somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঁধ ভাঙার আওয়াজ(ম্যাউ ম্যাউ): একটি মৌলিক(আজাইরা) পোষ্ট: ডিলিট খাবে না আশা করি

০২ রা জুলাই, ২০০৭ রাত ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা এক লোক রিক্সায় চড়ে কোথায় যেন যেতে চাইলো। রিক্সায় উঠে রিক্সাওয়ালাকে বল্ল আমাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাও যেখানে আমি একটু শান্তিমত আমার কথা গুলো বলতে পারবো। আমার প্রতিভাটা দেখাতে পারবো। রিক্সাওয়ালা সেই লোকটিকে জিগ্গাসা করলো স্যার আপনি কি কথায় কথায় পল্টিখান? আপনি কি আমাগো দেশ সর্ম্পকে বেশি জ্ঞান রাখেন? আপনি কি গালিগালাজে ওস্তাদ? আপনে কি আজাইরা কথা বেশি কন? লোকটি অকপটে বল্ল হ্যাঁ। তো রিক্সাওয়ালা লোকটি কে এই জায়গার অফিসে নিয়ে গেল
। লোকটি অফিসে ঢুকেই দেখে কয়টা পোলাপাইল বিড়ি ফুকতাছে আর তাস খেলতাছে। পরিচয়ে জানা গেল এরা উপরোক্ত অফিসের যে একটা সাইট আছে তার মডু.... মানে মডারেটর। এদের কাজ সর্ম্পকে জিগাইতে এরা কইলো এরা পোষ্ট ডিলিট কইরা কইরা ট্যাকা কামায়। লোকটার চক্ষু বড় হইয়া গেল। একটু ভিতরে গিয়া দেকলো একটা ফিরিঙ্গি চোখে কাপড় বাইন্দা ঢিল ছুড়ার প্র্যাকটিস করতাছে। বড়ই আশ্চর্য। পরে কিছু লোকের লগে কথা হইলো, হঠাৎ এক জন বাঘ(বাগ) ধরা খাইছে এটা কইতে কইতে ছুইটা আইলো। আর ওমনি সবাই হাওয়া হইয়া গেল। ভয়ে লোকটার জান শেষ, পরে একজন কইলো ও কিছু না।

লোকটা খুবই মজা পাইলো এইসব কান্ড দেইক্যা। পরে লোকটা জানলো এইসব কান্ড কারখানার একটা জায়গা আছে, তারে কয় ব্লগ। এইখানে নাকি অনেক মজার মজার জিনিস হয়, মাইনে একবারে ওপেন ফিল্ড, সবাই সবাইরে গালিদেয়, সবাই সবাইরে একবারে............. গাঙ্গে ভাসাইয়া দেয়। বহুত মজা। লোকটা লগে লগে সাইটের ঠিকানা লইয়া রেজিস্ট্রেশন করলো।

পরে লোকটা সাইটে ডুইকাই করলো র্দুনীতি, মানে একদিনে আজাইরা বহুত পোষ্ট দিতে লাগলো, সবাইরে বিরক্ত কইরা ছাড়লো।

কয়দিন পরে ডলা খাইয়া লোকটা সিদা হইয়া সবার লগে আড্ডা মারতে লাগলো, তবে এর আগে কিছুদিন চোখে মুখে সরষে দেইক্যা বেচারার অবস্থা নাজেহাল প্রায়।

এর পর লোকটা নানাবিধ কথা দিয়া মানুষরে ত্যাক্ত বিরক্ত করতে লাগলো। নানা বিষয়ে নানা কথা কইয়া সে সবাইরে হিংস্র বানাইলো, কেউ কেউ হের লগে তাল দিলো, আবার কেউ কেউ হেরে গালি দিল। এর পর কিছুদিন লোকটা আবার চোখে মুখে কুয়াশা দেখলো।

হঠাৎ কইরা একদিন ছাড়পত্র দিয়া লোকটারে ব্লগ থেইক্যা বাহির কইরা দিল। লোকটা বেজার মুখে আবার একটা রিক্সার লাইগা দাড়াইলো, কিন্তু দেখলো একটা রিক্সা ওই মাথায় খারাইয়া রইচে, মাইনে পুরা উল্টা ডিরেকশনে। তখন লোকটা ভাবলো এহন কি এত কিসু পার হইয়া আবার রিক্সায় উঠবো, নাকি উঠবো না।

আপনাগো কি মনে হয়???

লেখার উপাদান গুলা যেখান থেকে পাইলাম:

ৎ খুব খেয়াল কইরা দেখেন সাম.......ইনের যে ছবিটা আছে তার ডান দিকে একটা রিক্সা আছে। তার মানে ওই লোকটা এই রিক্সায় কইরা তাগো অফিসে গেছেলো।

ৎ এর পর আস্তে আস্তে বামে চোখ বুলান, দেখবেন লেখা আছে র্দুনীতি, তাইলে লোকটা এইভাবেই র্দুনীতিটা শিখলো।

ৎ এর পর 'আ' টারে বাদ দিয়া দেখেন কেমন জানি কুয়াশা কুয়াশা টাইপের কিছু দেয়া আছে।

ৎ এর পর নিচে বামে খেয়াল কইরা দেখেন লেখা আছে 'আড্ডা' মাইনে আজাইরা আড্ডা, তার মানে লোকটা এই আজাইরা আড্ডাটাও এখান থেকে শিখছে।

ৎ এর পর উপরে দিকে তাকান দেখবেন লেখা আছে 'কথা' মানে আউল ফাউল যত কথা আছে ,লোকটা তাও এইখান থেকেই শিখছে। এবং কিছুদিন ডলা খাইছে।

ৎ এর পর 'অ' টারে বাদ দিয়া দেখেন আবার কিছু কুয়াশা, মানে আবার তারে কেডা জানি চোখে মুখে একবারে সরষে লাগাইয়া দেছে।

ৎ এর পর নিচে বামে খেয়াল করেন লেখা আছে 'ছড়াপড়' তো আমি এইটারে ছাড়পত্র বানাইছি, এবং হঠাৎ কইরা কেডা জানি তারে এইটা দিয়া দিছে।

ৎ এর পর সর্ববামে দেখেন আছে খালি জায়গা মাইনে কোন রিক্সা নাই, তাইলে এইবার লোকটা কি করবো আপনারা কন? হে কি আবার এইগুলার ভিতরে দিয়া ওই রিক্সায় উঠবো, নাকি হারাজীবন এইখানে খারাইয়া থাকবো।

ৎ আরেকটা কথা কই, একবারে বামে দেহেন আছে গাছ টাইপের কিছু। এইটারে আমরা ধইরা লইলাম ছোটখাট বন টাইপের কিছু। তাইলে এইবার লোকটা কি করবো?

বনে গিয়া মুখ লুকাইবো? নাকি! আবার গিয়া ওই রিক্সায় উঠবো?

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০০৭ রাত ১২:০০
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×