somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডা. জাকির নায়েক ইসলামের একজন দা’য়ী

২১ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিভির চ্যানেল ঘোরালেই ইদানীং একটি মুখ বেশি বেশি ভেসে ওঠে। হালকা পাতলা গড়ন, মুখে দাড়ি, টুপি পরা, মাঝবয়সি যে ব্যক্তির কথা বলছি তিনি আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন ডা. জাকির নায়েক। তিনি বর্তমানে সারা বিশ্বেই অতি পরিচিতি এবং আলোচিত হয়ে উঠেছেন। ইসলামপ্রিয় মানুষের কাছে তিনি প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। মাত্র ৪২ বছরের এই যুবক বাংলাদেশেও সম্প্রতি অতি পরিচিতি পেয়েছেন। তাকে স্যাটেলাইট টিভি চ্যালেন ‘পিস’ টিভিতে প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায়।
ডা. জাকির নায়েক ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মের (Islam and comparative religion) উপর গভীর জ্ঞানের অধিকারী একজন অনলবর্ষী বক্তা, তার্কিক, ইসলাম প্রচারক। এসব কাজে তিনি ইতোমধ্যেই তার মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। তিনি ইসলামের দাওয়াতের কাজের উপর আত্মনিয়োগ করেন। ইসলামকে সঠিকভাবে উপস্থাপন, বোঝানো এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যাসমূহ তুলে ধরা এবং একই সাথে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলোর ক্ষেত্রে তিনি সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে শুরু থেকেই বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি এসব কাজের মাধ্যমে সবার কাছে নিজেকে তুলে ধরতে সম হয়েছেন। ডা. জাকির নায়েক সুবক্তা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার এই খ্যাতি তিনি তার স্বদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সম হয়েছেন। ইসলাম এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর তিনি ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বে একজন দা’য়ী ও সুবক্তা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। এসব কাজে তিনি নিজেকে যোগ্য করে তুলে ধরেছেন। তার প্রাণবন্ত প্রচেষ্টা তাকে এই আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দেয়। এসব বিষয়রে উপর তার অগাধ পাণ্ডিত্য আছে। তিনি যুক্তি প্রমাণ দ্বারা সুন্দরভাবে ইসলামের সমালোচনা ও কটূক্তির উত্তর দিয়ে থাকেন।
ডা. জাকির নায়েক ১৮ অক্টোবর ১৯৬৫ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট পিটার’স হাই স্কুল (আই.সি.এস.ই) থেকে মাধ্যমিক এবং কিষিণচাঁদ চেল্লারাম কলেজ, মুম্বাই থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি টপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, নায়ের হসপিটাল, মুম্বাই থেকে পড়াশুনার পর মুম্বাই ইউনিভার্সিটি থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করেন।
ডা. জাকির নায়েক বর্তমানে ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) এর প্রেসিডেন্ট। তিনিই এর মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বর্তমানে আইআরএফ এডুকেশনাল ট্রাস্ট, মুম্বাইয়ের চেয়ারম্যান এবং ইসলামিক ডাইমেনশন মুম্বাইয়ের প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও তিনি ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন, মুম্বাইয়ের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
আইআরএফ মুম্বাই ভিত্তিক একটি অলাভজনক পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এটা ১৯৯১ সালের ফ্রেব্র“য়ারি মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। আইআরএফ ইসলামিক দাওয়ার উপর কাজ করে থাকে। ইসলামের সঠিক উপস্থাপন, ইসলামের সঠিক জ্ঞান ও উন্নত ব্যবস্থার উপর কাজ করার পাশাপাশি ইসলাম সম্পর্কিত ভুলধারণাগুলো যা কম সচেতন মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়ের মাঝে থাকেন সেসব বিষয়ে সঠিক বক্তব্য, মতামত তুলে ধরতে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা তাদের কাজের সুবিধার জন্য যেখানে যেরকম আধুনিক প্রযুক্তির দরকার তা গ্রহণ করে থাকে।
