স্রেফ ব্যক্তিগত স্বর্গলাভের লোভে ধর্মের পক্ষে নিজস্ব নৈপুন্য প্রদর্শন করতে গিয়ে ব্লগে যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের উচিত ব্যবস্থা নেয়া। তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড মানুষকে লোভী এবং স্বার্থপর হতে শেখায়। সর্বোপরি পরোশক্তির উপর নির্ভরতাও শেখায়। প্রত্যেকটি ধর্মের সৃষ্টি সে সে ধর্মের কর্তাব্যক্তির হাতে। এবং রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বও উনার হাতে। ধর্মের পক্ষে মারামারি কাটাকাটি করলে স্রষ্টার সান্নিধ্য পাওয়া যাবে এবং সে সুবাধে স্বর্গলাভ করা যাবে; এমন একটি লোভ থেকে মাঝে মাঝে স্বর্গলাভের মৌসুমী তৎপরতা চলে ব্লগারদের কারো কারো।
সে হিসেবে বরং ধর্মকে গালাগালি করা ব্লগাররা অধিক সাহসী। নরকের মতো ভয়ংকর বিষয়কে পাত্তা না দিয়ে এবং স্বর্গের মতো লোভনীয় বিষয়ের প্রতি আগ্রহ না দেখিয়ে তারা অন্তত শৃংখলমুক্ত হতে চাচ্ছে। এইতো আত্মশক্তির সর্বোচ্চ উদাহরণ।
ব্লগেতো সে শুরু থেকেই দেখলাম। তথাকথিত আস্তিক পন্ডিতরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যক্তিতে টিকতে না পেরে ব্লক সুবিধার ব্যবহার করে এবং কোরআন হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে পালিয়ে আসে।
প্রতিদিন হাজার হাজার পাপ কাজ করে কেবল স্বর্গপ্রাপ্তির লোভে ধর্ম বাঁচানোর দায়িত্ব নিতে আমার লজ্জা লাগে। কারণ আমার স্রষ্টাই তার ধর্মের দেখাশুনা করছেন এবং করবেন। (যদি আমি ধর্মের কেউ হই)।
ব্লগে চলমান ইভটিজিং বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কাউকে কাউকে নিয়ে এখন চলছে ত্যানা প্যাঁচানি। এটা যে একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা বুঝার বাঁকি থাকে না। নইলে ৪/৫ মাস পুরোনো মন্তব্যের জের ধরে যারা ব্লগে মারমারকাটকাট অবস্থা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সত্যিকারের উদ্দেশ্য কি?
এ ধরনের নিকৃষ্ট লোভী, চরম স্বার্থপর ধর্মের ইজারা নেয়া কর্তাব্যক্তিদের ঘাঁড় ধরে ব্লগ থেকে বের করে দেয়ার পক্ষে আমি।