সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে যত হারাম কাজ সংঘটিত হচ্ছে এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ১ লক্ষেরও কমসংখ্যক লোক।
টিভি, সিনেমা, নাটক, যাত্রা, খেলাধুলা, মদের ব্যবসা, সুদ, চোরাচালান, মাদক, পাচারকারী, অবৈধ মজুদদার, অবৈধ হোটেল ব্যবসা ইত্যাদি হারাম কাজের মদদ যোগায় এ অল্পসংখ্যক লোক। এদের জন্য কোটি কোটি লোক হারামে নিমজ্জিত থাকবে তা কখনো হতে পারে না।
এদেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ইসলামী আবহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ প্রায় সকলেই হারামের মধ্যে ডুবন্ত। নাউযুবিল্লাহ!
সিনেমা: “সিনেমা”, মুসলমানগণ উনাদের কাছে চরম এক ঘৃণ্য শব্দ। এ হারাম সিনেমার মাধ্যমে কোটি কোটি লোক হারামে নিমজ্জিত থাকছে।
১৯৯১ সালের হিসাব মোতাবেক বাংলাদেশে প্রায় ১২৩০টি সিনেমা হল ছিলো। ২০১০ সালে এসংখ্যা কমে ৭৪২ এ পৌঁছে। আর ঢাকা শহরের মধ্যে ছিলো ৪৪টি হল এর মধ্যে ৩৩টি চালু আছে। প্রতি বছর প্রায় শ’খানেক হারাম সিনেমা নতুন করে বের হয়। এ হলগুলোতে প্রতিদিন লাখ লাখ শিশু, কিশোর, পুরুষ-মহিলা হারাম সিনেমা দেখে। হল ছাড়াও টেলিভিশনে, ভিসিআর-এর মাধ্যমে সিনেমা দেখা হয়। নাউযুবিল্লাহ!
কিন্তু কোটি কোটি মানুষকে এ হারামের যোগান দেয় মাত্র ১২,৮৪৭ জন! এদের মধ্যে বেশিরভাগই অপেশাদার এবং সাময়িকভাবে এ হারামের সাথে জড়িত। মুসলমানের দেশে কোটি কোটি লোককে হারামের সাথে সংশ্লিষ্ট রাখছে কয়েক হাজার লোক। এ অবশ্যই আশ্চর্যের বিষয়!
হারাম সিনেমাকে ঘিরে প্রতিদিন যে কত অপরাধ সংঘটিত হয়, তার সামান্য অংশই আমরা খবরের কাগজে দেখতে পাই। আবার সিনেমা হলগুলোকে কেন্দ্র করে মাদকসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা গড়ে উঠছে। রাস্তা-ঘাটে, বাজারে, স্কুল-কলেজের সামনে সিনেমার হারাম, অশ্লীল পোস্টারগুলো ছেয়ে থাকে; যা মুসলমানগণ উনাদের জন্য চরম বিব্রতকর।
“সিনেমা” ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম এবং কুফরীর উৎস। অথচ মুসলমানের দেশে এ হারামের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ নেই, বরং বিভিন্ন মহল, যারা মূলতঃ ফাসিক-ফুজ্জার এবং কাফির মুশরিকদের দালাল, তারা এর প্রচার-প্রসারে উৎসাহিত করে। নাউযুবিল্লাহ!
যদি জনগণ সিনেমা হলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়, তাহলে তাদের সিনেমা হলগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে এবং সিনেমার প্রোডাকশনও বন্ধ হয়ে যাবে। আর এ হারাম সিনেমা বন্ধ হয়ে গেলে মুসলমানগণ অনেক পাপ থেকে সহজেই বেঁচে যাবে। এর পূর্বে সাধারণ জনগণকে এটা উপলব্ধি করতে হবে যে, “সিনেমা” ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে চরম হারাম, কুফরী এবং নিষিদ্ধ। আর সামাজিকভাবে এ হারাম সিনেমা মাদকাসক্তি, অবৈধ ব্যবসা, বখাটেপনার উৎপত্তি, নারী টিজিংয়ের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। ফলে এ ক্ষতিকর দিকটার কথা চিন্তা করে সামাজিকভাবেও “সিনেমা” নামক হারামের আখড়া বন্ধ করার বিষয়ে জন্য জনসচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।
মুসলমানগণ উনাদের উচিত ছিলো “সিনেমা” নামক হারামের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা এবং এ হারামকে চিরতরে এদেশ থেকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকারকে বাধ্য করা। আর সরকারিভাবে হারাম “সিনেমা”র সাথে জড়িতদের অন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
আমরা মুসলমাগণ জাতিগতভাবে সভ্য, ভদ্র, শালীন। কিন্তু সামান্য কিছু পথভ্রষ্ট লোকের জন্য ১৬ কোটি মুসলমান হারাম কাজ করবে এটা কোনো মুসলমানই সহ্য করার কথা নয়। তাই মুসলমানগণের উচিত এর বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে সিনেমা দেখা থেকে বিরত রাখা এবং এ হারামকে বন্ধ করে দেয়া। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
মাত্র অল্প কিছু লোকের জন্য ১৬ কোটি লোক হারাম কাজে নিমজ্জিত থাকবে?-১
মাত্র অল্প কিছু লোকের জন্য ১৬ কোটি লোক হারাম কাজে নিমজ্জিত থাকবে? -২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




