somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিন্দী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এবং আমাদের নারীসমাজ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মায়ের কোলে শুয়ে আমরা আধো বোলে কথা বলতে শুরু করি। আর চারপাশে চোখ বুলিয়ে শিখে নিয়েছি, পৃথিবীর আচরণবিধি। ধীরে ধীরে আকাশের মেঘেরা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আর আমাদের বয়স বাড়ে। আমরা শিখে নেই যতসব নিয়মকানুন, পৃথিবীতে টিকে থাকার। আমরা সংস্কৃতি বুঝি। আমাদের নিজস্ব একটা সংস্কৃতি থাকে। সুন্দর এবং চেনা।
আজকের দিনে আমাদের জানার পরিধি স্যাটেলাইটের তরঙ্গ বেয়ে অনেকদূর চলে গেছে। আমরা জেনে গেছি, অনেক কিছু। কিন্তু আমরা এখনো ভালোমন্দ বুঝতে শিখিনি। যা আমাদের গেলানো হয়েছে, আমরা তা গিলেছি। আমাদের প্রতিবেশী আমাদের ঘরে দিয়ে গেছে, তাদের উচ্ছিষ্ট। আমরা দাঁত বের করে তা নিয়েছি। ভাবিনি, আমরা কি পাচ্ছি? আমাদের সন্তানেরা কি পাচ্ছে?


আমাদের আধুনিক নারীরা আজ বড় বেশি ব্যাস্ত সময় কাটান। সারাদিন সিরিয়ালে চোখ রেখে প্রতিজ্ঞা, গোপী বউদের কি পরিণতি হলো সেটা নিয়ে ভাবনার ভুবনে ডুবে যান। নিজেদের সংসারের খবর নেয়া হয়না।
সিরিয়ালে শিখে গেছেন, দজ্জাল শ্বাশুড়ীকে কিভাবে শিক্ষা দেওয়া যায়। তাই বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি ভুল করলে, তাকে সিরিয়ালে হতে শেখা শাস্তি দিতে বেশী দেরী হয়না। ননদকে শায়েস্তা করার উপায়ও বাতলে দিয়েছে, সিরিয়াল। সিরিয়ালময় সংসার চলবেই চলবে। সিরিয়াল দিয়েছে, নতুন ফ্যাশনের পোষাকের ধারনা। আধুনিক সময়ের সাথে তাল মেলাতে, তাই ফ্যাশনের অংশ হওয়া চাই। স্বামীকে টাকা কামাতে আরো বেশি বাধ্য করা হয়। কারন টাকা ছাড়া এই ফ্যাশনের সাথে তাল মেলানো বড় দায়। আগে দেখতাম বিভিন্ন উপলক্ষ্যে পোষাক কেনা হতো। আর আজ পোষাকের জন্য উপলক্ষ্য হলো, সিরিয়ালের নায়িকার পোষাক বদলানো। মানে ফ্যাশন বদলে গেলো, পোষাকও বদলে নাও। স্বামী বেচারার বেতন হলো কি? খেয়াল করে দেখবেন, আজকের দিনে সঞ্চয় করা হয়না। খরচের খাতায় হিসেব মিলিয়ে জমার খাতা শূন্য থাকে। আর রুচি? ওরা শিখিয়েছে নগ্নতাই রুচিবোধ।



নারীকে এখন আর পুরুষ দ্বারা শাসন করা যায়না( শাসন কি?)। তাদেরকে সন্তানের প্রতি নজর দিতে বলাতো যায়? নারীদের সামনে বসিয়ে টাকা কামানো বাণিজ্যিক চ্যানেলগুলো যে বোকা না। তারা তা প্রমান করে বাচ্চাদেরকেও, হিন্দি চ্যানেলে বসিয়ে দিয়েছে। ডোরেমন বিষ এখন প্রতিটি বাচ্চার শরীরে। সুকুমার রায়ের বইয়ের চেয়ে গাধাউদ্দিন ঘোষের লেখা "ডরেমনের সাথে একদিন" বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
তাই আসুন, বন্ধুগণ। আমরা এখন থেকে বাংলায় নয়, হিন্দিতে কথা বলি। বাংলা ভাষা আমাদের কি দিয়েছে?
৩৮টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×