১.কল্পনা করেন সারাজীবন আপনাকে শেখান হয়েছে পৃথিবী সমতল,সেভাবেই পদার্থবিজ্ঞানের সব সূত্রগুলি জেনেছেন। তারপর একদিন কলেজে ওঠার পর আপনাকে বলা হল যা,"এই দেখ একটা গ্লোব, এতদিন যা শিখেছ সব ভুল"। কেমন লাগবে ?
ঠিক এই কাজটিই করে আসা হচ্ছে গ্র্যাভিটি নিয়ে। গ্র্যাভিটি সম্পর্কে আপনাকে খুব সম্ভব বলা হয়েছে,"ভরযুক্ত দুটি বস্তু পরস্পরকে যে আকর্ষণ করে তা বস্তুদ্বয়ের ভরের উপর নির্ভর করে"। তাই এটা ভাবা জায়েজ আছে যে, আলো কখনই গ্র্যাভিটি দ্বারা আকর্ষিত হয় না কারণ আলোর ফোটনের ভর শুন্য। অন্তত আমি তাই ভাবতাম। কিন্তু ধারনাটি ভুল। গ্র্যাভিটি বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না এটি নির্ভর করে শক্তি ও ভরবেগের উপর।
তাই আলোর ফোটন ছুটে চলার সময় নক্ষত্র,গ্রহের দিকে যেমন আকর্ষণ অনুভব করে তেমন নক্ষত্র, গ্রহগুলিও আলোর কণার দিকে আকর্ষণ অনুভব করে। যদিও তা অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি নগণ্য ,কিন্তু শুন্য নয়।
আসলে নিউটনের ল অফ গ্র্যাভিটেশন চাঁদে যাওয়ার জন্য নিখুঁত কিন্তু পারফেক্ট না, আর জেনারেল রিলেটিভিটি বেটার ।
২.মনে করেন ২ মাইল/ঘণ্টা বেগে ছুটে চলা ট্রেনের উপর দিয়ে ২ মাইল/ঘণ্টা বেগে একটি ভেড়া ছুটে চলছে। কমনসেন্স বলে , ভেড়াটি স্থলভূমি সাপেক্ষে (২+২) বা ৪ মাইল/ঘণ্টা বেগে চলবে,কিন্তু না। স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি নিয়ে করা একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে চলমান বস্তুদ্বয়ের বেগের যোগফল সাধারণভাবে করা যোগফলের সমান হয় না।
আসলে এক্ষেত্রে ভেড়াটি ৩.৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৬৪ মাইল/ঘণ্টা বেগে স্থল ভূমি সাপেক্ষে ছুটে চলবে।
৩.মনে করেন, আমার একটি বিড়াল আছে। বিড়ালটি থেকে আমি ১০ হাজার কিঃমিঃ দূরে দারিয়ে আছি আর আপনি আমার থেকে ১০ হাজার কিঃমিঃ দূরে দারিয়ে আছেন। তাহলে আমার বিড়াল আর আপনার মধ্যে দূরত্ব যদি সরল রেখার মাধ্যমে পরিমাপ করা হয় তাহলে কত হবে ?
যদি বলেন ২০ হাজার কিঃমিঃ তাহলে আপনার ধারনা ভুল।
পৃথিবী গোল হওয়ায় আপনি যতই দূরে দাঁড়ান না কেন কখনই পৃথিবীর ব্যাস ১২,৭৫০কিঃমিঃ এর বেশি দূরে দাঁড়াতে পারবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