পেশাগত দিক থেকে চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের কাছে ইসলামের সঠিক অবস্থান ও সত্য ইসলামকে তুলে ধরতে ডা. জাকির নায়েক নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। মাত্র ৩৬ বছর বয়স থেকে তিনি ইসলামের শিক্ষাসমূহ মানুষের মাঝে তুলে ধরছেন। তিনি বিভিন্ন সভা, সেমিনার, টিভি চ্যানেল, বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে বক্তৃতা ও বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন। ইসলাম সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলো মানুষের কাছে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দিতে পারেন। তিনি তার এই কাজে কারণ (reason), যুক্তি (logic) এবং বিজ্ঞানকে (science) প্রাধান্য দেন। তার এই কাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে কোরআন ও হাদিস। তিনি ব্যাপকভাবে এবং অরে অরে পবিত্র কোরআন-হাদিস ও অন্যান্য বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্বৃতি দিতে পারেন। তিনি এসব প্রশ্নের তথ্য প্রমাণ সহ উপস্থাপন করেন। ফলে তার বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়।
ডা. জাকির নায়েক বর্তমানে যে কাজ করছেন ইসলামের জন্য তাতে প্রসঙ্গতই শেখ আহমদ দিদাতের কথা চলে আসে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আহমদ দিদাত দণি আফ্রিকায় বসবাস করতেন। তিনি একজন খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ ছিলেন। ইসলামের উপর তার ব্যাপক পড়াশুনা ছিল। তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে যেসব সমালোচনা ও কটূক্তি ছিল তার প্রতিবাদ করতেন নিজের প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও যোগ্যতা দ্বারা। ইসলামের উপর তার প্রভূত জ্ঞান ও ব্যুৎপত্তি ছিল। তিনি ছিলেন অনলবর্ষী বক্তা। একজন ইসলাম প্রচারক ছিলেন। তার কাজ, তার মেধা ও যোগ্যতা তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও পরিচিতি এনে দিয়েছিল। তিনি প্রকাশ্য বক্তৃতা ও বিতর্কে অংশ নিতেন। ডা. জাকির নায়েক তেমনিই একজন নতুন আহমদ দিদাতের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
ডা. জাকির নায়েক ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মের উপর তার ক্রিটিক্যাল ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের জন্য অধিক জনপ্রিয়। তিনি উপস্থিত দর্শক ও সংশয়বাদীদের চ্যালেঞ্জ ও প্রশ্নসমূহের তাৎণিকভাবে বিচণতার সাথে স্বতঃস্ফূর্ত এবং যুক্তিপূর্ণ উত্তর দিতে পারেন। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উন্মুক্ত প্রশ্ন-উত্তর সেশনে নিজেকে পেশ করে থাকেন। তিনি বিভিন্ন পাবলিক টকসে বক্তৃতা দেন। এ পর্যন্ত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭০০ উপর বক্তৃতা দিয়েছেন। ইন্ডিয়ায় অসংখ্য পাবিলিক সভা বাদেও যতটুক জানা যায় গত সাত বছরে তিনি আমেরিকা, কানাডা, বৃটেন, সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, সাউথ আফ্রিকা, মৌরিতাস, অস্ট্রিয়া, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, গুয়ানা (সাউথ আমেরিকা) সহ বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন। তার এসব বক্তৃতার অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল ও স্যাটেলাইট মাধ্যম সমূহে বক্তৃতা ও বিতর্কে অংশ নিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। তিনি এপর্যন্ত যত দেশ সফর করেছেন তাতে তার সংখ্যা সারা বিশ্বের একশটি দেশের উপর হতে পারে। তার সকল কর্মকাণ্ডই ইসলাম কেন্দ্রিক। তিনি প্রায় নিয়মিতভাবে প্রতিদিনই বিভিন্ন টিভি ও রেডিওতে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রিত হচ্ছেন।
জাকির নায়েক সফলতার সাথেই অন্যান্য ধর্মের বিশ্বাসী পণ্ডিতদের আহবানে সংলাপ ও বিতর্কে অংশ নেন এবং তাদের দেয়া চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে থাকেন। এটা সত্যি একটি বড় গুণ ও সাহসের ব্যাপার। তার এরকম অসংখ্য বিতর্কের মধ্যে একটি বহুল আলোচিত বিতর্ক হচ্ছে আমেরিকার শিকাগোতে অনুষ্ঠিত বিতর্ক। ২০০০ সালে ১ এপ্রিল এটি আমেরিকার একজন চিকিৎসক ও মিশনারি ব্যক্তিত্ব ডা. উইলিয়াম ক্যাম্পবেলের সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার বিতর্কের বিষয়টি ছিল ‘দি বাইবেল এন্ড দি কোরআন ইন দি লাইট অব সায়েন্স’। তিনি সেই বিতর্কে সফল হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গতই এখানে আবার সেই বিশ্বখ্যাত সুবক্তা ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের বিশ্লেষক শেখ আহমদ দিদাত ১৯৯৪ সালে ডা. জাকির নায়েককে ‘দিদাত প্লাস’ হিসেব উল্লেখ করেছিলেন। জাকির নায়েকের দাওয়ার উপর যে ব্যুৎপত্তি অর্জিত হয়েছে এবং তুলনামূলক ধর্মের উপর তার যে পড়াশুনা তাতে জনাব দিদাত ২০০০ সালের মে মাসে জাকির নায়েককে দেয়া এক স্মারক উপহারের খোদাই-কর্মে লিখেছিলেন, “Son what you have done in 4 years had taken me 40 years to accomplish – Alhamdullilah.”
