somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অন্ধবিন্দু
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (১) ও ৩৯ (২)(ক) এবং মানবাধিকার সনদ(UDHR) এর অনুচ্ছেদ-১৯ ও অনুচ্ছেদ-২৭ বিশেষভাবে উল্লেখপূর্বক; “অন্ধবিন্দু”- ব্লগ পাতাটির লেখককর্তৃক গৃহীত ও ব্যবহৃত একটি ছদ্মনাম মাত্র।

দমে দমে তার সৃজন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলা ভাষার ক্রিয়াপদ-প্রকরণ অন্য যেকোনো ভাষার চেয়ে বেশ জটিল। তথাপি আমাদের মাতৃভাষার মধুর হাজারো বোল,বাচনিক স্ফূর্তি ও প্রান্তিক লোকসমাজের শ্রুতি-নির্ভর আবহমান উপাদান মিশ্রিত ভাষ্য-বৈচিত্র্য এবং বাউল সুর ও ভাবের অতলস্পর্শ গভীরতায় রয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির শেকড়―এসব লোকসঙ্গীত ও গীতিকবিদের রচনা, ভাষাকে দিয়েছে গতিময়তা এবং একইসাথে সহজিয়া রীতি। ভাষাকে চর্চা ছাড়া কেবল ওই গ্রন্থাগার আর যাদুঘরে সাজিয়ে রাখা যায়। তাতে করে শুধু দূরত্বই বাড়ে লোক-প্রিয়তার সাথে। গুরুসম, শ্রদ্ধেয় সে-সকল সঙ্গীতকার ও মুখের-লেখকদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা; তাঁদের গীত সাধনা ও কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গুটিকত চেষ্টার সাহস পাচ্ছি আমরাও। জানি এসব সৃষ্টি অতি সামান্য ও তুচ্ছ হ’তে পারে। পাঠকগণ, আমি কাগজ-কলমে লিখি, খসখসে শব্দটা আমার ছন্দ। কুয়োর বেঙের মত করে কোন কল্পনা বা কাহিনী আমার ভাবতে হয় না, অথবা পারিও নে। জগতের অসংখ্য সত্য ঘটনা ও গল্প দর্শক-মনোযোগে বাস করে। একান্নবর্তী এ পরিবারই দেহধারণ করে আছে সবটাতে। আমি তাঁদের উপস্থিতিতে মুখোমুখি হই। রবীন্দ্রনাথের কথাটি বলতে ইচ্ছে হয়, ‘যখন পথিক যে পথটাতে চলিতেছে বা পান্থশালায় বাস করিতেছে, তখন সে পথ বা সে পান্থশালা তাহার কাছে ছবি নহে; তখন তাহা অত্যন্ত বেশি প্রয়োজনীয় এবং অত্যন্ত অধিক প্রত্যক্ষ। যখন প্রয়োজন চুকিয়াছে, যখন পথিক তাহা পার হইয়া আসিয়াছে, তখনই তাহা ছবি হইয়া দেখা দেয়।’ আমি সে ছবি লিখি মাত্র ‘গান লিখি তাতে সুর বসিয়ে গান গাই, এইটুকুই আমার আশু দরকার। আমার আর কবিত্বের দিন নেই। পূর্বেই বলেছি ফুল চিরদিন ফোটে না, যদি ফুটত তো ফুটতই আমাদের কোন দরকার হতো না। এখন যা লিখি তা ভাল কি মন্দ সেকথা ভাববার সময়ও নেই। যদি বল তবে ছাপাই কেন, তার কারণ হচ্ছে ওটা আমার একান্তই অন্তরের কথা, অতএব কারো না কারো অন্তরের কোন প্রয়োজন ওতে মিটতে পারে। ও গান যার দরকার সে একদিন গেয়ে ফেলে দিলেও ক্ষতি নেই কেননা আমার যা দরকার তা হয়েছে। যিনি গোপনে অপূর্ণ প্রয়াসের পূর্ণতা সাধন করে দেন তারই পাদপীঠের তলায় এগুলো যদি বিছিয়ে দিতে পারি এ জন্মের মতো তাহলেই আমার বকশিশ মিলে গেল ...’



