ফটিক খাচ্ছে। দুপুরের খাবার বিকেলে। পাতে তুলে দিচ্ছে মা। হঠাৎ ঠক ঠক ঠক!!! করাঘাত। সেই সাথে ডাক। উচ্চ অথচ মসৃণ স্বরে ডাক, “কাকিমা! কাকিমা!!
বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত কণ্ঠস্বর, অনেক দিন পরে শুনলেও চেনা যায়। দরজা খুলতে এগিয়ে যায় মা।
ইনি বজলু ভাইয়ের বড় বোন। নাম মমতাজ। এসেছেন ভোট চাইতে। উপজেলার ভোট। “কাকিমা আপনি জানেন না?! মৌলবি কাকু তো জানে। এইতো .... তারিখ ভোট। বজলু দাড়াইচে ভাইচ চেয়ারম্যানে। বোজেনতো এট্টা ভোটের কত দাম। যাবেন কিন্তু ভোট দিতে। যাবেনতো, বলেন............।
ফটিকের মা সলাজ হেসে, “আচ্চা ঠিকাচে”। এর পর চলে স্মৃতিচারণ। কাকিমাকে নিয়ে মমতাজের কত কত স্মৃতি! “ছোট বেলায় কাকিমা কত আদর করেছেন, কাকিমার কাছেইতো পড়ে থাকতো মমতাজ, কাকিমার কাছেইতো ছেপারা পড়া শিখেছে সে...... ইত্যাদি।
এবার যাবার পালা, যেতে যেতে মমতাজ আপা বলেন, “যেয়েন, সবাইরে নিয়ে যেয়েন কিন্তু। ছোট মানুষ (বজলু) এট্টু দাঁড়াইচে”।
বলার মত কিছু খুঁজে টুজে না পেয়েই মনে হয় ফটিকের মা বলে, “মমতাজ তো মেলা মোটা হইয় গেচ”।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৫