অধ্যাপক গোলাম আজমের স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আজম সম্প্রতি এক বিবৃতি দিয়েছেন। তার বিবৃতিখানা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বিকৃত অবস্থায় প্রকাশ করে। দৈনিক মগবাজারের হাতে এর মূল কপি এসে পড়েছে। নিচে তা হুবহু তুলে দেয়া হলো -
আমার স্বামী অধ্যাপক গোলাম আজম। তিনি আমার একমাত্র স্বামী। আমার স্বামীর কোথাও কোন ব্রাঞ্চ নাই। ৯০ বছর বয়সে আজ দীর্ঘ ৭ মাস তিনি কারাবন্দী। গোলাম এখন ৭ মাসের গর্ভবতী। আপনারা জানেন ৭ মাস খুব বিপদজনক সময়। আর মাত্র ৩ মাস পর প্রসব যন্ত্রনায় কাতর হয়ে ডেলিভারি করবেন। আমরা উনার জন্য মাদার হরলিক্স, সবুজ শাক সবজি, দুধ, ডিম সরবরাহ করতে চেয়েছি। আমরা চেয়েছি নতুন জামা কাপড় পরিয়ে গর্ভবতীকে সাজাতে। কিন্তু সরকার দিচ্ছে না। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। কর্তৃপক্ষের ভাব দেখে মনে হয় তাদের বাপ ভাইরা কখনো গর্ভবতী হয় নাই।
গোলাম আজমের প্রতি এমন অবহেলা ধৃষ্টতার সামিল। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা আল্লাহর দেয়া রিজিক ভোগ করে সরকারের ইশারায় আমার স্বামীর সাথে সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করে যাচ্ছে। বর্তমান অবস্থায় অধ্যাপক গোলাম আজমের জীবন নিয়ে আমরা শংকিত। গ্রেফতার হওয়ার সময় তার ওজন মোবারক ছিলো ৭২ কেজি। তখন তার গর্ভের সন্তান মোবারকের কোন ওজন ছিলো না। এখন গর্ভের ৭ মাসের সন্তান মোবারকের ওজন সহ আমার স্বামীর ওজন সাড়ে ৭৫ কেজি হওয়ার কথা। কিন্তু তার ওজন এখন ৬৫ কেজি। আমরা খবর পেয়েছি পেট কেটে ৩ মাস আগেই সন্তান বের করে ফেলা হয়েছে। এ সন্তান বিক্রি করে দিয়ে সে টাকা পদ্মা সেতু ফান্ডে জমা দিয়ে দিয়েছে সরকার। আমাদেরকে একটা রিসিপটও দেয় নাই। আমাদের মনে একটাই প্রশ্ন, “সরকার এ সাহস পায় কোথায়!”
আমার স্বামী ও তার নবজাতকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার। পেট কেটে সন্তান বের করার পর আজান দেয়নি, মুখে মধু দেয়নি বেদ্বীন বেঈমান বুর্জোয়া সরকার। আমরা জানি এ সরকারের উপর আল্লাহর গজব পড়ে যাবে। আমার স্বামীর নবজাতক সরকারকে অভিশাপ দিচ্ছে।
আপনারা জানেন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া অধ্যাপক গোলাম আজমকে নিয়ে কোন কথা বলছেন না। বলছেন না তার নবজাতককে নিয়ে। বলবেনই বা কেন? সন্তানের মর্যাদা কী খালেদা বুঝেন! তার এক সন্তান মালেয়শিয়ায় গার্মেন্টসে কাজ করে। আরেক সন্তান লন্ডনে চাঁদাবাজি করে। দুই ছেলের এক ছেলেও তার কাছে নাই। তারা এখন দূরে দূরে। তিনি তার ফালুকে নিয়ে কেবল সৌদি আরব যান। তারেক যেন তার পুত্র নয়, কোকো যেন জিয়ার পুত্র নয়।
যাই হোক, এখন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার স্বামীর নবজাতককে ফিরে পেতে চাই। আমি নিজ হাতে সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল, মিঠা নদীর পানি আর খোদার মেহেরবানি খাইয়ে তাকে বড় করবো। আর যদি সরকার আমার স্বামীর সন্তানকে ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে আমিও বলবো এ শহরে অধ্যাপক গোলাম আজমের বাপের অভাবও নাই সন্তানের অভাবও নাই। গোলামের এক ডাকে তার লাখ লাখ বাপ আর কোটি কোটি সন্তান এসে হাজির হয়ে যাবে। সরকার তখন পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
তাই আমি আবারও বলছি সময় থাকতে গোলামের দেবদূতকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। একই সাথে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি তাকে, যিনি এ নবজাতক খরিদ করেছেন। তার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, “তোমরা এ পিতৃ পরিচয়হীন সন্তানকে নিয়ে সুখে থাকতে পারবে না। সেও গোলাম আজমের মতো খানকির পোলা হবে। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হয়ে যাও। মায়ের বুকে তার সন্তানকে ফিরিয়ে দাও।”
কর্তৃপক্ষের জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
View this link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





