হালের সফদার ডাক্তার (ছড়া)
নূর মোহাম্মদ নূরু
সফদার ডাক্তার, মুখে শুধু বড় বোল,
ফুটানি দেখাতে গিয়ে বাঁধিয়ে দিলো গোল!
হাতুরে সে ডাক্তার, কোথা গেলো হারিয়ে!!
অকারণে অহেতুক, ব্লগটা নাড়িয়ে!
সেই থেকে যুদ্ধ, কাছা দিয়ে কোমরে।
হুংকার গর্জণ, বধিবে সে পামরে!
সাথে জো্টে মিত্র, হাতে গোনা দুই তিন।
ঝাটা খেয়ে তারাও যে, করে শুধু মিন মিন।
সফদার ডাক্তার কোমরেতে নাই জোর
যুদ্ধের ময়দানে, পিছনে সে দিলো দৌঁড়।
লেজ তুলে পালালো, রণে দিয়ে ভ্ঙ!
কেন বাবা যুদ্ধে কর এত রঙ্গ।
ভেবেছিনু কত জানি ছিড়বে সেই মহারাজ,
নাকানি চুবানি খেলো দেখা তার নাই আজ।
ইঁদুর ধরার বিদ্যা নিয়ে ধরিতে চায় সর্প,
কেউটার ছোবলেতে নিভি গেলো দর্প।
দু দিনের যোগী সে ভাত হলো অন্ন,
গুরুজনে কভু সে নাহি করে মান্য।
বয়স কম মোখলেছ তাই তো সে বোঝেনি
বিনা যুদ্ধে পাবেনা সুচাগ্র মেদিনী।
তাল কানা মন্ত্রীর তার ছিড়া সৈন্য
বুঝা গেছে শিক্ষায় কতটা সে দৈন্য।
জ্ঞানের অভাবে তারাতো বোঝেনি
বিনা যুদ্ধে নাহি পাবে সুচাগ্র মেদিনী।
তাল কানা হলে পরে, যেওনাকো যুদ্ধে,
বুঝা গেছে ঘটে আছে, কত টুকু বিদ্যে !
লড়ে যাও যুদ্ধে, যদি তুমি হও বীর।
ঠিক করো নিসানা, তার পরে মারো তীর।
তা না হেলে বেঘোরে হারাবে যে প্রাণটা,
প্রাণ যদিওবা বাঁচে বাঁচবেনা কানটা।
আমি বাপু সোজা বুঝি, দেই কিছু শিক্ষা,
মানলে মানো না হলে খাও করে ভিক্ষা।
প্রকাশকালঃ ঢাকা-রবিবার, ১৫ মে ২০২২ ইং ,
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২