমূহ; সাথে সাথে বর্ণিত হয়েছে তার অধিকার এবং আবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ। পবিত্র কোরআনের আলোকে নিম্নে মুসলিম নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ আলোচনা করা হলোঃ


১। নিজের ব্যাপারে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) ঈমানী দায়িত্বঃ
প্রথমেই তার দায়িত্ব হল আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং ইসলামের হুকুম আহকাম গুলো পূর্ণভাবে মেনে চলা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, রমজানে সাওম পালন, যাকাত ফরজ হলে তা নিয়মিত আদায় করা তার নিজের প্রতি প্রথম দায়িত্ব।
(খ)পূর্ণ হিজাব পালন করাঃ
নারীদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে তারা গায়ের মাহরাম পুরুষ ও অমুসলিম নারীদের সামনে পূর্ণ হিজাব পালন করবে । আল্লাহ ঈমানদার নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন,
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা নূর: ৩১ )
অপর এক আয়াতে বলা হয়েছেঃ হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। ( সূরা আহযাব : ৫৯)
কুরআন ও হাদিসে উল্লেখ পোষাক পড়ার নিয়ম আছে ছেলে ও মেয়েদের জন্য প্রধানত নিয়ম ৬টি। এনিয়মগুলোকে হিযাব বা পর্দা বলা হয় । এ নিয়মগুলো হলোঃ
ক। মেয়েদের মুখ ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহ ঢাকতে হবে । খ। ছেলেদের নুন্যতম পক্ষে নাভির উপর হতে হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা ।
গ। এমনভাবে পোশাক পরিধান করবে তা কোন প্রকার আটসাট হবে না যাতে শরীরের গড়ন বঝা যায়। ঢিলাঢালা পোশাক পড়তে হবে ।
ঘ। পোশাক পরিচ্ছদ স্বচ্ছ হবে না, যাতে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখা যায় । ঙ। পোশাক পরিচ্ছদ আকর্ষনীয় হবে না যা বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষন করে । চ। পোশাক পরিচ্ছদ এমন হবে না,যা অমুসলিমদের মত । যেমন : খ্রিস্টানদের ক্রস পড়া যাবে না । এমন পোশাক পরিধান করা যাবে না,যা বিপরীত লিঙ্গের পোশাকের মত।
৩।জ্ঞান অর্জন করাঃ
মুসলিম নারীকে ইসলাম যে সম্মান দান করেছে, তন্মধ্যে অন্যতম হলঃ ইসলাম নারীর জন্য শিক্ষা গ্রহণ করা ও শিক্ষা প্রদান করার মর্যাদা পুরুষের মর্যাদার মত করে সমানভাবে নির্ধারণ করেছে এবং নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জন্য কোন বিশেষ মর্যাদা নির্দিষ্ট করে নি। শিক্ষা এবং শিক্ষা গ্রহণের ফযিলত বা মর্যাদা বর্ণনায় বর্ণিত সকল আয়াত ও হাদিস পুরুষ ও নারীকে সমানভাবে মর্যাদাবান বলে অবহিত করে; যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন।(সূরা আল-মুজাদালা: ১১) অপর এক আয়াতে বলা হয়েছেঃ “বল, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান?” ( সূরা আয-যুমার: ৯ ) আল্লাহ তাআলা নারীদের যে কঠিন দায়িত্ব টি দিয়েছেন , যেটি হল ঘর ঠিকভাবে সামলে সন্তানদের যোগ্য, ঈমানদার মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলা, তার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হল জ্ঞানার্জন করা ।
৪। সৎকর্ম করাঃ
ঈমান ও ইলম (জ্ঞান) অর্জন যেমন একজন মুসলিম নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য, তেমনি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, সে এই জ্ঞানের দাবি অনুযায়ী আমল বা কাজ করবে; আর এই আমল ব্যতীত দুনিয়া ও আখেরাতে তার কোন ফলাফল অর্জিত হবে না। আর সেই হল মুসলিম বুদ্ধিমতী নারী, যে তার জন্য এই সালাত, সাওম, দান-সাদকা, হজ, ওমরা, দাওয়াত, সৎকাজের আদেশ করা, অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা, সততা, পরোপকার ইত্যাদি নফল ইবাদতের কিছু অংশ বরাদ্ধ করে রাখে। অনুরূপভাবে আদব-কায়দা, শিষ্টাচারিতা ও নৈতিক চরিত্র, যা আত্মস্থ করা মুসলিম নারীর জন্য আবশ্যক; যেমন: কথায় ও কাজে সত্যবাদিতা, মিথ্যা না বলা, ধৈর্যধারণ করা, অপরের সাথে উত্তম ব্যবহার করা, কথার সময় বিনয় ও নম্রতা প্রদর্শন করা, সাক্ষাতের সময় প্রফুল্ল থাকা এবং চলাফেরায়, পানাহারে, ঘুমানোর সময়, কথাবার্তায়, উঠা-বসা ইত্যাদির ক্ষেত্রে সাধারণ শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ্য রাখা। সুতরাং মুসলিম নারীর উপর আবশ্যকীয় কর্তব্য হল এইসব মর্যদাপূর্ণ নৈতিক চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনে আত্মনিবেদন করা এবং এসব উত্তম আচরণ ও শিষ্টাচারের অনুসরণ করা।
৫। অন্যায় ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকাঃ
একজন মুসলিম নারীর নিজের ব্যাপারে দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহের অধীনে আরও যা অন্তর্ভুক্ত হয়, তা হল তার নিজেকে অন্যায় ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করা; শয়তানের পথসমূহ বন্ধ করা এবং কামনা-বাসনা ও লোভ-লালসাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। আত্মার দুর্বলতা ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার প্রতি আস্থাহীনতা থেকে সতর্ক থাকা; আরও সতর্ক থাকা জাদুকর, ভেলকিবাজ, ভণ্ড ও প্রতারক, জ্যোতিষী, ভবিষ্যতবাণী পাঠকারী প্রমুখের মত কাফির, ফাসিক ও পথভ্রষ্টদের থেকে।
মুসলিম নারীদের মান-সম্মানের মধ্যে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা থেকে সতর্ক থাকা, যা অধিকাংশ নারীর মধ্যে ছড়িয়ে আছে; কারণ, গিবত (পরচর্চা) করা, কুৎসা রটনা করা, মিথ্যা কথা বলা এবং অমুক পুরুষ ও অমুক নারীর সমালোচনা করাটা তাদের মজলিস বা বৈঠকসমূহের প্রাণে পরিণত হয়।
৬।কাফির নারীদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা থেকে সতর্ক থাকাঃ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীন সর্বক্ষেত্রে মুসলিম নারীদের কাফির নারীদের কর্মকাণ্ডে বিমুগ্ধ হওয়া থেকেসতর্ক থাকতে হবে। কারণ, মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকাংশ নারী চুল, পোষাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদির আকৃতি ও ধরন-প্রকৃতির ক্ষেত্রে প্রত্যেক (বহিরাগত ও শরী‘আত গর্হিত) হৈচৈ সৃষ্টিকারী নারী-পুরুষের অনুসরণ করতে শুরু করে দিয়েছে। এই উপদেশগুলো সকল মুসলিম নারীদের বেলায় প্রযোজ্য। এবার নারীদের বিভিন্ন পর্যয়ে কি কি কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছেঃ

