somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বীকারোক্তি,লেখকঃনুরুন নাহার লিলিয়ান

১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজকে মধ্য রাতে সুফিয়ার ফাঁসি কার্যকর হবে।
এখন সন্ধ্যা সাতটা।মুক্তারপুর চীন মৈত্রী সেতুতে ব্যাপক জ্যাম বেঁধেছে। সচরাচর এমন জ্যাম দেখা যায় না।
ঘন্টা দেড়েক ধরে বসে আছে এডভোকেট অভিষেক। ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ যাচ্ছে বাবা মায়ের কাছে। বুকের কোথাও কেমন শূন্যতা আর বিবশ অনুভূতি ক্ষণে ক্ষণে মোচর দিয়ে উঠছে।
কিছুক্ষণ পর পর পানি খেলেও ঘেমে শার্ট ভিজে যাচ্ছে। গাড়ির ভেতরে কেমন দম বন্ধ লাগছে। গাড়ি থেকে নেমে সামনে এগিয়ে সেতুর রেলিংয়ের পাশে দাঁড়ায়।
জুন মাসের বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় ধলেশ্বরী নদীর বুকে বয়ে চলা নৌকা গুলো কেমন অদ্ভুত সুন্দর লাগছে।
সেতুর দুই পাশে দুই রকম চিত্র। এক পাশে নদীর তীর ঘেষে সিমেন্ট ও সুতা কারখানা গুলোর ইট সিমেন্টের শৈল্পিক আভিজাত্য। অন্যদিকে বয়ে চলা নদী স্রোতে নৌকা, ট্রলার আর জাহাজ গুলোর অদ্ভুত বিচরণ। অন্ধকার ধলেশ্বরী নদীর বুক চিড়ে বাঁকা চাঁদের মতো বেঁকে মাটিতে স্পর্শ করে আছে চীন মৈত্রী সেতু। নদী তীর থেকে আসা অসংখ্য আলোক বিচ্ছুরণ ভিন্ন সৌন্দর্যময়তার সৃষ্টি করেছে।
ঠিক পাঁচ বছর আগের কথা। এমন গরমের দিনের দুপুরে চেম্বারে দুটো ফাইল রেডি করে চেয়ারেই তন্দ্রাঘোরে ছিল।
হঠাৎ মুহুরি রফিক দু'জন নারী পুরুষকে নিয়ে ঢুকল।লোমহর্ষক খুনের কেস। স্ত্রী স্বামীকে ছয় টুকরা করেছে।
মহিলা একজন গার্মেন্টস কর্মী। পাশে থাকা ছেলেটি তাঁর ছোট ভাই রুস্তম। সে একটা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নাইটগার্ড।
মুহুরি রফিক আগেই জানিয়েছিল। এ জাতীয় কেস গুলো জেতার ক্ষেত্রে অভিষেকের বেশ নাম আছে।সুফিয়ার ভাই রুস্তম অনেক জায়গায় চেষ্টা করেছে বিচারের জন্য। বোনকে বাঁচানোর তাঁর আপ্রাণ চেষ্টা। গরীব বলে কেসটা কেউই লড়তে চায়নি।
অভিষেক ঠিক হয়ে বসল। দু'জনকে সামনের চেয়ারে বসতে বলল। কিন্তু সুফিয়া কেমন অদ্ভুত আচরণ করছিল। কি যেন সে বলতে চায়। আর রুস্তম তাঁকে শাসাচ্ছে। কোন ভাবেই বোনকে বলতে দিবে না।
অভিষেক দুই ভাই বোনের অনেকটা ধস্তাধস্তি দেখে ধমক দেয়। তারপর শান্ত হয়ে বসতে বলে।
রুস্তম তবুও বোনকে চোখ বড় করে ইশারা করতে থাকে।তাঁদের আগমন আর অদ্ভুত আচরণে অভিষেকের তন্দ্রা কেটে যায়।
