somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেলেটার একটা ভাবনার ঝুলি ছিলো...........................

১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছেলেটার একটা ভাবনার ঝুলি ছিলো। আজব সব কল্পনায় ভর্তি সেই ঝুলিটাকে কাঁধে চাপিয়ে সেই শৈশবে তার পরিভ্রমণ শুরু হয়েছিলো। আজো তা চলছেই।

একটু আনন্দ, অতঃপর অনাবিল হাসি
শৈশবে খেলার মাঠ ফেলে, ছেলেটা ঘুরে বেড়াতে বড় ভালোবাসতো। পিচঢালা পথ ধরে শুধু হাঁটা, আর নানারঙের মানুষের জীবনছবি তার নিত্যদিনের সঙ্গী। সূর্য্যিমামা বাড়ি ফেরার আগে, বাড়ি ফিরতে হবে জানা ছিলো। তবু, কখনো সূর্য্যিমামাকে বাড়ি ফেরার দৌড়ে হারানো হয়নি। মনে প্রশ্নের আলাপন ছিলো। জবাব মেলেনি কখনো। শালিকের বাচ্চা কথা বলতে পারে! কি বিস্ময়! একটা শালিকের ছানা তার চাই চাই। ছানাটাকে নামতা শেখানো হবে। লতিফ স্যারের ক্লাসে , ব্যাগে লুকিয়ে রাখলেই হবে। ১৩ এর ঘরের নামতাটা বড় যন্ত্রনার। স্যার লিখতে দিলে, পাখিটার কাছ থেকে শুনে শুনে, খাতায় তুলে নেবে। স্যারের কানটানা থেকে সেদিনের মত মুক্তি মিলবে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার কালে কিছু রাজা ফড়িং ধরে পকেটে লুকিয়ে আনা মায়ের সুতোর বান্ডিলে বেঁধে ঘুড়ি হবে। রাজা ফড়িং ধরা হয়নি কখনো। ওরা ধরা দেয়না। চলন্ত রিকশার মার্টগার্ড ছুঁয়ে দিতে পারলে বিশ্বজয়ের আনন্দ। তখন উপরের পাটির দুটো দাঁত যে উধাও হয়ে আছে, সেটা পরিস্কার বুঝা যেতো।
দলছুট ছেলেটার একা একা ঘুরেই আনন্দ। ড্রেনের উপর লাফিয়ে চলতে গিয়ে ড্রেনে পতন। অতঃপর বাসায় ফিরলে, মায়ের বকুনি আর সন্ধ্যার ঠান্ডা জলে অনিচ্ছাকৃত স্নান। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে গেলে স্কুলের মাঠে শরীর পেতে দেয়া। আকাশের মেঘগুলোকে জোড়াতালি দিয়ে রুপকথার রাজ্য বানানো।

কৈশোরে ছেলেটার জীবনে প্রেম এসেছিলো
ছেলেটার একাকী ভবঘুরে জীবনে কোথা হতে এক বালিকা এসেছিলো। বালিকাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি, সে কি পাতালপুরের রাজকন্যা? নাকি মেঘরাজার কন্যে। তবু বালিকাকে দেখতে বড় ইচ্ছে হত। বিকেলে বালিকা তার বন্ধুদের সাথে কাঠবিড়ালী খেলতো। বৌচি খেলতো। বালিকা কখনো জানলোনা। সে পড়ে গিয়ে ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলে, অচেনা এক বালকের খুব কান্না পেতো। বালিকাকে অনেকদিন দেখা যায়না, বিকেলে খেলার সাথীদের সাথে । ছেলেটা তবু যেতো। প্রতিদিন। লজ্জায়, কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়নি বালিকার কথা। তবু বালিকা, আজ অনেকবছর পরে এসেও ছেলেটা তোমাকে ভোলেনি।

যৌবনের সবকিছু যেনো বড় এলোমেলো
যৌবনের পাওয়া- না পাওয়ার গল্প যেনো ফুরাতেই চায়না। সবুজ মাঠ আর খোলা বারান্দা ফেলে ছেলেটার নাও মেট্রোপলিটন এক শহরে এসে ভেড়ে। সারারাত ধরে পথে পথে হাঁটা আর দিনের পুরোটাই ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়া। রাতপ্রহরীর বাঁধা, "কোথায় চলেছ হে? ঘরে ফিরে যাও। এ শহর নিরাপদ নিরাপদ নয়।" ছেলেটা, তবু থেমে যায়না। সে হেঁটে চলে। প্রতিরাতে। রাতপ্রহরীরা চিনে নেয়, ছেলেটা পাগলাটে।
ছেলেটার কাঁধে ভাবনার ঝুলি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৩১
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×