১। ইসলাম মতে কন্যা হিসেবে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তা‘আলা মহান অনুগ্রহের মাধ্যমে কন্যাকে বিশেষিত করেছেন, যার কারণে সে ছেলের থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের হতে পারে, যদি তাকে যথাযথভাবে যেমনটি আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তা‘আলা শরী‘আতের বিধান হিসেবে অর্পণ করেছেন সেভাবে লালনপালন করা যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি দু’টি কন্যাকে প্রাপ্তবয়স্কা হওয়া পর্যন্ত লালনপালন করে, কিয়ামতের দিন সে হাজির হবে এমতাবস্থায় যে, আমি এবং সে এভাবে থাকব—” বলে তিনি তাঁর আঙুলসমূহকে একত্রিত করে দেখালেন।-(মুসলিম)
কন্যা হিসেবে নারীরব্যক্তিগত দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করা, যেমনঃ শিক্ষালাভ ও শিক্ষা দান। একজন নারী তার মা ও ভাল শিক্ষিকাদের সহযোগিতা নিয়ে নিজের জন্য শিক্ষা সংক্রান্ত একটি পরিপূর্ণ সিলেবাস/প্রোগ্রাম গ্রহণ করবে, যা শরয়ী জ্ঞান, আরবি, শিষ্টাচারিতা, তাফসীর, হাদিস, সাহিত্য, সাধারণ জ্ঞান ও নারী বিষয়ক জ্ঞান ইত্যাদিসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করবে, যার বিবরণ নারীর নিজের প্রতি শিক্ষাবিষয়ক দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রসঙ্গে পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে। আল্লাহ ত‘আলার বাণীর অনুসরণে পিতা-মাতার আনুগত্য করা এবং এই ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে।” (সূরা আল-ইসরা: ২৩)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল, অধিকাংশ কন্যাদেরকে দেখা যায় তারা এই আনুগত্যের ব্যাপারে উদাসীন। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা পিতামাতার চাইতে বান্ধবীদের অনুসরণ করে এবং তাদেরকে অগ্রধিকার দেয়। এটা ছেলে-মেয়ে উভয়েরই বড় ধরনের অন্যায়। এই ক্ষতি ভবিষ্যতে তাদের কাছেই ফিরে আসবে। কেননা, নিঃসন্দেহে পিতা-মাতার আনুগত্য এমন এক ঋণ, যা শীঘ্রই ফেরত আসবে। মায়ের বিভিন্ন কর্তব্যে সাধ্যমত সহযোগিতা করা।যেমন রান্নবান্না, ধোয়া-মোছা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব পালন করা; পুরাপুরিভাবে কাজের মহিলা-নির্ভর না হওয়া। কারণ, এই নির্ভরতা মেয়েকে এক অদক্ষ বা অকর্মায় পরিণত করবে, ফলে সেই মেয়ে ভবিষ্যতে তার ঘর-গৃহস্থালির কাজকর্ম ও দায়িত্ব পালনে অসমর্থ্য হবে। ছোট ভাই ও বোনদের লালনপালন এবং নৈতিকতা ও উন্নত চারিত্রিক শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে তার মাকে সার্বিক সহযোগিতা করা। মা মুর্খ হলে তাকে শিক্ষা দেওয়া। বিশেষ করে এমন বিষয়গুলো শিখিয়ে দেওয়া, যাতে তার দীন পালন করতে পারে। যেমন: সালাত এবং সালাতের মধ্যে পঠিত কুরআন ও যিকির-আযকারের প্রশিক্ষণ দেয়া; অবসর সময়ে তার নিকট এমন কিছু শিক্ষণীয় বিষয় পাঠ করবে, যা তার উপকারে আসবে। আর এই ব্যাপারে অনেকেই অমনোযোগী ও উদাসীন। নারীদের অনেকের ব্যাপারে এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে, তারা (উদাহরণস্বরূপ) সূরা ফাতিহাই পাঠ করতে জানে না অথচ তার কন্যা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা উচ্চ-মাধ্যমিক ছাত্রী। সেখানে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের দায়-দায়িত্ব কন্যাদের উপরই বর্তায়।

