somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খুনী আল-বদরের উত্তরসূরী ছাত্র শিবির : উত্থানের ভয়াবহ দলিলপত্র

২৫ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সামহোয়ারে হঠাৎ করেই পোস্টের মেরুকরন দেখা যাচ্ছে। দিনরাত খেয়ে না খেয়ে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে একদল ব্লগার। তারা চিহ্নিত জামাতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের মাসোহারায় পালিত বলে। তাদের এই মাথা খারাপ অবস্থা কেনো! খুজতে গিয়েই কেচোর বদলে বেরিয়ে এসেছে সাপ। বিষধর সাপ। যারা শত্রুর সঙ্গে আপোসমূলক সহবাসে উৎসাহ দেন, এই পোস্ট পড়ার পর তাদের ধারনা বদলাবে আশা রাখি।

১৯৭১ সালে জামাতের ছাত্র সংগঠন ছিলো ইসলামী ছাত্র সংঘ। রাজাকার এবং বুদ্ধিজীবিদের হত্যার জন্য বিশেষ খুনী স্কোয়াড আল বদরদের সদস্যরা ছিলো এই ছাত্র সংগঠনের। স্বাধীনতার পর তারা পলাতক থাকে, পুনর্বাসিত হয় জিয়ার সেনাশাসনের সময়। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংঘ নাম পাল্টে রাখে ছাত্র শিবির। প্রসঙ্গত তাদের ছোটদের সংগঠন শাহীন শিবির থেকে এই শিবির নামটি নেয় তারা। এছাড়া মোডাস অপারেন্ডিতে ১৯৭১ আর ২০০৮ এ কোনো বিভেদ নেই। তাদের প্রথম সভাপতি মীর কাশেম আলী ছিল ১৯৭১ সালে আলবদর হাইকমান্ড সদস্য, চট্টগ্রাম শহর ছাত্র সংঘ সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা রাজাকার বাহিনী ও চট্টগ্রাম শহর আলবদর বাহিনী প্রধান। দ্বিতীয় সভাপতি আলবদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক কামারুজ্জামান সম্পর্কে নতুন করে বলার নেই। আলোচ্য দলিলে তৃতীয় সভাপতি আবু তাহের বিশেষ ভূমিকা আছে। মুক্তিযুদ্ধকালে মীর কাশেম আলীর উত্তরসূরী হিসেবে সে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি হয় এবং জেলা আলবদর প্রধানের দায়িত্ব পালন করে।

সামহোয়ারে তাদের কাজ মুক্তিযুদ্ধকে কালিমালিপ্ত করার জন্য আজেবাজে কল্পকাহিনী ফাঁদা, তাদের নেতাদের দুর্নামমুক্ত করার চেষ্টা এবং একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িতদের চরিত্রহানী। যুদ্ধপরাধীদের শাস্তি হলে শিবিরের ভাবমূতি বলতে কিছুই থাকবে না। এ কারণেই যে কোনো মূল্যে এ দাবি ঠেকাতে তারা বদ্ধ পরিকর। আর পেছনে রয়েছে ভবিষ্যতের এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র যার প্রাথমিক পর্ব উঠে এসেছে এই দলিলে।

আলোচ্য স্ক্যানড দলিলটি ইমেজ ফাইলে দেওয়া। প্রতিষ্ঠার একযুগের মধ্যে ছাত্র শিবিরের বিস্ময়কর উত্থান ও প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে কীর্তিকলাপ এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন সেলিম ওমরাও খান, নিমাই সরকার ও সৈয়দ শামীম নামে তিন তরুণ তুর্কি সাংবাদিক। পৃষ্টার ক্রম নম্বর লাল কালিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাঠকের সুবিধার জন্য তারপরও পৃষ্টা প্রতি কি আছে তার শিরোনাম কিংবা সার দেওয়া হলো
১, জামাতে ইসলামীর প্রধান অঙ্গদল ইসলামী ছাত্র শিবিরের স্বরূপ
২. ছাত্র সংঘ থেকে শিবির, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ৮৭
৩. স্বাধীনতা, শিল্প ও সংস্কৃতি
৪. সন্ত্রাস, ট্রেনিং সেন্টার এবং নীল নকশা, জোন ভিত্তিক শিবিরের সদস্য সংখ্যা
৫. শিবিরের অর্থের উৎস
৬. রিক্রুটমেন্টের কৌশল
৭. জামাতের পাঠচক্র : বিকৃত জ্ঞানচর্চার খতিয়ান
৮. পুজিবাদ যোগ সমাজতন্ত্র সমান ইসলাম/পর্দা লংঘনে জিহ্বার স্বাদ নষ্ট হয়
৯. ক্রীজ (কিরিচ) বাহিনী
১০. অপারেশন পর্যালোচনা, জিম্মি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১১. জিহাদী জোশ ও সেল গঠন
১২.প্রেমের আগুন জ্বলে অন্তরে অন্তরে
১৩. শিবিরের জালিয়াতি : ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস
১৪. উপসংহার

১৫-৩০ : শিবিরের তৃতীয় সভাপতি আবু তাহের সৌদি আরবের রিয়াদে একটি গোপন উৎসের কাছে জামাত ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর জন্য অর্থ চেয়ে একটি চিঠি লিখে এবং দুই বছরের জন্য ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৩ ডলারের (এখনকার অর্থমানে ২ কোটি টাকা) বাজেট দেয়। সেই পুরো বাজেট এবং চিঠিটি বাংলা অনুবাদ করে তুলে দেয়া হয়েছে।

পড়ৃন, জানুন এবং ঘৃণা করুন। ইসলামের নাম বিক্রি করে, ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে, ইসলামের ঢালে আড়াল নিয়ে এই মুনাফিকদের সম্পর্কে নিজে জানুন, অন্যদেরও সচেতন করুন।

সূত্র : একাত্তরের ঘাতক জামাতে ইসলামীর অতীত ও বর্তমান
প্রকাশনা : মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র
কৃতজ্ঞতা : সাইমুম, জন্মযুদ্ধ

এখান থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করুন

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:১৭
৮৬টি মন্তব্য ২০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×