ঘণ্টা দুয়েক আগে ঈদের নাটক দেখার জন্য একটার পর একটা বাংলা চ্যানেল পাল্টাচ্ছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামিক টিভি ঘুরে যাওয়ার সময় ওদের একটা রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো। খবরের সারমর্ম- “ফ্রান্স বাংলাদেশকে ‘সেইফ কান্ট্রি’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে, বহির্বিশ্বে দেশের সম্মান বৃদ্ধি পেলেও ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাথায় হাত”।
ঘটনা তেমন জটিল কিছু না। রিপোর্টে যা বুঝলাম, ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সাথে লিয়াজো আছে এরকম দেশগুলোকে দু’টো ক্যাটেগরিতে ভাগ করেছে- সেইফ আর রিস্কি। রিস্কি দেশগুলো বলতে তারা সেই দেশগুলোকে বুঝাচ্ছে যেগুলোতে নানা রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগে আছে (রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক অথবা জাতিগত)। আর সেইফ দেশ হচ্ছে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ দেশগুলো। এখন যদি ২জন ভিন্ন দেশের (একজন সেইফ দেশ থেকে, আরেকজন রিস্কি জোনের) নাগরিক পলিটিকাল এসাইলাম চেয়ে ফ্রান্সে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাহলে মানবিক দিক বিবেচনা করে ফ্রান্স সরকার রিস্ক জোন থেকে উঠে আসা ব্যাক্তিটিকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিবেচনা করবে, কিন্তু সেইফ জোনের ব্যাক্তিটির আবেদন আমলেই নিবেনা। এখানেই যত ঝামেলার শুরু।
এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ ফ্রান্সের দৃষ্টিতে রিস্ক জোনে ছিল (কোন দিক দিয়া বাংলাদেশকে তারা রিস্কি দেশ হিসাবে কাউন্ট করছে আমার মাথায় ব্যাপারটা এখনো ঢুকেনাই)। যার সুযোগে অনেক বাংলাদেশীই জমি-জমা বিক্রি করে কিংবা জানের মায়া ত্যাগ করে চোরাপথে পারলেও ফ্রান্সে ঢুকে নাগরিকত্বের আবেদন করেছে তারা বাংলাদেশ থাকাকালীন নির্যাতিত হয়েছে (রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িকভাবে) এই উছিলায় মায়াকান্না কেঁদে! আর এখন যখন বাংলাদেশ সেইফ কান্ট্রির মর্যাদা পেয়ে গেছে, এই ধান্ধাবাজ শুয়োরের বাচ্চাদের মাথায় ঠাডা পড়েছে। টিভি রিপোর্টে একজনের কথা শুইনা তো পুরাই চোদনা হয়ে গেলাম যখন সে বাংলাদেশ সরকার , বিরোধীদল এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে আবেদন করল ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য আবেদন করতে এবং প্রয়োজনে ফ্রান্সকে বুঝাতে যে বাংলাদেশ এখনো রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল দেশ!! আরে শুকরছানারা, বাংলাদেশ যদি এতটাই অস্থিতিশীল হতো, কিংবা বসবাসের অযোগ্য হইতো তাইলে তুই সুন্দর প্লেনে চইড়া ফ্রান্সে গিয়া সিটিজেনশিপ চাইতে পারতি না। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান-মায়ানমারের রাস্তায় রাস্তায় পইচা মরতি হারামজাদা। কোথায় বিদেশে দেশের নাম উজ্জ্বল হইছে, খুশি হবি , ফুর্তি করবি; উল্টা মান-ইজ্জত নতুন কইরা ডুবানোর ব্যবস্থা করছস শালারা। না খাইয়া মর শালার ঘরের শালারা।
*** আপনি প্রবাসী বাঙ্গালী হলে এই লেখা পড়ে মনে কষ্ট পাবেন না। এইখানে শুধুমাত্র সেসব প্রবাসীকে গালি দেওয়া হয়েছে যারা দেশের খেয়ে-পড়ে বড় হয়ে দেশের সুবিধা নিয়ে বাইরে গিয়ে দেশের মুখে পেশাব করার ধান্ধা করে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


