somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অজ্ঞ বালক
আমি আসলে একজন ভীষণ খারাপ মানুষ। তবে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দুর্দান্ত অভিনয় করতে পারি বলে কেউ কিছু বুঝতে পারে না। সে হিসাবে আমি একজন তুখোড় অভিনেতাও বটে!!!

গ্রীক পুরাণের পাতা থেকেঃ প্রমিথিউস ০১ - জিউসের আবদার

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রমিথিউস, টাইটান ইয়াপেতুস আর ওশেনিড ক্লাইমেনের ছেলে। তার গুণের কথা বইলা শেষ করা যাইবো না! সে একই সাথে শক্তিশালী, অসম্ভব রকমের সুদর্শন, বিশ্বস্ত, বিনয়ী, রসিক, ভদ্র আর সর্বোপরি সহানুভূতিশীল।



সঙ্গী হিসেবে তার তুলনা মেলা ভার। সব দেবতাই অবসর সময়ে তার সঙ্গ পছন্দ করতো, বিশেষ করে জিউস। দেবতাদের রাজা তিনি, কাজের শেষ নাই, তাও অবসর পেলেই জিউস আর প্রমিথিউস একসাথে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাইতো। সেখানে নিরালায় বইসা দিনদুনিয়ার সব বিষয় নিয়া আলাপ চলতো দুই বন্ধুর মধ্যে। ভাগ্য, বন্ধুত্ব, পরিবার, যুদ্ধ, অদৃষ্ট থেইকা শুরু কইরা আরও নানা ভালো-মন্দ, কথ্য-অকথ্য বিষয়ে দুই বন্ধু আড্ডা দিত। এহেন বন্ধুর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধইরাই পরিবর্তন লক্ষ্য করতেসিল প্রমিথিউস। কেমন যেন বিরক্ত, ভাব ধইরা আছে জিউস। ঘুরতে যাইতে নিমরাজি, আগের মতন হাস্যরসে অংশ নিতাছে না, মুখ গোমড়া কইরা আছে আর সময়ে সময়ে চেইতা উঠতেছে যার-তার উপর। ঠান্ডা মেজাজের, শান্ত-সদা প্রফুল্ল দেবতাদের রাজা যেন কই হারাইয়া গেছে। অবশ্য দিনকাল একটু ব্যস্ত কাটতেসে, এইটা সেই সময়ের কথা যখন মাউন্ট অলিম্পাসে বারো জন দেবতা মিলে দেবসভা স্থাপন করতেছে। কাজেই, প্রমিথিউস পরিস্থিতির দোষ দিইয়া মাইনা নিলেন এই পরিবর্তন।

সপ্তাহখানেক পরের কথা। থ্রাসের সুবিস্তৃত-সুবাসিত তৃণভূমিতে ঘাসে শরীর এলাইয়া শুইয়া ছিল প্রমিথিউস, চোখ লাইগা আসছে। ঘুম ভাংলো পা ধইরা কেউ ক্রমাগত ঠেলা দিতেসে বুইঝা। চোখ খুইলা দেখলেন, আর কে? জিউস! সেই আগের মতই, রঙ্গ-রসে ভরা, আগের চাইতেও বেশী প্রাণবন্ত। বাচ্চাদের মত খুশিতে যেন নাচতেসেন জিউস। রোদের তাপে সইরা যাওয়া কুয়াশার মতন তার মধ্যে থেইকা গত কিছুদিনের বিরক্তি পুরাই উধাও।

"এই প্রমিথিউস, উঠ ব্যাটা জলদি!"
"উঠাইছেনই তো। হইছে টা কি?"
"দিনটা সুন্দর না? আজকে আমরা একটা বিশাল কাজ করমু। এমন কাজ যা নিয়া যুগ যুগ ধইরা গল্প করবো সবাই, এমন কাজ..."
"আবার ভাল্লুক শিকারে যাওয়ার শখ হইসে?"
"আরে ধুর, ভাল্লুক-উল্লুক রাখ। আমার মাথায় একটা দারুণ চিন্তা আইছে। চল আমার লগে।"
"কই?"

