somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনে এসিড বৃষ্টি হবে"-- IF THE GOV. HAS GONE MAD, PEOPLE MUST TAKE CONTROL OF THINGS.

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


//রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন ও সংলগ্ন অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এর ক্ষতি হবে ভয়াবহ। এই প্রকল্পটি ভারতের মধ্যপ্রদেশে করা যায়নি সে দেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে। অথচ বাংলাদেশে এই জনবিরোধী বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাচ্ছে সরকার। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আটটি সংগঠন আয়োজিত 'রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রভাব' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলেনে এ বক্তব্য দেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।//

//সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন তাঁর গবেষণাপত্র তুলে ধরে বলেন, 'সুন্দরবনের পাশে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের ভূগর্ভের উপরিভাগ ও ভূ-অভ্যন্তরের পানি নষ্ট হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে ওই অঞ্চলে এসিড রেইন (অম্লবৃষ্টি) হতে পারে। এমনকি পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যাবে। লবণাক্ততা বেড়ে
যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক ঢাল সুন্দরবন।'//

//শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, 'কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে প্রতি ইউনিট ৮ টাকা। কিন্তু কয়লার দাম বাড়লে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৪ টাকারও বেশি হবে। আমরা শুধু সুন্দরবন হারাব তাই নয়, অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হব।' তিনি প্রশ্ন রাখেন, ক্ষতিকারক হওয়ায় ভারত মধ্যপ্রদেশে এরকম তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেয়নি যে কম্পানিটিকে, সেই এনটিপিসি (ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন) কিভাবে বাংলাদেশের সুন্দরবন ধ্বংস করে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সুযোগ পায়।//

//বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'গত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পরিবেশগত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও অক্টোবর পর্যন্ত তা জমা দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগে এই প্রকল্পের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত।'//


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, 'আশা করি সরকারের মধ্যে যাঁরা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন লোক আছেন, এরকম ভয়ঙ্কর প্রকল্প থেকে সরে আসার জন্য তাঁরা সরকারকে বোঝাবেন।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন, 'বাংলাদেশে তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার কোনো পরিবেশ নেই। আমরা এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করছি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি এ এস এম শাহজাহান ও প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক। উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন, ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সুশান্ত দাস প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক আটটি সংগঠন হচ্ছে_বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, কৃষিজমি রক্ষা কমিটি, বাগেরহাট উন্নয়ন কমিশন ও গ্রিন ভয়েস।

জানা যায়, রামপালে সুন্দরবনের কাছে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে গত ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কম্পানির (এনটিপিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এ চুক্তি করে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই জমি অধিগ্রহণ ও নদী ভরাটের কাজ করছে পিডিবি। এর বাইরে কয়লা রাখার জন্য (কোল ডিপোজিট) আরো ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এই কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে।

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ অনলাইন।
_____________________

আমাদের ইস্যুর অভাব নেই, যুদ্ধপরাধির ফাঁশির দাবিতে তরুন সমাজ যেমন সোচ্চার, কাঠমোল্লারা নিয়ে এসেছেন আফগানি প্রোপাগান্ডা, বিএনপির দরকার ক্ষমতা, চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আওয়ামীলীগ এর ক্ষমতা চাই তাই তত্ত্বাবধায়ক দিবে না! জামাত চায় রাজাকার এর মুক্তি! ছাগুদের মুক্তি!! নাস্তিকদের(!) ফাঁশি!!!!

সবই বুঝলাম, বাট এক্সকিউজ মি, ২০১০ সাল থেকে সুন্দরবনকে ঘিরে এই ভয়াবহ বিষয় চলছে, বিএনপির সারা নাই, তাও নাহয় বুঝলাম। কীসের প্রধান বিরোধী দল যে এইরকম একটা চুক্তি নিয়ে টুঁশব্দ নাই!? কিছুই জানে না!? নাকি শুধু জামাতের লুঙ্গি বাঁচাতেই বিএনপির রাজনীতি করা???? ক্ষমতায় যেতে জনগনের রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে বিএনপি আওয়ামীলীগ এর কোন আপত্তি নেই, কিন্তু কীসের ক্ষমতা? কাদের উপরে? জনগন এই সব শোষণ অন্যায় কতদিন মানবে? আমাদের বিদ্রোহী করবেন না, তাকিয়ে দেখুন, স্বেচ্ছাচারিতার ফলাফল অনেক রয়েছে সারা বিশ্বে, ১০ বছর! ২০ বছর! আর কতো? মানুষ যখন সত্যি ফুঁসে উঠবে বিএনপি আওয়ামীলীগকে কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাবে না আর! জনরোষ-জনতার দাবী বুঝতে চেষ্টা করুন। ওল্ড-ফা*স জনগন নিয়ে ভাবে না সেটা আর নতুন কিছু নয়, কিন্তু এই প্রজন্ম কিন্তু নতুন, এখনও যদি ভাবেন যা ইচ্ছা তাই করে যাবেন আর সবাই মুখ বুজে সহ্য করে যাবে, অসম্ভবের রাজত্বে বাস করছেন মাননীয় বোকামন্ত্রী।

বিএনপির বা*ছাল হরতাল চলছে, যেই সব দাবীর সাথে রহিমুদ্দিন এর থালার ভাতেরও সম্পর্ক নাই, কয়লা হওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্যে ভালোবাসাও নাই! নাই দেশের প্রতি মায়া মমতা, বেহায়া নির্লজ্জের মতো বলে "হরতাল দেব? আরও দেব? লাগবে? আচ্ছা দিয়ে দেব!" ইস্যু? শুধু এবং শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়া এবং গিয়ে আপনাকে আমাকে শোষণ করা, ধ্বংস করে দেওয়া।

এই সব রাজনীতিবিদ নামক বুদ্ধি বেশ্যা দিয়ে আমরা কি করবো? ডাস্টবিন খোঁজার সময় কি এসেই গেলো? কেন বিএনপি রামপাল নিয়ে সুন্দরবন বাঁচানোর আন্দোলনে লাগাতার হরতাল দিচ্ছে না???? ভারতে গিয়ে মিটিং এ কি তবে টেবিলের নীচে ঘটনা...



দিবে না, হরতালও দিবে না, প্রতিবাদও করবে না শক্ত। কারন এরা দেশ ভালবাসে না, ভালবাসে ক্ষমতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×