এতটুকুন মানচিত্রে কতটুকুনই ভূমি আছে? সে ভূমিতে আবার দস্যুও আছে! শীর্ষ দস্যুদের খোমা লুকানো নেই, তারা প্রকাশ্যেই দস্যুপনা করে যাচ্ছে। জনগন জমি দিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এবার এতো রোষ এলো কোত্থেকে? রাষ্ট্রের শীর্ষ ভূমিদস্যু বসুন্ধরা গ্রুপ, আসিয়ান সিটি সহ অন্যান্যদের সাথে জনগনের সংঘাত হচ্ছে না কেন? রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর সাথেই লাগবে কেন? নাকি বঞ্চিতরা সব এক হয়েছে? জনগন বঞ্চিত ভূমি থেকে, আবাসন কোম্পানিগুলো বঞ্চিত দখলদারি থেকে, বিরোধীদল বঞ্চিত ক্ষমতা থেকে।
খবরে প্রকাশ সেনাবাহিনীর জন্য কম দামে জমি বিক্রি করতে জনগনকে হুমকী দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী নেতা। এটা একটা দুর্যোগের লক্ষণ ছাড়া আর কিছুই না। সেনাবাহিনী যখন নিজ ভোগদখলের জন্য প্রকাশ্যে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দ্বারস্থ হয়, তখন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের পাহারা দেয়াটা অনিশ্চিত হয় ভয়ানক ভাবে।
কিন্তু বরাবরই রাষ্ট্র যাচ্ছে হুমকীর মূখে। জনগন বনাম সেনাবাহিনী, সরকার বনাম জনগন, রাষ্ট্র বনাম বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান - এ ধরনের মুখোমুখী সমীকরণগুলো রাষ্ট্রের পক্ষে না।
জনগন কেন আবাসন কোম্পানিগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়ালো, বিষয়টির মনস্তাত্ত্বিক খুঁটিনাটি বের করা জরুরী।
না হলে জনগণের একীভূত রোষ ব্যবহার করে যে কোন অশুভ মহল রাষ্ট্রকে নিয়ে যেতে পারে চূড়ান্ত হুমকীর মূখে।