জিউস সে কথার উত্তর না দিয়া প্রমিথিউসের কাঁধে হাত দিয়া ঘাসে ভরা মাঠের মধ্যে দিয়ে হাঁটা শুরু করলেন। মাঝে মাঝে আপনমনে হো হো কইরা হাইসা উঠতাছেন জিউস, আগে থেকে তার চরিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে প্রমিথিউস ভাইবা নিত যে জিউস মধু দিয়া বানানো মদ খাইয়া মাতাল হইয়া আছে।

"তোমার মাথায় যা ঘুরতাসে," নিজের থেকে উদ্যোগ নিয়া কথা কওয়া শুরু করলো সে, "আমারে তার শুরু থেকে বিস্তারিত কও আগে।"
"ভালো কথা, শুরুর কথাই কই। ঠিক কইসোস। শুরু থেইকাই বলা দরকার। আচ্ছা, এইখানে বইসা লই আগে।"
মাটিতে পইড়া থাকা একটা গাছের গুড়ির দিকে আঙ্গুল তুইলা দেখাইলেন জিউস। প্রমিথিউস পিঁপড়া-পোকা আছে কি না দেইখা, হালকা ঝাইরা-ঝুইরা বইসা পরলো।

"আচ্ছা, এই সব কিছুর, মানে সৃষ্টির শুরু কেমনে হইছে একবার ভাব। ক্যাওস, বা একটা গোলমাল থেইকা। সেইখান থেইকা প্রথম শ্রেণীর দেবতাদের জন্ম হইলো - ইরেবাস, নিক্স, হিমেরা আর অন্য যারা আছে। এরপর আইলো দ্বিতীয় শ্রেণীর দেবতারা, আমাদের দাদা-দাদী যাদের কওয়া যায়, গাইয়া আর ইউরানোস। ঠিক কইলাম না?"
প্রমিথিউস মাথা ঝাঁকাইয়া সম্মতি দিল।
"গাইয়া আর ইউরানোস দুনিয়াতে জন্ম দিল এক অলুক্ষুণে জাতিরে, টাইটান..."
"বুইঝা শুইনা কথা ক।" চেইতা উঠলো প্রমিথিউস। চেতাই স্বাভাবিক, সে নিজেও তো টাইটান।
জিউস অবশ্য নিজের মত কইরা কইতেই থাকলো, "... এরপর আসলো জলপরী নিম্ফরা, আত্মার বহিঃপ্রকাশ বা স্পিরিট, ছোটোখাটো দেবতারা, দানোরা আসলো, আসলো জন্তু-জানোয়ার। সব শেষে আসলাম আমরা, দেবতারা। স্বর্গ, মর্ত্য অবশেষে সম্পূর্ণ হইলো।"
"মাঝখানে যে আমার জাতির সাথে লম্বা একটা যুদ্ধ করতে হইছে তোমাগো, যেইটা আবার আমি সাহায্য না করলে হাইরা ভূত হইয়া যাইতা-এই জায়গাটা মনে হয় বাদ গেছে তোমার কাহিনী থেইকা।"
"আচ্ছা বাপ, ঠিক আছে, মানলাম তোর কথা। কিন্তু, দিনশেষে ফলাফলটাই আসল। এখন তো সব ঠিক আছে। শান্তি আর সমৃদ্ধির সুবাতাস বইতাছে চারদিকে। কিন্তু তারপরও..."