২। ইসলাম মতে আদর্শ বোন হিসেবে নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
বোন হল তার ভাইয়ের নিকট সকল আত্মীয়ের মধ্যে সবচেয়ে নিকটতম ও ঘনিষ্ঠ; আর তাদের উভয়ের জন্য যৌথ হক বা অধিকার রয়েছে। বরং তার (বোনের) দায়-দায়িত্ব আরও ব্যাপক। তা পালন করতে হয় ঘরের মধ্যে, যেখানে সে জীবনযাপন করে। কন্যা হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, ছোট ও বড় ভাই-বোনদের সাথে বোনের দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে পরিপূর্ণভাবে তাই বলা হয়। এসব দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলোর পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বৃদ্ধি করা য়ায়ঃ
তার চেয়ে বয়সে বড় ভাই ও বোনদের সম্মান ও মর্যাদা দেয়া। কারণ, বড় বোন হলেন মায়ের মর্যাদায় এবং বড় ভাই হলেন পিতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। তাদের জন্য আত্মীয়তার সম্পর্কজনিত অধিকার রয়েছে; আর তার উপর কর্তব্য হল সহযোগিতার মুখাপেক্ষী হলে তাদেরকে সহযোগিতা করা। যেমন: তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করা, বিপদ-মুসিবতের সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করা এবং তাদের পড়াশুনা ও জ্ঞানের ব্যাপারে তাদেরকে সহযোগিতা করা। বাড়ির মধ্যে সকল প্রকার কল্যাণ ছড়িয়ে দেয়াপাঠের মাধ্যমে, শুনানোর মাধ্যমে, দাওয়াতের মাধ্যমে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকর্মে নিষেধ করার মাধ্যমে ইত্যাদি। প্রথম নারীর পরে ঘরের রান্নাবান্না, ধোয়া-মুছা ইত্যাদির মত কাজকর্মের সে অন্যতম খুঁটি। ঘরের মধ্যে প্রয়োজন হলে কাউকে উপদেশ ও দিকনির্দেশনা দেয়া।


