somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি বুঝি না, আমাগো কি হইব?

০১ লা জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই সাইটের হাবভাব বুঝতেই আর লেখালিখির ইচ্ছা থাকে না। বোধ করি সকাল বেলা কিছু পোষ্ট করলে এই সাইটের ব্লগার বৃন্দ পোষ্টগুলোতে চোখ বুলান। কমেন্ট করুক আর না করুক। ৎকয় বার পঠিতৎ এই জিনিসটা দেখলে একটু শান্তি পাই। রাতের দিকে এই সাইটে এন্ট্রি মারলে দেহি ছাগল..............রাজাকার বা দূর্বল লোকজন গালিগালাজ বা আজাইরা কারো বদনাম লইয়া পোষ্ট দেয়। তখন আপনে কোন পোষ্ট ছাড়লে কোন ফায়দা নাই, যত ভাল পোষ্টই হোক কেউ ফিরাও চাইবোনা। যা হোক এই সব আজাইরা কথায় না যাই।

এই যে ব্লগে আপনারা এক জনের পিছে একজন আঠার মত লাইগ্যা আছেন, কেউ কাওরে গালি দিতাছেন, কেউ কাওরে ছাগল কইতাছেন, কেউ কাওরে আবার রাজাকার কইতাছেন। কাওরো মধ্য আবার কোন বিষয়ে মিল না খাইলে আপনারা তারে সবাই মিল্লা চাইপা ধরেন। এই গুলা নিশ্চয় আমাগো কাম্য নয়।

আইচ্ছা আপনারা কি কখনো ভাবছেন যে আমরা এই গুলা ঠিক করতাছি না। আচ্ছা আমরা তো এইখানে সব র্ভাচুয়াল তাই না? কেউ কাউরো তেমন ভাবে চিনি না। সবাই সবার লেখনীতে একজনের ভিতরের মানুষটারে আঁকার চেষ্টা করি। তো আপনারা যে মাঝে মাঝে এই ভাবে গালিগালাজ এবং আক্রমন করেন একজন আরেক জনরে তাইলে আপনাগো আমার একটা কথা জিগাইতে খুব ইচ্ছা করে, আচ্ছা ধরেন এই ব্লগের দুই শত্রু কেউ কাউরে চিনে না, তারা অন্য এক জায়গায় মিলিত হইলো, আর কোন ভাবে যদি দুইজনে জানেন যে আপনারা দুইজনই দুইজনের শত্রু! তহন আপনারা কি করবেন, কি মারামারি করবেন? নাকি একটা বড় পাথর লইয়া একজন আরেক জনের মাথা ফাটাইবেন? কোন টা করবেন?

আমি সব সময় ভাবি আপনারা যারা এইসব করতাছেন তারা যদি সবাই একসাথে মিলিত হন, তাইলে কি আপনারা কেউ কারো লগে কথা কইবেন না? নাকি ছাগল, রাজাকার কইয়া আবার কাইজ্যা শুরু করবেন? এটা আসলেই ঠিক না। মনে করেন আপনার শত্রু আপনার কাছে মরনের আগে পানি চাইলো তারে কি আপনি পানি দিবেন না? নাকি মুখ ফিরাইয়া লইবেন! কোন টা করবেন।

এই যে আমরা ধর্ম লইয়া এত মারামারি করি। কার কি লাভ হইতাছে? আমরা সবাই সংখ্যাগরিষ্ট দিক থেকে মুসলমান, এইটা কি বুঝতাছেন না আমরা মারামারি করা মানে বিধর্মীগো ফায়দা হইতাছে। তারা তো মনে করেন অট্টহাসি দিতাছে আমাগো এই সব দেইক্যা। কইবো আমাগো মধ্য কোন ইউনিটি নাই। কাইল যকন আপনার ভাইরে কোন বিধর্মী কিছু কইবো তখন আপনে কিছু কইতে পারবেন না, কারন আপনি নিজেই এই বিষয় লইয়া সারাদিন কাইজ্যা করেন।

বাংলাদশের ইতিহাস বিকৃত কইরা এদেশরে খারাপ করার লাইগ্যা অনেকে আছে। মজার ব্যাপার হইল যারা বিকৃত করতে চায় তাগো কিছু করতে হইতাছে না, আমরাই আমাগো সভ্যতা আমাগো ইতিহাস বিকৃত করতাছি। নিজেরা নিজেরা কাইজ্যা কইরা নিজেগোরেই গালি দিতাছি।

মনে করেন আমাগো সবাইরে সুযোগ দেয়া হইল এইসব বিষয় লইয়া কথা কওনের তখন কি আমরা নিজেগো মতটারে উপরে রাখার লাইগ্যা এক জন আরেক জনরে গালি কিংবা তার পিছনে উইঠা পইরা লাগমু। এতে কি আমাগো নিজেগো মান হানি হইব না? ভাবেন একবার যদি কখনো দেশের প্রয়োজনে সবার একসাথ হ্ইতে হয় তাইলে আপনারা মুখ ফিরাইয়া লইবেন, নাকি কইবেন ওমুকে গেছে দেইক্যা আমি যামু না ,তমুকে গেছে দেইক্যা আমি যামু না। তাইলে ফায়দা টা কাগো হইব? সবাই নিজেগো ক্ষতি করতাছি।

ভাবেন সবাই ভাবেন। যারা বিড়ি টানেন, তারা একটান বিড়ি টাইন্যা শান্তি মত দিল লাগাইয়া ভাবেন, আর যারা বিড়ি টানেন না, তারা একটা ক্লোড ড্রিংকস খাইয়া শরীর জুরাইয়া ভাবেন, সবাই নিজেগো ক্ষতি ছাড়া লাভ কাউরো হইতাছে না।

যাই হোক ছোটমুখে অনেক বড় কথা কইলাম। আমি ও ভাবতাছি আপনারাও দয়া কইরা ভাবেন, নিজেরা নিজেরা কাইজ্যা করন মানে আরেক জনের ফায়দা হওন। সেটা যে কেউই হইতে পারে!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১০
১৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×