জিউস এতটা লম্বা সময় ধইরা চুপ কইরা থাকলেন যে উপায় না দেইখা প্রমিথিউসরেই কথা কইতে হইলো বিরক্তির সাথে, "দয়া কইরা বইলো না যে তুমি যুদ্ধের অভাব বোধ করতাসো!"
"আরে না না...", জিউস প্রমিথিউসের সামনে ক্লাসে জ্ঞান দিতে থাকা শিক্ষকের মত ডান থেকে বামে, বাম থেকে ডানে পায়চারি করতে থাকলেন। "হয়তো লক্ষ্য করসোস গত কয়েকদিন ধইরা আমি একটু বেলাইনে ছিলাম। কারণটা এখন কই। জানোসই তো মাঝে মাঝে আমি ঈগলের রূপ ধইরা আকাশে উইড়া উইড়া দুনিয়াটা দেখি?"
"কই সুন্দরি জলপরী আছে সেই খোঁজ করতে?"
"এই পৃথিবীটা," জিউস আবারও এমন ভাবে কথা বইলা যাইতে থাকলেন যেন শুনেনই নাই প্রমিথিউসের ফোঁড়ন, "অদ্ভুত রকমের সুন্দর। নদী-নালা, পাহাড়-পর্বত, পশু-পাখি, মরু-সমুদ্র, বন-জঙ্গল, সমভূমি-মালভূমি; সবই আছে জায়গামতন। কিন্তু, আমি যখন নীচের দিকে তাকাই, কষ্টে মনটা ভইরা উঠে, মনে হয় কি যেন নাই, কেমন ফাঁকা সবকিছু।"
"ফাঁকা!?"
"প্রমিথিউস, তোরে বুঝাইতে পারুম না একটা সুন্দর কিন্তু আদতে অসম্পূর্ণ দুনিয়ার ঈশ্বর হওয়াটা কতটা বিরক্তিকর!"
"বিরক্তিকর?"
"হ্যাঁ, বিরক্তিকর। বেশ কিছুদিন ধইরাই আমার মনে হইতেছিল আমি একদম একা, আর জীবনটা কিরকম একঘেয়ে। আর একা বলতে আমি বুঝাইতাসি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের হিসেবে আমি আসলে একা। চিরকাল, সৃষ্টির অন্ত পর্যন্ত কি এভাবেই দিন কাঁটাইতে হইবো আমারে? অলিম্পাসের ওই সিংহাসনে বইসা, কোলের উপর বজ্র নিয়া। সামনে আইসা সবাই সালাম ঠুকবো, সুনাম করবো, আমার জয়গান গাইবো, আমার থেইকা বর চাইবো। এইখানে আনন্দ কই, সুখ কই?"
"ইয়ে, মানে..."
"সত্যি কইরা ক, তোরও অপছন্দ হইতো এমন একটা জীবন কাটানো।"

প্রমিথিউস দুই ঠোঁট চাইপা গভীরভাবে চিন্তা করলো কিছুক্ষণ। নিজের দেব সিংহাসনে আসীন বন্ধুরে সে কখনো ঈর্ষা করে নাই, তার সুবিধা-অসুবিধা, দায়িত্ব-দায়ভার নিয়াও ভাবে নাই আদতে।
"আইচ্ছা, ধর, একদম নতুন কিছু একটা যদি শুরু করি।" জিউস তার আগ্রহে জ্বলজ্বল করতে থাকা চোখ নিয়া প্রস্তাব দিল।
"হ, তুমি চাইলে পাইথিয়ান খেলায় নতুন কিছু আমদানী করা যায়।"
"আরে না, ঐরকম কিছু না। নতুন কিছু বলতে, নতুন একটা কিছু সৃষ্টি করলাম। নতুন একটা প্রাণী, একটা নতুন জাতের। অনেকটা আমাদেরই মতন, দোপেয়ে..."
"একটা মাথা?"
"হ্যাঁ, মাথা একটা, হাত দুইটা। দেখতে শুনতে একদম আমাদের মতন। আমাদের মতই বুদ্ধি-শুদ্ধি থাকবো, আর ঐ যে, কি যেন বলে যেটা আমাদেরকে জন্তু-জানোয়ার থেইকা আলাদা করসে, আরে বল না প্রমিথিউস..."
"সৃষ্টিশীলতা?"
"ঐটা না, মানে যেটা আমাদের অস্তিত্বর কথা আমাদের কাছে জানান দেয়, আমাদেরকে নিজেদের, ও পৃথিবীর ব্যাপারে আগ্রহী কইরা তুলে।"
"আমাদের চেতনা, মস্তিষ্ক, জ্ঞান?"
"একদম। এটাও থাকবো আমাদের নতুন সৃষ্টিগুলার মইধ্যে। নিজেদের ভাষা থাকবো ওদের। আমাদের জইন্য বিপদজনক যাতে না হইয়া উঠতে পারে, সেইটা খেয়াল রাখতে হইবো অবইশ্য। ওরা ঐখানে মাটিতে বাস করবো, মাথা খাটাইয়া খেত খামারের কাজ করবো, নিজেরা নিজেদেরটা কইরা খাইবো।"
"হাহ..." প্রমিথিউস মনের চোখ দিয়া দেখতে পাচ্ছিল জিউসের বর্ণনা করা জাতটারে, সেই চিন্তা থেকে বের হইয়া আইসা সে বলল, "আমাদের মত একটা প্রাণি যারা আমাদের মত হইবো না, তাই তো?"
"হ্যাঁ। আমাদের মতন বড়সড়ও না। আমি সৃষ্টি করমু ওদের, মানে আমরা আর কি।"
"আমরা?"
"তোর হাতের কাজের সুনাম কে না জানে? হেফাস্টাসের মত তুইও একই রকম দক্ষ। আমি ভাবতেসি তুই এই প্রাণীগুলারে বানাইবি ধর... কাদামাটি দিয়া। আমাদের চেহারা সুরত অনুসরণ কইরা, শরীর টরিরও আমাদের মতই হইবো। খালি আকৃতিতে ছোটো। তারপর ওদের শরীরে জান দিলাম, হাঁটা চলার জ্ঞান দিলাম, সংখ্যায় বহুগুণে বাড়াইয়া ছাইড়া দিলাম পৃথিবীতে। দেখতে, কি আজব সব কাণ্ড ঘটে!"

প্রমিথিউস পুরা বিষয়টা নিয়ে ভাবতে থাকলো।
"ওদের সাথে কি আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকবো, ওদের সাথে আমরা কি কখনো কথাবার্তা বলমু, ওদেরকে কেন্দ্র কইরা কোনো পরিকল্পনা আছে আর তোমার?"
"সেটা তো আছেই। একটা বুদ্ধিমান, আবার অতটাও না, অল্প একটু বুদ্ধিমান প্রাণি আমাদের স্তুতি করবো, আমাদের কাছে প্রার্থনা করবো, আমাদের পূজা করবো। আমাদের জন্য একটা জীবন্ত খেলনা হইবো ওরা, আমাদের একঘেয়ে জীবনে মজা দিবো। ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর দেখতে কিছু প্রাণী, আমাদের আজ্ঞাবহ, অধীনস্থ।"
"ছেলে-মেয়ে, দুইরকমই?"
"ওরে বাপরে, একদম না, শুধু পুরুষ। তা না হইলে হেরা কি করবো ভাইবা দেখ একবার..."

প্রমিথিউস অবশ্য স্পষ্ট কল্পনায় দেখতে পাইতেসিলো দুনিয়া যদি দেবতাদের মত কইরা বানানো ক্ষুদ্রাকৃতির নারীতে ভইরা যায় তাহলে চরিত্রহীন বইলা কুখ্যাত জিউসের বউ হেরার মানসিক অবস্থা কি হইতে পারে। পুরা বিষয়টা নিয়া জিউস যে অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া আছে সেটাও সে দেখতেসিলো। একবার যদি এরকম উদ্ভট আর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা তার মাথায় ঢুকে তাহলে সেইটারে বাস্তবে রূপ দেয়া থেইকা জিউসকে গিগান্টেজ আর হেকাটোনকিরেসরা একসাথে দল বাঁইধা আসলেও ঠেকাইতে পারবো না।

অবশ্য প্রমিথিউস নিজেও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করতেসিলো না। বেশ মজাদার একটা পরীক্ষা হিসেবে ধরা যাক বিষয়টারে। অমর দেবতাদের জন্য মরণশীল খেলনা পুতুল। এইভাবে ভাবলে বিষয়টারে বেশ আকর্ষণীয় লাগে। আর্টেমিসের আছে তার প্রিয় হাউন্ড কুকুর, আফ্রোদিতির আছে রাজহাঁস। এথেনার আছে পেঁচা আর সাপ, পসাইডন আর এমফিত্রিতের আছে তাদের ডলফিন আর কচ্ছপ। এমনকি পাতালে থাকা হেডেসের একটা কুকুর আছে, যদিও বিদঘুটে দেখতে, তিন মাথাওলা। কাজেই দেবতাদের প্রধান যদি নিজের জন্য দেবতাদের ছাঁচে বুদ্ধিমান, অনুগত, বিশেষরকমের প্রাণী বানায়, সেটা মন্দ হয় না!

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৯
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×