৩। ইসলাম মতে আদর্শ স্ত্রী হিসেবে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
ঘর বা আবাসগৃহ হচ্ছে এমন একটি ছোট্ট রাষ্ট্র, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার এই মৌলিক উপাদানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে: স্বামী, স্ত্রী, পিতা ও মাতা এবং সন্তান-সন্তুতি। সুতরাং তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কর্তৃক তাঁর বান্দাদের প্রতি প্রদত্ত নিয়ামতরাজির মধ্যে অন্যতম; তিনি বলেনঃ “আর আল্লাহ তোমাদের গৃহকে করেন তোমাদের আবাসস্থল।” – (সূরা আন-নাহল: ৮০) আর এই ঘরের গুরুত্ব ও তার মহান মর্যাদার কারণে ইসলাম তার বিষয় ও কার্যক্রমসমূহকে সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়েছে এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহকে তার মৌলিক উপাদান অনুযায়ী বণ্টন করেছে; বিশেষ করে মৌলিকভাবে মুসলিম নারীর সাথে যা সংশ্লিষ্ট (তা), কেননা সে হচ্ছে ঘরের মধ্যে মা, অনুরূপভাবে স্ত্রী, কন্যা ও বোন; সুতরাং ঘরের মধ্যে তার অনেক বড় করণীয় রয়েছে এবং ঐ ঘর নামক রাষ্ট্রের মধ্যে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যও অনেক বড়, যে রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার জন্য ইসলামের শত্রুগণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এ রাষ্ট্রটি হচ্ছে সমাজের প্রতি প্রসারিত এক বৃহৎ গবাক্ষ। সুতরাং যখন তাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে, তখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। শরী‘আত এসব দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি নজর দেয়, যাতে উভয় গৃহকর্তা স্বামী ও স্ত্রীর কল্যাণকর সীমারেখার মধ্যে ব্যাপক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে দায়বদ্ধ থাকে। কারণ, বুখারী ও মুসলিমে আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল (রক্ষণাবেক্ষণকারী), আর তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইমাম বা শাসক হলেন দায়িত্বশীল, আর তাকে তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর পুরুষ তার পরিবার ও সংসারের জন্য দায়িত্বশীল, আর তাকে তার পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণ ও দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর নারী তার স্বামীর ঘর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপর এক বর্ণনায় আছে: ‘নারী তার স্বামীর ঘর ও তার সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তাদের ব্যাপারে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ আর খাদেম (সেবক) তার মনিবের ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ধারণা করি যে, তিনি (রাসূল) আরও বলেছেন: পুরুষ ব্যক্তি তার পিতার ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর তোমাদের সকলেই দায়িত্বশীল, আর তোমাদের সকলকেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

