somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের অ্যাস্ট্রনমি

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হরতালের দিন ফার্মগেট থেকে ক্লাস করতে যাওয়া এমন কিছু ছিলো না। কিন্তু বাসায় বলতাম, হরতালের আগের রাতে হলে থাকা-ই নিরাপদ। এভাবে আগের সন্ধ্যায় চলে যেতাম।

তারপর আমরা দুইজন ঘুরতাম, কখনও রিকশায় কিংবা কখনও পায়ে হেঁটে। মিরপুর DOHS এর নতুন লাগানো সোডিয়ামের নিচে রিকশায় বসে গান গাইতাম। রিকশা এর মাঝে ইসিবি ক্যান্টিন পার হয়ে, সাগুফতা পর্যন্ত ঘুরে আবারো একই জায়গা চলে আসতো। তখন আমাদের কেউ একজন গলা উঁচিয়ে বলতাম, মামা, আরেকটা চক্কর দেন তো।।

ঐ মেয়েটার চোখ খুব সুন্দর। আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম ও যখন দুই হাত নাচিয়ে গল্প করতো।

মেয়েদের হলে ঢোকার সময় ১০টা। আর আমরা নয়টা সাতান্নতে গল্প অসম্পূর্ণ রেখে রিকশা থেকে নামতাম। অসম্পূর্ণ গল্প কখনই শেষ হওয়ার কথা ছিলো না। আমারও অনেক ইচ্ছা ছিলো, ও যখন ওর পাগলামিগুলা করবে, আমি ওর পাশে দাঁড়িয়ে থাকবো। অন্তত ওর বিয়ের আগ পর্যন্ত।

কিন্তু থার্ড ইয়ারে উঠতে উঠতে গল্প ফুরায় গেলো কিভাবে যেন। এখন আমি ওকে ফোন করে প্রায়ই চুপ করে থাকি। ওর সাথে কথা না বলে হেঁটে চলে যাই। তারপর ওর থেকে দূরে গিয়ে আমাদের লম্বা প্ল্যানগুলোর থেকেও লম্বা একেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তগুলো খুব অল্পসময়ের জন্যই বোধহয়।

ওর ইচ্ছা ছিলো অ্যাস্ট্রোনমি পড়ার। কিভাবে কিভাবে এখন আমার সাথে কাঠখোট্টা ইলেকট্রিকাল পড়তে এসে জুটেছে। তবুও ওর সাথে ঘুরতে ঘুরতেই ভাবতাম, অ্যাস্ট্রনমির আকাশ তৈরি করা মনে হয় এতই সহজ।

কিন্তু ঐ আকাশটা কখনও তৈরি হবে না আর, জানেন। মাঝে মাঝে মনে হয়, কতবড় সাহস আমার, আকাশ তৈরির প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছিলাম। তবে ভুলটা মনে হয় ইচ্ছা করেই করা। কারণ তখনও ভাবতাম, লেখকেরা নাকি সবকিছু নিজের মত করে বানিয়ে ফেলতে পারে।

তবে আমি যদি সত্যিকারের লেখক হই কোনওদিন, আমার কিবোর্ড কিংবা খাতায় আমি ঐ আকাশটা বানাবো। অমাবস্যা হবে না ঐ আকাশে, এতটুকু শুধু বলতে পারি।

জানিনা সেটা কবে। কয়েকদিন পরও হতে পারে, আবার ওর বড় বড় চোখের চারপাশ সংকুচিত হতে শুরু করার পরও হতে পারে।
কিন্তু গল্পটা আমি ওকেই উৎসর্গ করবো।

৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×