এক গ্রামে এক হুজুর ছিল। খুবই পরহেজগার আর ন্যায় বিচারক হুজুর ছিলেন তিনি। তার বিচারে কোন ভেদাভেদ ছিল না। তিনি কুরআন, হাদিসের আলোকে ওয়াজ নসিহতের সহিত বিচার করিতেন।
তো একদিন হইল কি হুজুর মসজিদের বারান্দায় বসে তসবি জপছিলেন আর দোয়াদুরুদ পড়ছিলেন। হুজুরের এই নিবিষ্ট মনের আরাধনায় হঠাৎ ব্যাঘাত ঘটল একটা অস্পষ্ট হৈ-হল্লাতে। হুজুর চোখ খুলে দেখলেন একটা মিছিল হৈ-হল্লা করতে করতে মসজিদের দিকেই আসছে। হুজুর তখনই দোয়াদুরুদ পড়ার গতি কয়েকগূণ বাড়িয়ে দিলেন। মিছিলটি মসজিদের সামনে এসেই চুপ মেরে গেল। হুজুর সব বুঝতে পেরে মনে মনে খুব খুশি হলেন। লোকে তাকে কেমন সম্মান করে তা তিনি চোখ বন্ধ করেই টের পাচ্ছিলেন আর আমোদিত হচ্ছিলেন। কিন্তু শত ইচ্ছা থাকলেও চোখ খুললেন না। এরই মধ্যে একজন বেশ সম্ভ্রমের সাথে গুটিগুটি পায়ে হুজুরের কাছে এসে আস্তে আস্তে বললেন, হুজুর চোর ধইরা নিয়া আসছি।
হুজুর চোখ বন্ধ অবস্থায়ই আয়াত শেষ করে বললেন, কি চুরি করছে?
উত্তর আসল, গরু।
হুজুরের চোখ বন্ধ অবস্থায়ই জবার দিলেন, ছুরি আন। চোরের হাত কাটা হবে। চুরির বিচার কোরআন হাদিসে এটাই।
শুনে তো মিছিলের মধ্যে চাঞ্চল্য বয়ে গেল। এরকম কঠোর শাস্তি লোকে খুব পছন্দ করে। তাড়াতাড়ি একজন দৌড়ল ছুরি আনতে। ওদিকে হুজুর তার তসবি পরা শেষ করে মোনাজাতের জন্য হাত তুললেন। একটা ছোট মোনাজাত দিয়ে তিনি উপস্থিত জনতার দিকে মুখ ফিরালেন। আর ফিরিয়েই তার চক্ষু চড়কগাছ। আরে চোর তো যে সে না তার নিজের ছেলে!!!!
কিন্তু করবেন কি তিনি তো রায় দিয়েই দিয়েছেন! এখন উপায়!! তড়িঘড়ি করে জিজ্ঞাসা করলেন, কেমনে ধরা পড়ল এই চোর। মিছিল থেকে চাক্ষুষ সাক্ষী বেরোল ৫-৬ জন। তার মানে তার ছেলে শেষ। তিনি কোন উপায়ই দেখছেন না ছেলেকে বাচানোর। নীতি নৈতিকতা, ধর্ম সব কিছুই তার মাথা থেকে তখন আউট। পূত্রস্নেহে তিনি কাতর হয়ে পড়লেন। যেভাবেই হোক ছেলেকে বাচাতেই হবে। ঐদিকে যে গিয়েছিল ছুরি আনতে সেও ফিরে এসেছে ছুরি নিয়ে। জণতাও উত্তাল শাস্তি কায়েম করতে। এই তার ছেলেরে ক্যাক করে ধরে এমন অবস্থা।
হঠাৎ হুজুর লাফ দিয়ে উঠলেন। বললেন, দাড়াও। আগে বল কোন রঙের গরু চুরি করছে?
একজন জবার দিল, হুজুর লাল রঙয়ের।
হুজুর তার দাড়িতে হাত বুলিয়ে বেশ ভাবের সাথে বললেন, লাল রঙয়ের গরু চুরি করলে হাত কাটার বিধান কোরআনে নাই। সাদা গরু চুরি করলে হাত কাটার বিধান আছে।
হতবাক গ্রামবাসী বিচারে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেও শাস্তি থেকে হুজুর পূত্র ঠিকই রেহাই পেয়ে গিয়েছিল।
পরিশিষ্ট: এটা সেক্স নিয়ে প্রচলিত একটা কৌতুকের খুবই খুবই পরিশিলীত রূপ। কৌতুকটা মনে পড়ল আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির আর একটা মহান কর্মের চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে।
এই হল মূল খবর:
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান হাইকোর্টের একজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য করা আবেদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে বঙ্গভবনের একজন কর্মকর্তারা জানান। খবর বাসসের।
কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গভবন থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক পত্রে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর আবেদনপত্রটিও সংযুক্ত করা হয়।
আর লিংক প্রথম আলো

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