মুহুরি ফাইলটা সামনে দেয়। মামলার এজাহার ও পত্রিকার কাটিং সহ সব কিছু ভাল করে দেখে। গর্ভবতী হওয়ায় শর্ত সাপেক্ষে জামিনে বের হয়েছে। তবে মামলার তদন্ত চলছে।
অভিষেক নড়েচড়ে সিরিয়াসলি বসে। রুস্তমকে এবার কঠিন করে ধমক দেয়। তারপর সুফিয়াকে মন খুলে বলতে বলে।
ক্লান্ত সুফিয়া কিছুক্ষণ কেমন তাকিয়ে রইল অভিষেকের দিকে । তারপর হাউমাউ করে কেঁদে বলল," স্যার আমিই হারামিটারে মারছি। খাওনের সাথে বিষ মিশায়া মারছি। তারপর বটি দিয়া ছয় টুকরা করছি সারা রাইত ধইরা। স্যার আমারে ফাঁসি দ্যান। আমার কোন বাঁচনের ইচ্ছা নাই। "
সুফিয়ার গগনবিদারী চিৎকারে কখন যে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে অভিষেক টেরই পায়নি। সুনসান নীরবতা নেমে এল।কথা বলতে বলতে সুফিয়া হাঁপিয়ে গেল। অভিষেক এক গ্লাস পানি খেতে খেতে মুহুরিকে নাস্তা আনতে পাঠাল। তারপর সুফিয়াকে বলল," তোমার ফাঁসি হলে সন্তানটার কি হবে। কেন এমন করে সন্তানের পিতাকে মারলে?
"স্যার আমার দশ বছরের সংসার। দশ দিন শান্তি পাই নাই। দুই জনেই গার্মেন্টসে কাম করতাম। হের টেকা বাপ মা ভাই বোনের পিছনে যাইত। আমার টেকা দিয়া সংসারটা কুনোরকমে চালাইতাম..."
অভিষেক আরও মনোযোগ দিয়ে শোনে," তারপর কি হল? "
-- স্যার আমগো বাচ্চা হইতো না। আমি ওরে ভালবাসতাম বইলা এক লগে থাকছি। ওর সব দোষ গুলি সইয়া গেছি। আমি টিনের কৌটায় টেকা রাখতাম। সেগুলি চুরি কইরা নিয়া অন্য বেডিরে লইয়া ফূর্তি করত।
-- শশুর শাশুড়িকে জানাও নাই?
-- স্যার হেরা পুলার টেকা পাইয়া ভাল মন্দ বিচার করত না। সব দোষ আমার ঘাড়ে দিত।
--- তারপর
-- স্যার বছরে বছরে বান্দির পুলার একটা কইরা বদমাইশি ধরা পড়ত। আমি সংসারের আশায় মাফ কইরা ভুইলা থাকতাম। ও নটি মাগীর পুলা স্যার! খানকির পোলারে আরও টুকরা করা উচিত আছিল। সকাল হইয়া গেছিলো গা। "
রুস্তম গালিগালাজ শুনে অপ্রস্তুত হয়ে বড় বোনকে ধমক দেয়। উদভ্রান্ত সুফিয়া হাত দিয়া ভাইকে থামায়। তাঁর ভেতরে চূড়ান্ত আবেগের ঢেউ উথাল পাথাল করছে। সমগ্র ঘৃণা, রাগ, না পাওয়ার কষ্ট নড়েচড়ে উঠছে।
অভিষেক রুস্তমকে থামায়। সুফিয়াকে শান্ত ভাবে বলতে বলে। এই ফাঁকে মুহুরি আসে পিয়াজু পুড়ি নিয়ে। হঠাৎ অভিষেকের মনেহল একজন গর্ভবতী মায়ের কথা। পুনরায় চেম্বারের আরেক স্টাফকে বিরিয়ানি আনতে পাঠায়।
সুফিয়ার ভেতরের সমস্ত কষ্টের ঢেউ যেন অভিষেকের বিবেক বুদ্ধিকে ভোঁতা করে দিচ্ছে।বুকের ভেতরটা কেমন বিবশ হয়ে যাচ্ছে।
অভিষেক আরও মনোযোগ দিয়ে কথা গুলো শোনে। মনের মধ্যে হাজারও প্রশ্ন ভিড় করে।
--- আচ্ছা কিভাবে খুন করলে?