(ক) আদর্শ স্ত্রী হিসেবে স্বামীর প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
আদর্শ স্ত্রী হিসেবে স্ত্রীর কর্তব্যের মূল হলো স্বামীর প্রতি তার দায়িত্ব। তার উপর তার স্বামীর অধিকার অনেক বড়, যা তার পিতা-মাতার অধিকারের চেয়েও বেশি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার অধিকারের (হকের) পরেই তার অধিকারের শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান। আর এই অধিকারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে এসেছে আল্লাহ তা‘আলার বাণী: • “পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন…” – (সূরা আন-নিসা: ৩৪)
আর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে হাদিস হতে আমরা পাইঃ
(ক-১। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুআয সিরিয়া থেকে ফিরে এসে নাবী (সঃ)-কে সাজদাহ করেন। নাবী (সঃ) বলেন : হে মু‘আয! এ কী? তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে দেখতে পাই যে, তথাকার লোকেরা তাদের ধর্মীয় নেতা ও শাসকদেরকে সাজদাহ করে। তাই আমি মনে মনে আশা পোষণ করলাম যে, আমি আপনার সামনে তাই করবো। রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন : তোমরা তা করো না। কেননা আমি যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ্ ছাড়া অপর কাউকে সাজদাহ করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সাজদাহ করতে। সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদ (সঃ)র প্রাণ! স্ত্রী তার স্বামীর প্রাপ্য অধিকার আদায় না করা পর্যন্ত তার প্রভুর প্রাপ্য অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে না। স্ত্রী শিবিকার মধ্যে থাকা অবস্থায় স্বামী তার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে চাইলে স্ত্রীর তা প্রত্যাখ্যান করা অনুচিত। হাসান, সহীহ, ইরওয়াহ। (তিরমিযী ১৮৫৩) (তিরমিযী ১৮৫৩)

ক-২। উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “নারীদের যে কেউ মারা যাবে এমতাবস্থায় যে তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

ক-৩।
“যখন নারী তার পাঁচ ওয়াক্তের সালাত আদায় করবে; তার (রমযান) মাসের সাওম পালন করবে; তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করবে, তখন তাকে বলা হবে: তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা কর, সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবশে কর।” – (ইমাম আহমদ হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

ক-৪। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হল: কোন নারী সবচেয়ে উত্তম? জবাবে তিনি বললেন: ঐ নারীই উত্তম, যে নারী তার স্বামীকে আনন্দ দেয় যখন সে তার দিকে তাকায়; তার আনুগত্য করে, যখন সে নির্দেশ দেয় এবং তার নিজের ও সম্পদের ব্যাপারে সে যা অপছন্দ করে তার বিরুদ্ধাচরণ করে না।” (ইমাম নাসায়ী হাদিসখানা বর্ণনা করেন)। তার সাথে উত্তম আচরণ করা এবং তার কষ্ট লাঘব করা; আর এর উপরই নির্ভর করে তাকে সন্তুষ্ট করা এবং তার ব্যক্তিত্বকে রক্ষা করা;

ক-৫।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “দুনিয়াতে কোন স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দিলেই তার ডাগড় চক্ষুবিশিষ্ট হুরী স্ত্রী বলে উঠে: তুমি তাকে কষ্ট দেবে না; আল্লাহ তোকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তোর নিকট আগন্তুক, অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে। ” – ( ইমাম তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)। সে তার স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত নফল সাওম (রোযা) পালন করবে না;

ক-৬। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর জন্য সাওম (নফল রোযা) পালন করা বৈধ নয়; আর স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে তার গৃহে প্রবেশ করতে দেবে না …।” – ( ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)। স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীর ঘরকে সংরক্ষিত রাখা। সুতরাং সে তার ঘরে কোন অপরিচিত পুরুষ অথবা এমন কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটাবে না, যার অনুপ্রবেশকে তার স্বামী অপছন্দ করে, যদিও সেই ব্যক্তিটি তার ভাই হয়।

