somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালো থেকো সৌরভ ভাইয়া :(( :(( :((

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রতিদিন ই রাত ১২টায় একবার করে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়।তখন বুয়েটের ছেলেদের হল থেকে অনেক চিতকার শোনা যায়।গতকাল রাতে ঠিক ১২টার একটু আগেই অনেক নয়েজ আস্তেছিল।ভাবলাম,র‌্যাগের প্রোগ্রাম চলতেছে,ভাইয়ারা হয়ত মজা করতেছেন।ফ্রেন্ডের রুমে গেলাম গল্প করতে।তার কিছুক্ষন পরেই সিভিল’০৯ এর এক ছোট আপু এসে বলল, র‌্যাগ ব্যাচের একজন নাকি শক খেয়ে মারা গেছেন ,সৌরভ নাম।খবরটা শুনে প্রথমে বিশ্বাস ই হচ্ছিল না,সত্যি,সত্যিই কি আরো একজন বুয়েটিয়ান কে আমরা হারালাম?বার বার শুন্তেছিলাম সিউর হওয়ার জন্য ,এফবিতে তখনও কোন আপডেট নাই,একজন শুধু লিখেছে ভাইয়াকে ডিএমসিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে দাড়ালাম।দেখলাম অনেকএই বের হয়েছে,০৭এর আপুরা ডিএমসিতে যাচ্ছেন।অনেকেই কাদছে,সবার চেহারায় অবিশ্বাষ্য শোকের ছাপ।এত কান্না পাচ্ছিলো, বুয়েটে তাও আবার নিজের হলে? আমি নিজেও তো রুমে মাল্টিপ্লাগে কত বার শক খাই/. :| :|
সিভিল ডিপার্ট্মেন্টের জন্য আরো বেশি খারাপ লাগতেছিল,কিছুদিন আগেই ’১১ ব্যাচের একজন মেয়ে মারা গেল,এখন আবার সৌরভ ভাইয়া।তার আগে ’০৯ ইইই এর একজনার দূর্ঘটনায় পা হারাল।প্রতি বছর র‌্যাগ ব্যাচ থেকে আমরা একজনকে না একজনকে হারাই।অথচ আমাদের বাবা-মা রা আমাদের কত আশা নিয়ে এখানে পাঠান।ভাইয়াতো আর কয়েকদিন পরেই বের হতেন,হয়ত ভালো কোন জব করে বাবা-মা’র মুখ উজ্জ্বল করতেন।অথচ এখন।…/:)/:) :(( :(( :((
আমি বুঝিনা কেন এই দুর্ঘটনা গুলা আমাদের মাঝেই বারবার আসে?কেন বার বার হারাতে হয় প্রিয় কোন মুখ?ঘটনা গুলো আসলে মেনে নেয়াই যায় না।ভাইয়ার বাবা-মা;র কাছে আমরা কিভাবে মুখ দেখাবো?সবচেয়ে বড় কষ্ট তো ভাইয়ার ফ্রেন্ডদের,যারা তখনো তার পাশে ছিলেন ,বুঝতেই পারেননি তাদের একজন প্রানের বন্ধুর কি হতে যাচ্ছে। :(( :(( :((
জানিনা,লুন্ধক’০৭ আর র‌্যাগের প্রোগ্রাম করতে পারবে কিনা…………।
আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা উনার আত্তা যেন শান্তিতে থাকেন,যিনি এ পর্যন্ত ১২বার রক্ত দিয়েছেন,তিনি নিশ্চয়ই কষ্টে থাকবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৯
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×