-- "স্যার হঠাৎ কইরা আল্লাহ আমগো একটা বাচ্চা দেয় পেটে। এতো বছর পর বাচ্চার কথা ওরে কইলাম। কিন্তু ওর ভিতরে সংসার ও বাচ্চার কোন আবেগ আগ্রহ নাই। আমার সন্দেহ বাড়ে.... "
--তারপর
কাঁদতে কাঁদতে সুফিয়ার মুখে ফেনা উঠে যায়।চোখের পানি আর মুখের লালা এক হয়ে যায়। এই সময়ে বিরিয়ানি আসে। রুস্তম আর তাঁর বোনকে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়।
অভিষেক দেখে কতো বছরের ক্ষুধা যেন সুফিয়ার পেটে।কয়েক মিনিটেই এক প্যাকেট বিরিয়ানি চেটেপুটে শেষ। এডভোকেট অভিষেক আরও ধৈর্য্য নিয়ে বসে।
এবার বলো তারপর কি হলো...
সুফিয়া আঁচল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলে। কুত্তার বাচ্চায় ভাত কাপড়ে খাওয়া খাদ্যে অনেক কষ্ট দিত স্যার। আমি গার্মেন্টসে কাম কইরা বাজার হাট করতাম। নিজের ভবিষ্যৎ সংসার লইয়া কথা কইলেই মাইর দিত। মারতে মারতে স্যার আমারে অজ্ঞান বানাইয়া ফেলত। সুফিয়া আবারও কাঁদতে থাকে। রুস্তম এবারই প্রথম বোনের পিঠে হাত রেখে স্বান্তনা দেয়।একজন অসহায় বোনের পাশে এক অসহায় ভাইয়ের করুন মুখখানি এডভোকেট অভিষেককে গভীর সমুদ্রের নোনাজলে টেনে নিয়ে যায়। একজন আইনজীবীকে এসব সিরিয়াস ইস্যুতে আবেগপ্রবণ হতে নেই। আইনের দৃষ্টিতে সুফিয়া একজন অপরাধী। একজন মানবিক মানুষ হিসেবে সে তাঁর ক্লাইন্ট। আইন অন্ধ। আইনজীবীর কাজ হচ্ছে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা।
সুফিয়া কিছুটা শান্ত হওয়ার পর এডভোকেট অভিষেক জিজ্ঞেস করে, "আচ্ছা বিষেই তো মারা যেত। তুমি বটি দিয়ে টুকরা করলে কেন?"
সুফিয়া কোন উত্তর দেয় না। ফ্যাল ফ্যাল করে অভিষেকের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ । তারপর কান্না ভেজা কন্ঠে বলে, " স্যার, রাগ। অনেক রাগ আমার হের উপরে। আমারে ঠকাইছে। আমারে ঠকাইয়া আরেকজন নিয়া থাকব। আমার এতো কষ্টের তিলে তিলে জমাইন্না টেকা দিয়া ফূর্তি!আমার অন্ধ বিশ্বাস নিয়া খেলছে। আমার বিশ্বাসরে অসম্মান করছে।"
আবারও ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে। পেটে পাঁচ মাসের বাচ্চা। অভিষেক নিস্তব্ধ হয়ে যায়। মনে মনে ভাবে কী ভয়াবহ কষ্ট নিয়ে একটি বাচ্চা পৃথিবীতে আসছে।
অভিষেক শান্ত কণ্ঠে বলে," আল্লাহ না করুক তোমার কিছু হইলে বাচ্চাটার কি হবে!"
