somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিনের খেলা

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১.
দূর থেকে যেটা দেখা যাচ্ছে তা একটা ঝাপসা মতো বস্তু। কখনো মনে হচ্ছে আকার আছে আবার কখনো মনে হচ্ছে আকার নাই। কখনো মনে হচ্ছে বস্তুর মতো কিছু একটা হবে, আবার মনে হচ্ছে এই বুঝি কিছুই নাই। পলকে পলকে মনকে ঘুরপাক খাওয়ায় বস্তুটা। তারপরও মনে হয় কিছু একটা হয়ত হচ্ছে ওখানে। জায়গাটা চোখে দেখা যায় - একটু দূরে। মেঘ ঘোলা হলে যে রং হয় তার রংও কিছুটা ওই রকম লাগল। আবার একটু পরেই মনে হলো অতদূর থেকে ওটা সাদা কিছু একটা হবে। ওদের বাসা থেকেই ওটা বের হতে দেখেছে অয়ন। এই দেখায় কোনো ভুল নাই। চোখের পলকে সাঁই করে মনে হলো কিছু একটা বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
কি হতে পারে ওটা!
ওটা ওর দিকেই আসছে। ধুক রে ওঠে বুক। চমকে ওঠে সে ভয়ে।
একবার মনে হলো বস্তুটা দীর্ঘকায় হবে। প্রায় ছয় থেকে সাত ফুটের মতো হতে পারে। আবার মনে হলো অল্প কিছুটা লম্বা হবে, না চার-পাঁচ ফুট হতে পারে। কিন্তু এখন ওটাকে দুই তিন ফুটের মতো লাগছে। এর বেশি হবে না কোনো ভাবেই। ধীরে ধীরে দূর থেকে আরো কাছে চলে আসছে ওটা। স্টার ট্র্যাক বা সায়েন্স ফিকশনে দেখা যায়, ওই আকাশ থেকে কোনো উপগ্রহ তারার শরীর ছেড়ে ছুড়ে পৃথিবীর দিকে আসছে কিংবা দেখা যায় পৃথিবীতে হঠাৎ আবির্ভূত হয়েছে মঙ্গল থেকে কোনো এক এলিয়েন। যত সময় গড়াচ্ছে ওটার আকৃতিও একটু একটু করে বড় হচ্ছে। যার ফলে ওটার ঘোলা ঘোলা ভাব ক্রমেই কেটে যেতে শুরু করেছে। এখন একটু একটু সাদা সাদা ভাবটা আরো স্পষ্ট হতে থাকল। একসময় মনে হলো কোনো একটা কিছুর ভিতর দিয়ে সাদা আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে। আলোটা বস্তুর ভিতর থেকে বিকিরণ হচ্ছে। সাদা আলোর সেই দ্যুতি ওর ভিতর থেকে বের হয়ে চারপাশের অন্ধকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে চারপাশ আলোকিত মনে হয়। ওটার সাদা আকর্ষণ আরো তীব্র হয়।



আবার মনে হলো আলো যেন বস্তুর শরীর থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে এমনভাবে মাটিতে পড়ছে। চোখের পলকে তা আবার উধাও হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। অবাক কা-! কীভাবে সম্ভব আলো গলে গলে সবুজ ক্ষেতের ভিতর এক্কেবারে হাওয়া হয়ে যাওয়া। সেগুলো খুব দ্রুত ধানের ক্ষেতের ভিতর মিলিয়ে যায়।
সবকিছু গোলমালে হয়ে গেছে একটা হঠাৎ পেয়ে বসা ভয়ে। শরীর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে এত চিন্তা এত অস্থিরতা। অয়ন কি করবে বুঝতে পারছে না।
এভাবে ক্রমেই একটু একটু সব সাদাভাব ওটার ভিতর দিয়ে বেরিয়ে আসছে। তবুও বস্তুটার সাদা উজ্জ্বলতা কমে না। আরো কাছে আসছে ওটা। যত কাছে আসছে তার থেকে সাদা উজ্জ্বলতা ক্রমেই আরো বেশি ঠিকরে পড়ছে যেন।
প্রথম থেকে বস্তুটার এলোমেলো নড়াচড়া চোখে পড়ছিল। মনে হয়েছিল হেলেদুলে কেউ যেন এগিয়ে আসছে। একবার ডানে একবার বামে। বাতাস মোটা পাকানো দড়ির মতো ওটাকে ঘিরে দোলাচ্ছে। পাক দিয়ে দিয়ে দুলতে দুলতে আরো সামনে চলে এসেছে। একবার ডানে বস্তুটার বায়ের অংশ জোরে পড়ছে আবার একবার ডানের অংশ জোরে বায়ে পড়ছে। এতে ওটাকে পাকানো দড়ির মতো কিছু বলে মনে হলো।
ওর পা নেই, মাথা নেই। চোখ, কান, নাক, মুখ তো থাকার কথাই না।
অনেক দূর থেকে ওটাকে আসতে দেখেছে অয়ন। তাদের বাসা ভিতর দিয়ে ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে ওটা আসছে তার দিকে। সে ক্ষেতের দক্ষিণ অর্থাৎ বাসার উল্টো দিক দিয়ে ফিরছিল। তাদের বাসার সামনে বড় রাস্তা। রাস্তার ওপারেই বিশাল মাঠ। এখন সেখানে ধান চাষ করা হয়েছে। সেই মাঠের তিন দিকে সমান চওড়া রাস্তা। একদিকে কলোনির পাচিল চলে গেছে। পাচিল ঘেষে একটা রাস্তা আছে অপেক্ষাকৃত কম চওড়ার, হাঁটার রাস্তা।

চলবে...


ছবি: ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×