চোখখের মালায় না-দেখলাম যারে,
মন কেন রে তারে খুঁজে/ ব্যয়া যাওয়া দিনের চরে
গড়িছে যে মহামায়া/ তারে ভেবে গো রশিদ
এশক্ ভিড়াও ঘাটে ঘাটে ?

কে ডাকে আপন বড়/ কণ্ঠে তাহার নামটি লও
রশিদ বলে ভুলেছে মন/ কি নামে তার স্মরণ হয়

চক্ষুর দেখা দালান কত/ বানলো আইসা এ পারে
খেয়া পাড়ি দিতে ও- কী/ করছে সদাই মিছে ধন!
আসমানেতে খুলছে দুয়ার/ রইলে প’ড়ে অচেতন
রশিদ/ রইলে প’ড়ে অচেতন
সাধন করা বাঁধন এথায়/
দমে দমে/ তার সৃজন

বোঝো কিনা নেশায় ধরা/ আগুন তাপের
উপোষ হাড়ি/ রান্ধো বসে যে সারাখন
পরাণ কি পুড়ে না ওতে/ পুড়ে কালা/
কয়লা জনম, ভাব বিনে/
সে ছাইয়ের ক্ষয়/

এত যারে স্বাদ করিলা/ ফের থাকলে বুজে অখিল-মুখ
কভু তোমার জানিয়া ভক্তি/ কভু তোমার জানায় অ-সুখ
খেলিছে তোমারই ক্ষুধা/ যেমনি ফুটে রাত-বিরাতে
ভিটা হইতে পোয়াতি ফুল// রোগ তার গাছের লগে,
কেবা লয় সে সংসারের খোঁজ/ মন তাঁরে তালাশ করে
ভ্রমর ক’রে কামগন্ধে/ সে বিরহে গুঞ্জন―

‘চোখে না দেখলাম যারে/ মন তবু কেন রে খুঁজে
রশিদ বলে বেদন বুকে/ তার দেখা কী পাইবোনা!’

অবুঝ ওরে সন্ধান করিস/ তোর দৃষ্টি কি পায় দ্রষ্টারে ?
বাছ-বিচারে নামের কি দোষ/ কোন স্বাদে তোর প্রাণ বাঁচে!
ক্ষুধায় ছুটে আহার পানে/ বলতো, কে তারে শেখায়
জাগলে রবি ঘুমোয় নারে/ যারা এ পথের কা-ঙা-ল

দেখ না তুই হাটে-মাঠে/ কাকের বাসায় উঁকি-মারে
মা-পাখিটির শূন্য উদর/ কোন সে টানে লয় আদর
কৃষক-ঘামে ভিজে জমিন/নোনা কি নয় তাঁর ফসল!

সোনা নামে ডাকিস যখন/ সোনার দামে কিনিস কিরে ?
নোনা ফসল রতন হইয়াও/ অভাব কেনে বাহিক ঘরে
আস্তা আদম পচে গলে/ খনি হইলে আপন নীড়ে
কোন মনজিলে/ তাহার বলো হিসাব হয়!

নানান কহে চোখের পরেও/ আছে দেখার বহু চোখ গো
চেনা কোন জন/ স্মরণে কে’বা/ অচিন লক্ষ-কোটি লোকে
দেখার আছে/ লুকিয়ে দেখার/ হায়াত মউত কিছুই নয়
কর্ম যেবা করিছে জিকির/ সেই কিন্তু আসল জন
দৃশ্য ঘটুক অগোচরে/ বর্তমানই সব প্রহর
রশিদ তোমার/ বর্তমানই সব প্রহর
তাই মনের পরেও/ কর্মী হও গো
এশক্ করো/ তার বচন








০৫ মাঘ ১৪২২
অন্ধবিন্দু | সামহোয়‍্যার ইন...ব্লগ

স্বত্ব সংরক্ষিত
চিত্র: জিনয়ি ফ্রে
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২২
৩৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×