
রহিমা খালা ও নাজেহাল দুই উকিল !! ,
নূর মোহাম্মদ নূরু
শহরের নাম করা দুই জাদরেল উকিল। একজন বিজন মজুমদার অন্যজন হারুন তরফদার। তর্ক আর কু-যুক্তির মারপ্যাচে বিপক্ষের উকিলকে মামলায় হারিয়ে দেয়া তাদের কাছে ডাল ভাত। দেমাগে মাটিতে পা পড়েনা। ভাবখানা যেনো ভারতের আদালত পাড়ার কেডি পাঠক। মাঝে মাঝে তাদের কু-যুক্তি ও নোংরা চুটকি শুনে কান চাপা দেয় জজ সহ জুরীর সদস্যগণ। একবার এক মামলায় এই দু উকিল দুজনে লড়বেন বাদী ও বিবাদীর পক্ষে। শহরে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হলো দেখা যাক এবার কে হারে কে জেতে!
মালার শুনানী শুরু হলো। ওই মামলার স্বাক্ষী হিসেবে রহিমা খালার ডাক পড়েছে-
বাদী পক্ষের উকিল "বিজন মজুমদার" রহিমা খালাকে ঘাবড়ে দেবার জন্য প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন--- "আপনি আমায় চেনেন"?
রহিমা খালার উত্তর ---
"ওমা চিনব না কেন, তুমি বিজন, তোমায় আমি ল্যাংটা বয়স থেকে চিনি, পুরো বখে যাওয়া ছেলে ছিলে! মিথ্যা কথা বলতে, পুরো লোক ঠকানোর ওস্তাদ ছিলে, আরও অনেক গুন তোমার ছিলো, সে সব আর বলছি না। তোমাকে আমি ভালো করেই চিনি বাপু"
বিজন বাবু স্তম্ভিত হয়ে গেলেন, বুঝতে পারছিলেন না কি বলবেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেন। সম্বতি ফিরে পেয়ে নিজেকে সামাল দেবার জন্য কোর্ট ঘরের অপর প্রান্তে বিবাদী পক্ষের উকিল হারুন তরফদার এর দিকে আঙুল নিদের্শ করে বললেন, " আপনি ওনাকে চিনেন"?
রহিমা খালার উত্তরঃ
"আরে অরে চিনব না কেন? ও তো হারুন। খুব ভাল করেই চিনি। অলস, অকর্মন্য। শহরের সব চেয়ে পিশাচ উকিল। বউয়ের চোখে ধুলো দিয়ে তিন চারটে ছুড়ির সাথে ফষ্টি-নষ্টি করে বেড়ায়। তার মধ্যে একজন আবার তোমার বউ!
রহিমা খালার কথা শুনে বিবাদি পক্ষের উকিল হারুন সাহেব এবং বাদী পক্ষের উকিল বিজন মজুমদার উভয়েই অসুস্থতা বোধ করতে লাগলেন।
দুই উকিলের এমন নাজেহাল অনস্থা দেখে জজ সাহেবও বিব্রত বোধ করছেন। মহিলা আবার না জানি তার কোন গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়। জজ সাহেব বিলম্ব না করে দুই উকিলকে কাছে ডাকলেন। উকিলদ্বয় কাছে যাবার পর জজ সাহেব নিচু গলায় বললেনঃ
"তোমরা দুই গাধার মধ্যে একজনও যদি ওই মহিলাকে প্রশ্ন করো যে, আমায় চেনে কি না, তবে তোমাদের আমি ফাঁসিতে চড়াবো!
সংগৃহীত এবং ঈষৎপরিবর্তিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



