somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ- ঈদ কোথায়? শ্বশুরবাড়ি নাকি বাপের বাড়ি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার বাসাতে প্রথম আলো রাখা হয়। আমি শুধু খেলার খবর দেখে রেখে দেই। আর কিছু ভালো লাগেনা। পড়ে মজা পাইনা। আমার একটা বদঅভ্যাস আছে। বাথরুমে যাবার সময় হাতে করে পাঠ্য কিছু নিয়ে যাওয়া। ওইদিন (বুধবার ২ নভেম্বর) হাতে করে নারীমঞ্চ নামক ক্রোড়পত্রটা নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে শিরোনামে উল্লেখিত লেখাটা পড়ে মেজাজ চরম খারাপ হলো। লেখিকার নাম তৌহিদা শিরোপা। পারসোনা ইস্যুতে তার অবস্থান মনে থাকলে আপনারা ঘৃনায় অনেকে এতোক্ষনে মুখ বাঁকাচ্ছেন।
লেখাটা পড়ে মনে হলো, স্বামী-স্ত্রীর যেকোন সিদ্ধান্ত প্রথম আলো পড়ে নেওয়া উচিৎ। এখানে যাবতীয় সাংসারিক সমস্যার সমাধান আছে! সবশেষে একজন বিশেষজ্ঞ মতামত দেন। যেখানে নারীদের পক্ষে কথা বলা হয়! এটা কি সত্যিই নারীদের পক্ষে কথা? নাকি উসকানী দেওয়া! বিশেষ করে এই কুরবাণী ঈদের সময়। যেনো, আমাদের বউরা এটা পড়ে ভাবেন,"তাইতো! আমরা কত বঞ্চিত! আমরা কেনো, বঞ্চিত হবো? " আসলেই কি তাই? আমাদের বউকে আমরা যতটা সন্মান করি,বাইরের মানুষ তার চাইতে বেশি করবেনা। করতে চাইলে,সেটা উদ্দেশ্য পরায়ন হবে। যে প্রথম আলোতে অরুন চৌধুরীর মত লোক থাকে সেখানে নারীদের সন্মান দেওয়া কতটা আশা করেন?
আসল কথায় আসি। আমার মাকে কখনো নারীমঞ্চ অথবা হিন্দি সিরিয়াল দেখে সংসার চালাতে হয়নি। তাকে আল্লাহর রহমতে সবসময় হাসি-খুশী দেখি। আমি জানি, তিনি সুখে আছেন। ভালো আছেন। আমার বুঝজ্ঞান হবার পর দেখেছি, আমরা অনেক রমজানের ঈদ নানাবাড়ীতে করেছি। কিন্তু কোরবানীর ঈদগুলো আমাদের বাসায় অথবা দাদাবাড়ীতে করেছি। দাদাবাড়ীতে যখন করি, তখন আমার নানী ঈদের পরেরদিন এসে আমার আম্মুকে দেখে গেছেন। অথবা আমরা গিয়েছি। এসব নীরব সমঝোতায় হয়ে যায়। নারীমঞ্চ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়না। সুখ থাকে। কিন্তু এসব লেখা আমাদের বউকে উস্কানী দেয়। আমাদের বোনকে উস্কানী দেয়। ফলাফল, ভুল বোঝাবুঝি। সম্পর্কের অবনতি। ওইদিন আমার শ্বাশুড়ি, আমাকে জানালেন তিনি হিন্দি সিরিয়াল দেখে বুঝেছেন, তিনি কতটা ঠকেছেন। হাড়ি-পাতিলে তার জীবন শেষ হয়ে গেছে। তার ভিতরে কি ছিলো তিনি জানতেন না। আমি কিছু বলিনাই। দীর্ঘদিন ধরে আমার শ্বশুরের সাথে উনার ঝামেলা চলছে। একমাত্র মেয়ের দিকে তাকিয়ে তারা আলাদা হননা। তাদের বয়স ৫০+ ! যতদিন তিনি তার অধীকার বুঝেননি, তিনি সব পেয়েছেন। সুখে ছিলেন। আজ কয়েকবছর ধরে তার অধীকার জ্ঞান হয়েছে। এখন তার সুখ কোথায়? কে যেনো বলেছিলেন," যেসব নারী পুরুষের সমান অধিকার চায়, তারা আদতেই উচ্চবিলাসী না।" আসলেই তাই। আমার বউ যদি ইনকাম করে আনে। আর আমি ঘরে বসে থাকি তাহলে বেশ হয়। জানি আমাকেও ঘরে অনেক কিছু সামলাতে হবে। তবু মাঝে মাঝে দু-দন্ড বসে বিশ্রাম নিতে পারবো। সারাদিন অফিসের ঝুটঝামেলা আর সহ্য হয়না। দুপুরে একটা ভাতঘুম দিতে পারবো। একটু সোফায় হেলান দিয়ে আরাম করে টিভি দেখতে পারবো।
জানিনা, কেনো এমন হবে? ওরা কেনো ফুঁসলিয়ে আমার বৌকে-বোনকে পথে নামাবে। ওদের উদ্দেশ্য কি? অরুনেরা লালায়িত জিহবা নিয়ে অপেক্ষা করে। তবুও বলি, অনেক বোন চাকরি করেন। প্রয়োজনে অথবা শখে। প্রতিকূল পরিবেশ দেখলেই চাকরি ছেড়ে দিতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হয়, অধিকাংশ বোন তার পরিবারের সাথে চ্যালেঞ্জ করে চাকরি করতে আসেন। তখন তার অফিসের প্রতিকূলতাকে গোপন করে যান। পরিবারকে জানালে পরাজিত হবেন ভেবে। এভাবে কত বোনের নীরব কান্না কর্পোরেট দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়,সেটা তারা জানেন।
আমি বলি, আমার সংসার। তুমি-আমি মিলে সিদ্বান্ত নেবো। আমাদের ভালো,আমরা বুঝবো। তৌহিদারা বলে দিতে হবেনা। আমরাই আমাদের সবচাইতে আপন। আর কেউ নয়।
যে খবরটার কারনে এই লেখা-
 ঈদ কোথায়? শ্বশুরবাড়ি নাকি বাবার বাড়ি
২৪টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×