অসীমেরও সীমা আছে কিন্তু এ লজ্জার কোন সীমা নেই:
গতকাল থেকে ঘড়ের পাশের দেশ ভারতের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের একাডেমিক CV দেখছিলাম। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের একাডেমিক achievement specially তাদের পাবলিকেশন লিস্ট সিম্পলি ইর্শিনীয়। পৃথিবীর যেকোন ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে তুলনীয়। অনেকেই রাষ্ট্রের এমনকি আন্তর্জাতিক নানা পদকপ্রাপ্ত। এমনকি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (যা কিনা ভারতের অন্যান্য অঙ্গরাজ্য থেকে একটু পিছিয়ে) অধ্যাপক সোমনাথ দাসগুপ্তের পাবলিকেশন লিস্টের কাছাকাছিও আমাদের কোন ভাইস চ্যান্সেলরের নেই। উনার ৮০টিরও বেশি দেশী এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেল আছে। তাছাড়া উনার আন্ডারে ১৮ জন ছাত্রছাত্রী পিএইচডি করেছেন। অন্যদিকে Jawaharlal Nehru University-র ভাইস চ্যান্সেলরের আছে ২২০ এরও অধিক রিসার্চ আর্টিকেল।
পাশাপাশি খুজতেছিলাম আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস চ্যান্সেলরদের একাডেমিক CV কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গবেষনার ব্যাপারে কারো ইনফরমেশন কোথাও পাইনি। থাকবে কিভাবে? আমাদের এখানে ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার প্রসেসটাই ভিন্ন। এখানে ঐসব পদে যাওয়ার জন্য যে ladder ধরে আগাতে হয় ওটার সাথে গবেষণা বা একাডেমিক achievement এর কোন সম্পর্কই নেই। তাহলে কিসের সম্পর্ক আছে? এখানে দেখা হয় একজন শিক্ষক দলবাজি করে কতটা fermented হয়েছেন। শিক্ষকদের নানা ফোরামে নির্বাচনে কতবার জয়ী হয়েছেন ইত্যাদি। Academician দের নেতৃত্ব দিতে হলে first এবং foremost নেতাকে academically সাউন্ড হতে হয় তারপর অন্যান্য যোগ্যতা। আমাদের ভাইস চ্যান্সেলরদের একটা লিস্ট নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সাথে compare রীতিমত বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নিচে আমি পাকিস্তানের Quaid-i-Azam বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের একাডেমিক brief CV তুলে ধরলাম।
"Dr. Javed Ashraf assumed charge as Vice Chancellor of Quaid-i-Azam University on Monday, October 13. Dr. Ashraf has served as a faculty member for thirty years at four different universities in the United States. He was Dean of the Cameron School of Business at the University of St. Thomas in Houston. He also held the Cullen Endowed Professorship of Economics at the same University. Dr. Ashraf has published extensively in reputable outlets, and serves on the editorial boards of four journals. He has presented in numerous international conferences. Dr. Ashraf has won a number of awards for his research."
আমাদের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের একাডেমিক যোগ্যতা তার কাছাকাছিও কি আছে। ভারতের ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাতো বলাই বাহুল্য। যেমন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের রিসার্চ প্রোফাইল simply superb . এবার বুঝে দেখুন আমরা কোথায় আছি এবং কোন দিকে যাচ্ছি???? এই জন্যই দেখা যায় সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। কেউ আনদোলন করছে টেনে নামাতে আর কেউবা প্রদর্শন করছে শক্তি থাকার জন্য। সর্বশেষ উদাহরণ হলো শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। একজন ভিসি কতটুকু নির্লজ্জ এবং আত্মসম্মানবোধহীন মানুষ হলে পরে ছাত্রদের ব্যবহার করে শিক্ষকদের অসম্মান করার জন্য। আমি ভেবে পাইনা এত কিছুর পর উনিই বা ভিসি থাকেন কিভাবে আর সরকারইবা উনাকে রাখেন কিভাবে?
( ঢাবির একজন শিক্ষকের কাছ থেকে নেয়া )
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১