সুফিয়া মনেহয় এবার সম্বিৎ ফিরে পেল।গভীর মায়ায় নিজের পেটের দিকে একবার আরেকবার নিজের ভাইয়ের তাকিয়ে আবারও হাউমাউ চিৎকার, " স্যার আমার বাচ্চাটারে দেইখেন। আপনারা আমার বাচ্চাটারে দেইখেন"
এই বার বোনের সাথে ভাই রুস্তম ও ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। অভিষেক অবাক বিস্ময়ে দেখল তার সামনে এই মুহুর্তে বসে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় দু'জন ভাইবোন।প্রতারিত হওয়ার এক ভয়াবহ যন্ত্রনা। সে যন্ত্রনায় ভারসাম্যহীন সুফিয়ার বুকফাটা আর্তনাদে
দুফোঁটা চোখের জল যেন অভিষেকের চিবুক ও ছুঁয়ে যায়।
কোন রকমে নিজেকে সামলে নিয়ে কেসটা ফাইল আপ করা শুরু করে।
অনেক মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করে, নিজের পকেটের টাকা খরচ করেও কেসটা কোন ভাবে সুফিয়ার পক্ষে যায়নি।
বেশ কয়েক বছর কেটে যায় কেসের শুনানি আর সাক্ষীর নানা জটিলতায়। এরমধ্যে সুফিয়ার একটি ছেলে হয়। ছেলেটির নাম রাখা হয় সুরুজ মিয়া। নবাগত শিশুটির সমগ্র দায়িত্ব নেয় এডভোকেট অভিষেক। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার সকল ধরনের অভিবাবক হয়।একটা অনাথ শিশু আশ্র‍য় কেন্দ্রে বাচ্চাটিকে রাখা হয়।
গত পাঁচ বছরে এই ধলেশ্বরী নদীর উপর দিয়ে অভিষেক বহু বার গিয়েছে। আজকের এই চীন মৈত্রী সেতু একটু অন্যরকম।একটু বেশি একাকী।নিচে বহবান ধলেশ্বরী আর উপরে অন্ধকার নিঃসঙ্গ আকাশ!
দূর থেকে নদী তীরের বাতি গুলো জোনাকপোকার আলোর মতো চোখ ছুঁয়ে যাচ্ছে।
একজন আইনজীবীকে এই সমাজ দুই চোখেই দেখে। কখনও সমাজে কল্যানকামী মানবিক প্রাণ। অন্যদিকে
টাকা লোভী মিথ্যাবাদী। কিন্তু আজকে অভিষেকের নিজেকে মানুষ হিসেবে বড্ড অসহায় লাগছে। কখনও একজন আইনজীবী কেসে হেরে যাওয়া, প্রাণ রক্ষা করতে না পারার কষ্ট নিতে পারে না। তাঁর ভেতরেও মানবিক বোধ ডুকরে কাঁদে। অভিষেকের চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে উঠে।
এতোক্ষণে সেতুর জ্যাম কেটে গেছে। নদীর বুকে নৌকা, ট্রলার আর জাহাজ চলাচল কিছুটা কমেছে। রাত যেন আরও গভীর হয়ে নিজের ভেতরের অন্ধকারকে স্পষ্ট করে তুলেছে।কখন ঘড়ির কাটা সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাতের আকাশ ছুঁয়েছে মনেই নেই।
হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে আসে।দ্রুত গাড়িতে ফিরে আসে। এক বোতল পানি একটানা খেয়ে নেয়৷খালি বোতলটা রাখতে রাখতে ভাবে এতোটা তৃষ্ণা ছিল ভাবতেই পারেনি।
ঘড়িতে সময় দেখে। তারপর মনোযোগ দেয় ড্রাইভিংয়ে। রাতের সময় অনেক ট্রাক চলাচল করে। তাই সাবধানে ড্রাইভ করতে হয়।
এডভোকেট অভিষেকের গাড়ি বাড়ির দিকে গন্তব্যে ছুটে চলে। বাম পাশের নদী থেকে একটা শীতল বাতাস এসে ছুঁয়ে দেয়।
এতোক্ষণে সুফিয়া পৃথিবী নামক নরক গ্রহ ত্যাগ করেছে।প্রতারিত হওয়া একটি অসহায় আত্মার অস্তিত্ব গভীর রাতের সাথে মিশে রইল।।
কিন্তু পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশন আর সোস্যালমিডিয়ার পুরোনো খবর হয়ে রইল বিশ্বাসঘাতক যেমন চরম শাস্তি পায় তেমনি কেউ আইন হাতে তুলে নিলেও শাস্তি পায়।
কিন্তু একটা ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প বাতাসে রয়ে গেল।
পৃথিবীতে কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাঁর অন্ধ বিশ্বাসকে দূর্বলতা ভেবে ঠকাতে নেই। বিশ্বাসঘাতকতার চরম মুল্য এভাবেই দিতে হয়।
#স্বীকারোক্তি
#নুরুন নাহার লিলিয়ান
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×