তিনি এ পর্যন্ত শত শত পাবলিক লেকচার দিয়েছেন যা প্রায় সবটাই উন্মুক্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্বের ছিল। এগুলো তিনি শুধু দেশেই নয় বিদেশেও দিয়েছেন। এগুলোর উপর তার প্রায় শতাধিক অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট আছে। তিনি মুসলিমদের জন্য ইসলামের দাওয়াত ও বার্তা পৌঁছানো যায় তার উপর নানা ট্রেনিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করে থাকেন। এর জন্য মুসলিম জনগণকেও তার প্রতিষ্ঠানে প্রশিতি করার ব্যবস্থা আছে। তার আগ্রহ দেখা যায় তুলনামূলক ধর্মের উপর। তাকে এর উপর পড়াশুনার আগ্রহ দেখা যায়। চিকিৎসা, মানবিক, সামাজিক, নৈতিক শিা এবং আর্থিক সমাজকল্যাণমূলক কাজেও আর আগ্রহের কথা জানা যায়।
ডা. জাকির নায়েক ইসলামের উপর এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর বেশ কয়েকটি বই লেখেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ মধ্যে আছে, পিপলস টু দি মোস্ট কমন কোশশেনস আস্কড বাই নন-মুসলিম, কোরআন এন্ড মডার্ন সায়েন্স - কম্পেটিবল অর ইনকম্পেটিবল, উইমেনস রাইটস ইন ইসলাম - প্রোটেক্টেট অর সাবজুগেটেড, আল-কোরআন - শ্যুড ইট বি রেড উইথ আন্ডারস্টান্ডিং, ইস দি কোরআন গডস ওয়ার্ড, ইসলাম এন্ড টেররিজম, কনসেপ্ট অফ গড ইন মেজর রিলিজিয়নস।
ডা. জাকির নায়েকের উল্লেখযোগ্য লেকচার ও বিতর্কের মধ্যে কয়েকটি হলো Concept of god in major religions; Qur'ân and modern science –conflict or conciliation? - part- I; Qur'ân and modern science –conflict or conciliation? - part- II; Women's rights in islam – modernising or outdated? – part-I; Women's rights in islam – modernising or outdated? – part-II;Is non-vegetarian food permitted or prohibited for human being? Part-I; Is non-vegetarian food permitted or prohibited for human being? Part-II; The qur'ân and the bible, in the light of science - part-I; The qur'ân and the bible, in the light of science - part-II; Focus on islam; Is the qur'ân god's word? Part-I; Is the qur'ân god's word? Part-ii question and answer session; Comparative study between islam and hinduism presenting islam to hindus; Universal brotherhood..
