বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর চেয়ারপারসন এর কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু দের পক্ষ হতে, আপনার কাছে আমার জিজ্ঞাস্য যে "১৯৪৭ সালের সময় থেকে শুরু হয়ে বর্তমান ২০১৩ সালের এখন অবধি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নানাভাবে হিংসার বলি হয়েছে, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় মুসলিম ভাইয়ের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংখ্যালঘু ভাইরাও দেশ মাতাকে হানাদার মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করেছিল, তাদের আশা ছিল একটাই যে দেশ স্বাধীন হলে তারা আত্ম-সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে , স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে বুক ফুলিয়ে মাথা উচু করে বাঁচবে।
তাদের সেই আশা কি কখনও পুরন হয়েছে, ১৯৭১ সাল পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে সংখ্যালঘুদের উপর নেমে আসে সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন তরবারি, যার বলি হয়ে কিছু সংখ্যালঘু দেশত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নেয়। কারন তাদের সহায় সম্বল সব লুটপাট করা হয় ধর্মের নামে কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ির আওঙ্গুলি হেলনে।
এরপর ১৯৯২ সালে আরও একবার সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার নগ্নরুপ বহিপ্রকাশ হয়।
এরপর ২০০১ সালে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপর আপনার দলের জল্লাদ বাহিনী দ্বারা লুঠ,ঘরবাড়ি জ্বালানো, ধর্ষণ, অর্থ সম্পদ দখল করা হয়, আবারও বেশ কিছু সংখ্যালঘু পরিবার দেশত্যাগ করেন শুধু প্রাণের মায়া করে।
আজ যখন সারাদেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারা মিলে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে একজোট হয়ে আন্দোলন করছে, আপনি তাদের পাশে না দাড়িয়ে, দাড়িয়ে আছেন যুদ্ধাপরাধীদের পাশে, আর তাদেরকে প্রছন্ন মদত দিছেন যে , সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করো, তাহলে ধর্মীয় দাঙ্গা লাগবে, এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য ব্যাহত হবে, দেশে একটা গৃহযুদ্ধের আবহ তৈরি হবে।
অনুগ্রহ করে আপনাকে বলি যে, আপনি যেই খেলায় মেতেছেন তা কিন্তু আপনার জন্য খুবই বিপদজনক।
জনগন বুঝে কারা এইসব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানর চেষ্টা করছে। এখনও সময় আছে আপনি জামাত এর সঙ্গ ত্যাগ করে সাধারন মানুষের এক দাবির সাথে গলা মিলান।
আর বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা প্রয়োজন হলে আবারও তাদের প্রান দিয়ে , দেশ মাতার ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করার চেষ্টা করবে, রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যজ্ঞে আত্মাহুতি দিয়ে।
জয় বাংলা জয় জনতা
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



