
আমি মনের হরষে গাই গান!!
© নূর মোহাম্মদ নূরু
হরষ এর বাংলা অর্থ ⇒ হর্ষ;
হর্ষ, হরষ, হরিষ এর অর্থ → [হর্শো, হরোশ্, হরিশ্] (বিশেষ্য) ১। আনন্দ; উল্লাস; পুলক। ২। উদ্গম; উদ্ভেদ; খাড়া হওয়া; শিহরণ (রোমহর্ষ)। হর্ষণ (বিশেষ্য) পুলক; হর্ষ; আনন্দ। (বিশেষণ) ১। আনন্দদায়ক। ২। শিহরে বা খাড়া করে তোলে এমন (রোমহর্ষণ)। হর্ষিত (বিশেষণ) ১। আমোদিত। ২। আনন্দিত; পুলকিত। ৩। তোষিত। হর্ষবর্ধন (বিশেষ্য) থানেশ্বরের প্রভাকর বর্ধনের পুত্র। (বিশেষণ) আনন্দবর্ধন। হর্ষোচ্ছ্বাস (বিশেষ্য) অতিশয় উৎফুল্লতা। {(তৎসম বা সংস্কৃত) হৃষ্+অ(ঘঞ্)};
আর মনের হরষে মানে মনের আনন্দে, মনের উল্লাসে বা মনানন্দে।
মানুষ মনের হরষে অনেক উদ্ভট কাজ করে থাকে অন্যের কাছে হয়তো তার কোন মানেই নাই, তবে যিনি তা করে থাকেন তার কাছে রয়েছে এর বিপুল আনন্দ! কেউ হয়তো চলতি পথে হঠাৎ করে হেসে উঠলো; অন্য পথিক তা দেখে তাকে পাগল ঠাওরেতে পারে তাই বলে তাকে হাসতে বাঁধা দেবার অধিকার রাখেনা। কেউ যদি মনের হরষে আপন মনে বেসুরো গলায় গান গেয়ে ওঠে তাকে থামিয়ে দেবার কোন আইন কোন কালে কোন দেশেই ছিলোনা আর এখনো নাই।
সবাই মেহেদী হাসান বা লতা মুঙ্গেশকর হয়না; কেউ কেউ হয়। তারা বিশ্বব্যাপী জনপ্রীয়তা পায় তাদের সুললিত কণ্ঠের কারনে। হয়ে থাকেন স্মরণীয, বরনীয় মানুষের মনে যুগ থেকে যুগান্তরে। এটাই তাদের সাধনার পুরস্কার। পরবর্তীতে কেউ কেউ তাদের পথ অনুসরণ করে স্মরণীয় হয়ে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন; তবে সবাই সেই সাফল্য লাভ করতে পারেনা যদিও কেউ কেউ সম্পূর্ণটা আয়ত্ত করতে না পারলেও কাছাকাছি আসবার কারণে শ্রোতাদের প্রশংসায় ঝুলি পূর্ণ করেন; আর কেউ কেউ অঙ্কুরেই ঝরে পড়ে পথের ধুলায়। তাই বলে কি তার সাধনায় বাঁধ সাধতে হবে? গুণীজনেরা বলেন; তুমি কাউকে প্রশংসা করতে পারণা সেটা তোমার সংকীর্ণ মনের পরিচয়, কিন্তু তাকে তার কোন কাজের জন্য উপহাস করার অধিকার তোমার নাই।
ইসলাম ধর্মের উপদেশ; কাউকে নিন্দা বা উপহাস করোনা, তাকে বলো সে যেটা করেছে তা ভালো হয়েছে; তবে আর একটু পরিশ্রম বা সাধনা করলে আরো ভালো করবে; এতে সে উৎসাহিত হবে এবং আরো ভালো করার চেষ্টা করবে। সবাই সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তেলোয়াত করতে পারেনা, তাই বলে কি কেউ তাকে তা পাঠে বারণ করার অধিকার রাখে? হাবসি বেলাল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর খুবই প্রিয় ছিলেন তার মধুর কণ্ঠের আযানের জন্য, কিন্তু তাই বলে অন্যদের আযান পরিত্যজ্য তাতো নয়।
আমার সুপ্ত মনের বাসনা আমি মানুষের হৃদয় ঠাঁই পেতে চাই। এজন্য বিভিন্ন পন্থা আছে, কেউ দাতা হয়, কেউ হয় নেতা; কেউ শিল্পী হয়, কেউ অভিনেতা। আমি সব বিষয়ই চেষ্টা করে দেখেছি কিন্তু সফলকাম হতে পারিনাই সেটা আমার দুর্ভাগ্য ; তাই বলে আমাকে সাফল্যের চুড়ায় উঠতে গোড়াতেই বাঁধা দেওয়া কেনো? কেনো আমার মৌলিক অধিকার হরণ? আপনার অধিকার আছে আমার নাচ, গান, কবিতা অপছন্দ করার; করুন কোন সনস্যা নাই, কিন্তু আপনি আমার সুকুমার বৃত্তির চেষ্টাকে থামিয়ে দেবার অধিকার রাখেন না। আমার মন হরষের বহিঃপ্রকাশে বাঁধা দিতে পারেন না।
আমার স্বাধীনতা আমার অধিকার। আপনি আমাকে অপছন্দ করার অধিকার রাখেন; আমার নাচ গান না দেখার অধিকার রাখেন। ইচ্ছা হলে আমার চ্যানেল আন সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। কিন্তু যদি ভয় দেখিয়ে আমাকে দমিয়ে বা থামিয়ে দিতে চান, তা হলে আমিও ছড়াকার সাংবাদিক আবু সালেহ'র মতো বলতে বাধ্য হবো;
''ধরা যাবেনা ছোঁয়া যাবেনা বলা যাবেনা কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা"।
প্রকাশকালঃ ২৯ জুলাই ২০২২ ইং
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




