বাকশাল কি জিনিস আমরা নতুন প্রজন্ম দেখিনি কিন্তু এখন অনুভব করছি। এখন যা হচ্ছে তা হলো স্বাধীন বিচারের নামে তামাশা। আর সরকার তাদের দলীয় বিচারকদের দ্বারা এই কাজ গুলো করিয়ে নিচ্ছেন।
২০০৬ সালের ৩০ শে নভেম্বর আওয়ামীলীগ এর মহামান্য বিচারপতিরা যে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধার অনন্য এবং বিরল নজির রেখেছেন আদালত ভাঙচুর ও অবমাননা করে তার বিচার কি জাতি কোনো দিন দেখতে পাবে না? এই বাংলার আদালতে যদি এর বিচার না হয় তবে পরকালে অবশ্যই এর বিচার হবে।
সত্য ঘটনা লেখায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ৬ মাসের কারাদন্ড দিল গতকাল আদালত।
প্রধান বিচারপতি গতকাল আদালতে বলেন: কোন সত্য কথাও আদালতের জন্য অবমাননাকর হলে সেটা আদালত অবমাননা বলেই বিচার্য হবে।
তার মানে সত্য কথা বলা যাবে না....... এত দিন কি আমরা ভুল শিখলাম সদা সত্য কথা বলিবে কদাচিৎ মিথ্যা বলিবেনা। তাহলে নতুন করে বলতে হবে সদা দালালি করবে কখনো দালালি ছাড়বে না তাহলে সরকারের রেষানলে পড়বে।
এরপর ও কি কেউ বিশ্বাস করেন দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে এবং বিচার বিভাগ নাকি এখনও স্বাধীন। এর নাম যদি স্বাধীনতা হয় তাহলে পরাধীনতা কি?
এত রিমান্ড, মামলা, জেল ও অত্যাচারের পরও সে সরকারের মিথ্যা অভিযোগ এর সামনে মাথা নতও করেনি এবং ভেংগেও পড়েনি। একজন আদর্শ মানুষই কেবল এত সাহসীকতা, দেশ প্রেম ও দৃঢ়তা দেখাতে পারে।
স্যালুট তোমায় হে সত্যের সৈনিক..... তুমি পথ দেখিয়ে গেলে আশা করি এই দেখানো পথ থেকে অনেকেই শিক্ষা নিবে ও সত্যের পথে চলার সাহস পাবে........