জামায়েত? শিবির? বাংলাদেশের বুকে বসবাস করেও যারা এই নামগুলোকে ভক্তি করে, তাদের দেখলে আমার মনটা ভেঙ্গে যায়। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আর সেই আমাকে যদি কাউকে বলতে হয়, জামায়াত ভালো না কি খারাপ, সেটা একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমার জাতীয়তাবোধ এ আঘাত ছাড়া আর কিছুনা। স্বাধীন বাংলার আলো-হাওয়ায় বেড়ে উঠে, এই বাংলার দেয়া অন্ন খেয়ে যারা পাকিস্তানি দালালের চর্চা করে, তাদের প্রতি মন থেকে ঘৃনা।
শুনেছি আমরা নাকি নতুনের দল, নতুন প্রজন্ম এটি, মৌলবাদের কোন পৌরত্বে আমরা এভাবে বন্দী হয়ে গেছি বলতে পারেন? জামায়াতের অন্যায় প্রত্যেকে কি জানেন না? যদি না জানেন, জেনে নিন। একজন বাংলাদেশী হতে হলে আপনাকে জানতেই হবে।
আওয়ামী ভুল করে, বি এন পি দুর্নীতি করে, দিন শেষে আমি তারপরও যদি ভাবি, ওসব দলে তো এই দেশের মানুষই, যত নিকৃষ্টই হোক না কেন। কিন্তু জামায়ত এর নেতা? তাদের কি আসলেই নাগরিক হবার অধিকার রয়েছে? অধিকার রয়েছে এই সোনার দেশের পতাকা ছুয়ে দেখার? যে বাংলার মাটি খয়েরি হয়েছে দেশ প্রেমিকদের রক্তে, সেই বাংলার রাজপথে মুক্ত হেটে বেড়ানোর অধিকার কি তারা আদৌ রাখে?
আমি কোনো যুক্তি দেখাতে যাবনা, প্রমানিত সত্যকে প্রমান করা লেবু কচলানো ছাড়া আর কিছুই না। তবে দুখ: হলো এই, আজ কালকার, বিশ্ববিদ্যালয়/বুয়েট/মেডিকেল এর শিক্ষার্থীরা যখন এমন ঘৃণ্য ইতিহাসকে সমর্থন করে, তাদের অনুসরণ করে। দুখ: এখানেই যে, তরুণর়াও নিতান্তই বৃদ্ধের মত চিন্তা-ভাবনা করছে।
আমি নিজেও মুসলিম, আর সে কারণেই আমি তাদেরকে আরো বেশি ঘৃনা করি। ধর্মকে জনপ্রিয়তার হাতিয়ার বানাতে দেখে, মানুষের ধর্মীয় চেতনাকে ব্যবহার করতে দেখে, ধর্মেঁর নাম রাজনৈতিক প্রচারণা করতে দেখে, অস্থিতিশীল পরিথিতি সৃষ্টি করাকে আর ধর্মের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন কারীদের মন থেকে ধিক্কার দেই। বাংলাদেশী হিসেবে দশবার দিলে, মুসলিম হিসেবে পঞ্চাশ বার ধিক্কার। কারণ এরকম অমানুষদের জন্যেই আজ ইসলামের সাথে "টেররিস্ট" , "টেররিসম" নামক ঘৃণ্য শব্দগুলি জুড়ে গেছে।
অন্তর থেকে নিন্দা জানাই সকল জমায়েত নেতাদের প্রতি, আর তাদেরকে সমর্থন দানকারী প্রতিটি "বাংলাদেশী" কে। আপনারা এই দেশের নাগরিক হতে পারেন না, আপনারা কোনো দেশেরই নাগরিক হবার নীতিগত যোগ্যতা রাখেন না।
ছাগু চিনুন