//রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন ও সংলগ্ন অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এর ক্ষতি হবে ভয়াবহ। এই প্রকল্পটি ভারতের মধ্যপ্রদেশে করা যায়নি সে দেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে। অথচ বাংলাদেশে এই জনবিরোধী বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাচ্ছে সরকার। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আটটি সংগঠন আয়োজিত 'রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রভাব' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলেনে এ বক্তব্য দেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।//
//সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন তাঁর গবেষণাপত্র তুলে ধরে বলেন, 'সুন্দরবনের পাশে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের ভূগর্ভের উপরিভাগ ও ভূ-অভ্যন্তরের পানি নষ্ট হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে ওই অঞ্চলে এসিড রেইন (অম্লবৃষ্টি) হতে পারে। এমনকি পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যাবে। লবণাক্ততা বেড়ে
যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক ঢাল সুন্দরবন।'//
//শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, 'কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে প্রতি ইউনিট ৮ টাকা। কিন্তু কয়লার দাম বাড়লে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৪ টাকারও বেশি হবে। আমরা শুধু সুন্দরবন হারাব তাই নয়, অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হব।' তিনি প্রশ্ন রাখেন, ক্ষতিকারক হওয়ায় ভারত মধ্যপ্রদেশে এরকম তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেয়নি যে কম্পানিটিকে, সেই এনটিপিসি (ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন) কিভাবে বাংলাদেশের সুন্দরবন ধ্বংস করে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সুযোগ পায়।//
//বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'গত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পরিবেশগত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও অক্টোবর পর্যন্ত তা জমা দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগে এই প্রকল্পের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত।'//
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, 'আশা করি সরকারের মধ্যে যাঁরা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন লোক আছেন, এরকম ভয়ঙ্কর প্রকল্প থেকে সরে আসার জন্য তাঁরা সরকারকে বোঝাবেন।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন, 'বাংলাদেশে তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার কোনো পরিবেশ নেই। আমরা এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করছি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি এ এস এম শাহজাহান ও প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক। উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন, ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সুশান্ত দাস প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক আটটি সংগঠন হচ্ছে_বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, কৃষিজমি রক্ষা কমিটি, বাগেরহাট উন্নয়ন কমিশন ও গ্রিন ভয়েস।
জানা যায়, রামপালে সুন্দরবনের কাছে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে গত ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কম্পানির (এনটিপিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এ চুক্তি করে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই জমি অধিগ্রহণ ও নদী ভরাটের কাজ করছে পিডিবি। এর বাইরে কয়লা রাখার জন্য (কোল ডিপোজিট) আরো ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এই কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ অনলাইন।
_____________________
আমাদের ইস্যুর অভাব নেই, যুদ্ধপরাধির ফাঁশির দাবিতে তরুন সমাজ যেমন সোচ্চার, কাঠমোল্লারা নিয়ে এসেছেন আফগানি প্রোপাগান্ডা, বিএনপির দরকার ক্ষমতা, চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আওয়ামীলীগ এর ক্ষমতা চাই তাই তত্ত্বাবধায়ক দিবে না! জামাত চায় রাজাকার এর মুক্তি! ছাগুদের মুক্তি!! নাস্তিকদের(!) ফাঁশি!!!!
সবই বুঝলাম, বাট এক্সকিউজ মি, ২০১০ সাল থেকে সুন্দরবনকে ঘিরে এই ভয়াবহ বিষয় চলছে, বিএনপির সারা নাই, তাও নাহয় বুঝলাম। কীসের প্রধান বিরোধী দল যে এইরকম একটা চুক্তি নিয়ে টুঁশব্দ নাই!? কিছুই জানে না!? নাকি শুধু জামাতের লুঙ্গি বাঁচাতেই বিএনপির রাজনীতি করা???? ক্ষমতায় যেতে জনগনের রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে বিএনপি আওয়ামীলীগ এর কোন আপত্তি নেই, কিন্তু কীসের ক্ষমতা? কাদের উপরে? জনগন এই সব শোষণ অন্যায় কতদিন মানবে? আমাদের বিদ্রোহী করবেন না, তাকিয়ে দেখুন, স্বেচ্ছাচারিতার ফলাফল অনেক রয়েছে সারা বিশ্বে, ১০ বছর! ২০ বছর! আর কতো? মানুষ যখন সত্যি ফুঁসে উঠবে বিএনপি আওয়ামীলীগকে কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাবে না আর! জনরোষ-জনতার দাবী বুঝতে চেষ্টা করুন। ওল্ড-ফা*স জনগন নিয়ে ভাবে না সেটা আর নতুন কিছু নয়, কিন্তু এই প্রজন্ম কিন্তু নতুন, এখনও যদি ভাবেন যা ইচ্ছা তাই করে যাবেন আর সবাই মুখ বুজে সহ্য করে যাবে, অসম্ভবের রাজত্বে বাস করছেন মাননীয় বোকামন্ত্রী।
বিএনপির বা*ছাল হরতাল চলছে, যেই সব দাবীর সাথে রহিমুদ্দিন এর থালার ভাতেরও সম্পর্ক নাই, কয়লা হওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্যে ভালোবাসাও নাই! নাই দেশের প্রতি মায়া মমতা, বেহায়া নির্লজ্জের মতো বলে "হরতাল দেব? আরও দেব? লাগবে? আচ্ছা দিয়ে দেব!" ইস্যু? শুধু এবং শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়া এবং গিয়ে আপনাকে আমাকে শোষণ করা, ধ্বংস করে দেওয়া।
এই সব রাজনীতিবিদ নামক বুদ্ধি বেশ্যা দিয়ে আমরা কি করবো? ডাস্টবিন খোঁজার সময় কি এসেই গেলো? কেন বিএনপি রামপাল নিয়ে সুন্দরবন বাঁচানোর আন্দোলনে লাগাতার হরতাল দিচ্ছে না???? ভারতে গিয়ে মিটিং এ কি তবে টেবিলের নীচে ঘটনা...
দিবে না, হরতালও দিবে না, প্রতিবাদও করবে না শক্ত। কারন এরা দেশ ভালবাসে না, ভালবাসে ক্ষমতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




