বোরো খেতের নালায় পড়ে ছিল এক নারীর লাশ। কাছেই কাঁদছিল একটি শিশু। শিশুটির ছোট্ট শরীরের অর্ধেক ছিল মাটির নিচে। পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা, ওই নারীকে হত্যার পর তাঁর শিশুসন্তানকে মাটিতে পুঁতে রাখে দুর্বৃত্তরা।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের কবিলপুর গ্রামে গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কবিলপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর স্ত্রী সাবানা বেগম (৫৫) গতকাল সকাল আটটার দিকে বাড়ির পাশে একটি শিশুর কান্না শুনতে পান। তিনি গিয়ে দেখেন, প্রতিবেশী মন্নর খাঁর বাড়ির কাছে অর্ধেক শরীর মাটিতে পুঁতে থাকা অবস্থায় একটি শিশু কান্নাকাটি করছে। এ দৃশ্য থেকে তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। পরে তাঁরা শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
গ্রামবাসী জানান, এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর ২০০ গজ দূরে বোরো খেতে কৃষকেরা কাজ করতে গিয়ে নালার ভেতর এক নারীর লাশ দেখতে পান। আদাঐর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাশেদ মিয়া জানান, ওই নারীর লাশের পাশে শিশুটির জামাকাপড় পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি ওই নারীরই সন্তান।
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ খায়েরুজ্জামান জানান, পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। শিশুটিকে ইউপি সদস্য নুরজাহান বেগমের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এসআই বলেন, ওই নারীর হাত-পা ছিল বাঁধা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অথবা ভোররাতে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। নিহত নারীর পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নালায় পড়ে ছিল এক নারীর লাশ, কাছেই কাঁদছিল শিশুটি !