ক-৭। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “জেনে রাখ! তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপভাবে তোমাদের উপরও তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে; সুতরাং তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে যেতে না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন তোমাদের ঘরের মধ্যে এমন কাউকে অনুমতি না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর। আরও জেনে রাখ! তোমাদের উপর তাদের অধিকার হল, তোমরা তাদের বস্ত্র ও অন্যের ব্যাপারে তাদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করবে।” বিশেষ প্রয়োজনের মুহূর্তে তার চাহিদা পূরণ করা এবং কোন নির্ভরযোগ্য কারণ ছাড়া তাকে নিষেধ না করা। বিশুদ্ধ হাদিসের মধ্যে এসেছে,

ক-৮। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সাথে একই বিছানায় শোয়ার জন্য আহ্বান করে, আর তার স্ত্রী সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা ঐ মহিলার উপর লা‘নত (অভিশাপ) বর্ষণ করতে থাকে।” – ( ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

৪। স্বামীর জন্য সাজগোছ করাঃ যাতে নিজের প্রতি তাকে আকৃষ্ট করা যায়। এর ফলে স্বামী তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখবে এবং তাকে হারামের মধ্যে ছেড়ে দেবে না। স্ত্রীর তাই উচিত নিজেকে এমন বস্তুর দ্বারা সুসজ্জিত করার চেষ্টা করা, যাতে স্বামী আকৃষ্ট হয়; ফলে তার চোখ সুন্দরের প্রতি পড়বে এবং তার নাক দ্বারা সে সুন্দর ঘ্রাণই পাবে; যেমনিভাবে সে তাকে কোমল কথা ও উত্তম বক্তব্য ব্যতীত অন্য কোন মন্দ কথা শুনাবে না।

৫। স্বামীর অনুগ্রহের স্বীকৃতি প্রদান এবং তার নিয়ামতের অকৃতজ্ঞ না হওয়াঃ আর তার ভাল আচরণকে অস্বীকার করবে না। বিশেষ করে যখন সে তার কাছ থেকে ব্যয় ও দানশীলতার মানসিকতা লক্ষ্য করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “তোমরা সাদকা কর। কারণ, তোমাদের অধিকাংশ হবে জাহান্নামের ইন্ধন। অতঃপর মহিলাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা দাঁড়াল, যার উভয় গালে কাল দাগ ছিল; সে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! তা কেন? তিনি বললেন: তোমরা বেশি অভিযোগ করে থাক এবং উপকারকারীর উপকার অস্বীকার কর।” – ( ইমাম মুসলিম র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন) অপর এক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারও প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, ‘আমি কখনও তোমার কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পাইনি’।” – ( ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

৬। গৃহস্থালীর কাজ সম্পাদনে স্বামীকে সাহায্য করাঃ
ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. আসমা বিনতে আবি বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা’র হাদিস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “যখন যুবায়ের রা. আমাকে বিয়ে করলেন, তখন তার কাছে কোন ধন-সম্পদ ছিল না, এমনকি কোন স্থাবর জমি-জমা, দাস-দাসীও ছিল না; শুধু কুয়ো থেকে পানি উত্তোলনকারী একটি উট ও একটি ঘোড়া ছিল। আমি তাঁর উট ও ঘোড়া চরাতাম, পানি পান করাতাম এবং পানি উত্তোলনকারী মশক ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতাম, আটা পিষতাম;।”

কৈফিয়তঃ উপরে বিভিন্ন পর্যায়ে নারীদের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ কোরআন ও হাদিসের আলোকে বর্ণনা করো হলো। সুতরাং আমার প্রতি কেউ উষ্ণা প্রকাশ করে নিজের ঈমানী শক্তিকে দূর্বল করবেন না।

বিঃদ্রঃ আগামী (২য়) পর্বঃ পবিত্র কোরআনের আলোকে ইসলাম ধর্ম মতে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×