মেঘের গর্জনে আভাস, ধরণিরে নাহিতে আহে দলক;
ঐ চান্দের ডাকনে, আহে নদীতে জোয়ার-ভাটা।
এই বৈরাগী কহে-
বালা তোমারে ডাকিছে বৈরাগী, আইসো হৃদ মাজারে।
ঐ হাকিমে তোমারে বাঁধিয়াছে তোমাতে আমাতে,
পিরিতি জড়াইয়া ভাইংগো না বালা বিধির নযরানা;
এই যে ঈশ্বরোপাসনা, মানিলে পাহিবে বেহেস্তের চাবিখানা।
ওহে বালা কালারে হারায়ে চন্দ্রাকান্তা পাহিলো বিরহ;
আমারে হারায়ে মিথ্যে সুখে হইয়োনা পরাশ্রিতা,
তুমি কী জানোনা স্বামীতে সুখ, স্বামীতে স্বর্গ!
তোমারে হেরি প্রতিটি লগনে, এই বুঝি হাকিছে মোহারে;
ছায়ারও মত তবতরে মিশে থাকি, কেমন আছ ক্ষণিক বাদে!
করিওনা রাগ, হইওনা বেজার, রাখিও বিশ্বাস বৈরাগীতে।
ক্লেশ শ্রমে নাহি আসে দুঃখ রহিয়া অনাহারে;
সবই ভালা তুমি ভালা, সবই কালা বদন কালা।
এই কবিতা সেইসকল স্বামীর জন্যে যারা অনেক সকল বাধা-বিপত্তি সহ্য করেও বৌ এর মুখের হাসি ধরে রাখে।
স্বামী যতই বৈরাগী হোকনা কেন আপাত দৃষ্টিতে, একটু ভেবে দেখা উচিৎ আদো কী তিনি বৈরাগী!
স্বামীর প্রতি অবহেলা নয়, প্রকৃত ভালোবাসাটা তার প্রাপ্য।
সুখী হোক সকল দাম্পত্য জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫০