বস্তির টয়লেটের মত দেখতে। ওড়নার মতই অদরকারি এক আপদ। ভোটকক্ষের এক কোণে চতুষ্কোণ কাপড়ের পর্দার কথা বলছি।বিশ্বের কোন সভ্য দেশের ভোটকক্ষে এই পর্দাপ্রথার প্রচলন আছে? এই কাপড়ের বেড়া উন্নয়নের অন্নতম অন্তরায়। ভোটাররূপি দুর্বৃত্তরা ওই কাপড়ের আড়ালে ইচ্ছামত অপকর্ম করার সুযোগ পায়। কি রাজাকার, কি হানাদার কোন বাছবিচার না করে যাকে তাকে ভোট দেয়। রাষ্ট্রের সম্পদ ব্যালট পেপারগুলিকে কলঙ্কিত করে। ব্যালটবাক্সগুলিকেও অপবিত্র করে। এ মেনে নেয়া যায় না।
।
ভোটারদেরকে প্রকাশ্যে (ওপেনে) সিল মারাতে হবে। আরে ভাই, উন্নয়নের মার্কায় প্রকাশ্যে সিল মারতে কিসের এত দ্বিধা? যে পাকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে ভোটকেন্দ্রে এসেছ, এই রাস্তাটা কার? জঙ্গীবাদী পাকিস্তান সরকারের, নাকি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরাকারের? বাংলাদেশ সরকারের মার্কায়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মার্কায় ভোট দিতে না পারলে পাকিস্তান চলে যাও। রাষ্ট্রবিরোধী মার্কায়, দেশদ্রহী মার্কায় ভোট দিতে কেন এত আগ্রহ? তোমরা কি বাংলাদেশের উন্নয়ন চাও না? ‘বাংলাদেশ’ আবার ‘পূর্বপাকিস্তান’ হোক, তোমরা তা চাও? যারা চায় তারাই ভোটকক্ষের কোণায় কাপড়ের আড়াল খোঁজে।
।
যারা ওপেনে সিল মারতে দ্বিধা করেছে, তারা নেমকহারামী করেছে। টানা ১০ বছর বাংলাদেশ সরকারের নেমক খেয়েও পর্দার আড়ালে যেয়ে রাষ্ট্রের সাথে বেঈমানী করেছে। মোড়ে মোড়ে, প্রধান ফটকে, সারিতে সারিতে, কক্ষের ভেতরে এত এত লোক অগণিত বার বলে দেয়ার পরও ওপেনে ভোট দেয়নি যারা, তাদের ক্রমিক নম্বরকে লাল বৃত্ত দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ভোটকক্ষে প্রবেশ করে এত অবাধ, এত সুষ্ঠু; এত সুন্দর এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পেয়েও যারা ভোট না দিয়ে ফিরে গেছে, তাদের নামটিও মার্ক করে রাখা হয়েছে। চরম মূল্য দিতে হবে ওদেরকে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