নববর্ষের দিন কামরুজ্জামানের উত্তরসূরীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। টিএসসি প্রাঙ্গনে শিবির ক্যাডাররা ছাত্রীকে বিবস্ত্র করার মাধ্যমে প্রমাণ করলো, একাত্তুরে কামরুজ্জামানরাই সব অশ্লীল কার্যক্রম করেছে। পুলিশ যদিও হামলাকারীদের "ছাত্রলীগ" ভেবে ছেড়ে দিয়েছে, কিন্তু এরা " আসল" ছাত্রলীগ না। যদিও উপরে উপরে এরা ছাত্রলীগ করতো, মনে মনে এরা ছিল শিবির ক্যাডার!
যেহেতু শ্লীলতাহানির শিকার তরুনীরা রাত ১০ টা অবধি শত শত তরুনদের সাথে আনন্দ করছিলো, নববর্ষ উদযাপন করছিলো, সুতরাং প্রমাণ হয় এসব তরুনী দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল এবং মহান শাহবাগের অনুসারী। আর এজন্যই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি এসব তরুনীর শাড়ী খুলে নিয়েছে। আসলে এরা বস্ত্রহরণ করে বাঙালির কোটি বছরের ঐতিহ্যকে ম্লান করে দিতে চায়। আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি, সংস্কৃতির জন্য আমরা আমাদের বস্ত্রকেও উৎসর্গ করতে পারি। তবু প্রতি বছর আমরা দেশপ্রেমিক তরুন তরুনীরা একত্রে একাকাকার হয়ে এভাবে নাচ গান বাঁশি বাজিয়ে ভোর হতে রাত প্রযন্ত নববর্ষ সিলেব্রেট করবোই।
লাকি আপু এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। যদিও উনি বলেছেন, "হামলাকারীদের ধরেও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ"। কিন্তু এরা কোন দল করতো, সেটা উনি বলেন নি। হামলাকারীরা শিবির ক্যাডার ছিল, সেটা উনি বলেননি কেন? খুব মর্মাহত হয়েছি।
কামরুজ্জামান যে অপরাধ ১৯৭১ এ করেছিলো, আজ ৪৪ বছর পর তারই উত্তরসূরীরা একই অপরাধ করেছে। তাই এসব শিবির ক্যাডারদেরও ফাঁসি হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিকরা সবসময়ই এসব ব্যাপারে প্রতিবাদী। আশা করি ইমরান এইচ সরকার ভাইয়া শীঘ্রই জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনের ডাক দিবেন। আর এরা নিষিদ্ধ হলেই জাতি গ্লানিমুক্ত হবে!