ফাইনাল ইয়ারে আমি এখন।
কাঠখোট্টা বইগুলো পড়েই কাটালাম অনেক বছর। জানি, আরো কাটাতে হবে। কারণ সার্কিটে আটকা পড়ে গেছি, অনেকভাবে। বের হতে পারছি না। এক বছর পরেই হয়তো নামের আগে-পিছে কোথাও ‘ইঞ্জিনিয়ার’ যোগ হবে, কিন্তু তাতেও খুব বেশি কিছু যাবে আসবে বলে মনে হয় না।
যাইহোক, শুরু করাটা জরুরি না, কিন্তু নিজের গল্প বলে যাওয়াটাই জরুরি।
মাঝে মাঝে মনে হয়, খুব একান্ত ব্যক্তিগত গল্পগুলো বলার জন্য অচেনা হওয়াটা প্রয়োজন। সংকোচ থাকে না, পিছুটান থাকে না। নিজের খোলস না থাকাটাই কখনও কখনও জরুরি। সেটা হতে পারে অনেক অচেনা মানুষের ভিড়ে, আবার হতে পারে সম্পূর্ণ একা। যার সাথে জীবনে আমার দ্বিতীয়বার দেখা হবেনা, আমার সবচেয়ে গোপন কথা কিংবা সবচেয়ে গোপন পাপ তার সাথে ভাগ করতে কিন্তু ভালোই লাগবে।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তৈরি করার পর স্রষ্টা যুক্তি আর নিয়মের সুন্দর একটা সীমারেখায় বেঁধে দিলেন সবকিছু। প্রোটন আর হিলিয়ামের খেলায় অনন্তকাল ধরে সবাইকে আলোকিত করে জ্বলছে একজন। ওদিকে আরেকজন ঘুরছে তো ঘুরছেই, একমুহূর্তের বিশ্রাম নেই সামান্য একটা ইলেক্ট্রনেরও। এমনকি বিপরীত লিঙ্গ হবার পরও ডাইপোলের পজিটিভ-নেগেটিভ উন্মুক্ত সীমানায় কোনও মিলন ঘটে না কোনওদিন।
নিয়ম রক্ষার এই কঠিন খেলা কাদের জন্য জানেন? আমাদের জন্য।। আমার জন্য, আপনার জন্য। আবেগের বিলাসিতাটুকু তাই মানুষেরই সাজে। হতে পারে, এটা আমার আঙ্গুল আর কিবোর্ডের যৌথ বানোয়াট কল্পনা, কিন্তু এটাই আমার বিশ্বাস।
আমি একটা ভুলের জন্য তাই অনেক আশা নিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে পারি। যেই মেয়েটাকে আমার অনেক ভালো লাগে, আমি শুধু ওর সাথে থাকার জন্য পড়াশুনার মত ‘অপছন্দের’ কাজও করতে পারি। এমনকি একসময়ের খুব ভালো বন্ধুকে অন্ধভাবে ঘৃণাও করতে পারি।
‘আমিত্ব’ নিয়েই আমার অনেক অহংকার আসলে। নিজের ভুল নিয়েও আমি গর্ব করি। কারণ সবকিছু পারফেক্ট হলে গল্প হয় না, আর আমি তো একজন লেখক। আমার গল্পের প্রধান চরিত্র আমাকেই হতে হবে।