মতিউর প্ল্যান করলেন, মিনহাজ যেদিন আকাশে উড়বে, সেদিন ওর কাছ থেকে বিমানটি ছিনিয়ে ভারতে নিয়ে যাবেন। পাকিস্তান বিমানের নোটিশ বোর্ড থেকে ফ্লাইট শিডিউল দেখে নিলেন মতিউর।
২০,আগস্ট। মিনহাজের আকাশে ওড়ার দিন। রানওয়ের পূর্ব দিকে চলে যান মতিউর। ওইতো, T-33 বিমান চালিয়ে এদিকেই এগিয়ে আসছে মিনহাজ। মতিউর কয়েক ধাপ এগিয়ে যান, ওকে থামার ইশারা দেন, থামে ও। বিমানের উপরের ঢাকনা খুলে যায়। অনুগত মিনহাজের জিজ্ঞাসু চোখ দু’টো বলছে, “কোন সমস্যা স্যার?”
নষ্ট করার মত এক সেকেন্ড সময়ও নেই, দুই লাফে বিমানে উঠে পড়েন মতিউর। ক্লোরোফরমড রুমাল রেডিই ছিল। মিনহাজের নাকে চেপে ধরলেন। মিনহাজ ঘুমিয়ে পড়লো। কিন্তু পাকিস্তানের দোসর মিনহাজ এর মধ্যেই কন্ট্রোল টাওয়ারে খবর পাঠায়, “বিমান হাইজ্যাকড”।
বিমান এখন মতিউরের নিয়ন্ত্রণে। মতিউর বিমান চালাচ্ছেন। খুব নিচ দিয়ে। ভারতের দিকে। অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়েছেন। হঠাৎ! মিনহাজ জেগে ওঠে। বিমান দখলের অপচেষ্টায় ধস্তাধস্তি শুরু করে রাজাকার মিনহাজ। বিমান বিদ্ধস্ত হয় পাকিস্তানের থাট্রায়। স্বাধীনতা বিরোধী মিনহাজ মরে লাশ হয়ে গেল। বীর সেনানী মতিউর দেশের জন্য জীবন দিয়ে শহীদ হলেন।
প্রতি বছর আমরা তার মহান স্মৃতির প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করি। “যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান, ততদিন রবে বীর সেনানী শহীদ মতিউর রহমান”।