ডা. জাকির নায়েক পেশাগত ভাবে একজন চিকিৎসক হলেও সারা বিশ্বে ইসলাম ও কম্পারেটিভ রিলিজিয়নের উপর একজন উদীয়মান সুবক্তা হিসেবে পরিচিত। যেই তার প্রশ্ন-উত্তর সংক্রান্ত পর্বগুলো শুনেছে সেই অবাক হয়েছে তার ব্যাপারে এবং একই সাথে তার সম্পর্কে জানতে তাদের আগ্রহ বেড়েছে। তিনি কি সুন্দরভাবেই না ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে ইসলাম সম্পর্কে মুসলিম অমুসলিম উভয়ের মধ্যে যে ভুল ধারণা বিদ্যমান সেগুলোকে তিনি সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দিচ্ছেন। তিনি এর জন্য কোরআন হাদিসকেই বারবার মূল ভিত্তি হিসেবে ধরছেন। তিনি কোরআন হাদিস থেকে হুবহু উদ্বৃতি দিয়ে থাকেন। সেসব গ্রন্থের উপর অনর্গল বলতে পারেন। সব যেন তার মুখস্ত। তিনি প্রতিটি সুরা তার আয়াত নম্বরসহ বলতে পারেন। শুধু তাই নয় তিনি বিভিন্ন বাইবেল, ইহুদি ধর্মগ্রন্থ তালমুদ এবং তোরাহ, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মহাভারত, ভগবত গীতা সহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কেও ভালো জানেন। আর এসবের সমন্বয়ে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যুক্তি, কারণ সহ সুন্দর ও সাবলিলভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। তার উত্তর ও উপস্থাপনা বেশ সন্তোষজনক যা সবাইকেই খুশি করে।
তিনি বিভিন্ন বইয়ের বিষয়গুলো সহজেই মনে রাখতে পারেন। বিজ্ঞান ও অংকের ঘটনা ও সূত্রগুলো সম্পর্কে তার ভালো ধারণা আছে। ফলে তিনি খুব স্বাভাবিক ভাবে জটিল জটিল প্রশ্ন বিশেষ করে চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের এবং বিভিন্ন বিষয়ের উত্তর সহজ করে দিতে পারেন যুক্তি ও বিশ্লেষণের মাধমে যা সবাব সহজে বোধগম্য হয়। তিনি দর্শক শ্রোতাদের উপস্থিতিতেই সরাসরি প্রশ্নের জবাব দিয়ে থাকেন। তার অতিথি ও উপস্থিতির মধ্যে থাকে সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রদূত, আর্মি জেনারেল, রাজনৈতিক নেতা, ক্রীড়াবিদ, ধর্মীয় পন্ডিত, উদ্যোক্তা এবং খুব সাধারণ ধরনের জনগণ।
সাদাসিধে হলেও ইসলাম সম্পর্কে, ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মের উপর গভীর জ্ঞানের অধিকারী ডা. জাকির নায়েকের একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা দরকার। জানা যায়, ৯/১১ এর পর মুসলমানদের আমেরিকার বিমানবন্দরগুলোতে যখন সমস্যা হচ্ছিল সে সময়ই তিনি তার উপস্থিত মেধা দিয়ে সেই বছর ১২ অক্টোবর একদিনের ভিজিটে তিনি লস এঞ্জেলসের এয়ারপোর্টে পৌঁছান। তিনি সেদিন ইসলাম ও মানবতার খেদমতের জন্য International Islamic Internet University in Los Angeles এর একটি এওয়ার্ড গ্রহণের উদ্দেশ্যে যান। দাড়ি, টুপিওয়ালা সেই যুবককে ইমিগ্রেশন অফিসারা বিভিন্ন বিষয়ের উপর জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। তার কাছে ৯/১১ এর ঘটনা সম্পর্কে তার মতামত জানতে বলা হলে তিনি এই ঘটনা নিন্দা করেন। জিহাদ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বাইবেলের বিভিন্ন সংস্করণ, কোরআন, তালমুদ, গীতা সহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের জিহাদ সম্পর্কিত যাই তার হৃদয়ে গ্রোথিত ছিল তার মাধ্যমে তিনি অনর্গল উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি সেখানে প্রমাণ করেছিলেন যে সত্যিকার জিহাদ শুধু ইসলামের নয় এটা বিশ্বজনীন। এর ফলে সেই কাস্টমস অফিসারা আরো কৌতুহলী হয় এবং তাকে আরো প্রশ্ন করে। এবং তিনি তার মেধা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দ্বারা সবটারই সুন্দর উত্তর দিয় দেন। তখন তাকে যেতে অনুমতি দেয়া হয়। দেখা গেল, তিনি যখন রুম ত্যাগ করছিলেন তখন তার সাথে এয়ারপোর্টের প্রায় ৭০ জন অফিসার তাকে ঘিরে থাকে এবং তারা তাদের ধর্ম ও ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তারা বলতে থাকে তারা খুবই বিস্মিত হয়েছে এবং তারা তার মতো এরকম জ্ঞানী লোক কখনো দেখেনি। এই ঘটনাটি তিনি সউদি আরবের একটি পত্রিকার সাথে এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমার জন্য সেখানে কোনো সমস্যা ছিল না এবং জনগণের ব্যবহার ছিল সুন্দর।

০৮.০১.২০০৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×