স্কুলছাত্রকে হাত বেঁধে মারধর করেছেন শিক্ষক
বেনাপোল, ফেব্র“য়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যশোরের বেনাপোল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার এ ঘটনায় আহত রমজান ব্যাপারী পাপ্পুকে (১৩) যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাপ্পু বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের বাবলুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় শুক্রবার বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর না করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি আইন করেছে। এ আইনে মারধরের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
পাপ্পুর বাবা বাবলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার বেনাপোল হাইস্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাগেরহাটে পিকনিকে যান। সেখানে বাসের একটি আসনের কভার খোয়া গেলে শিক্ষকরা পাপ্পুকে অভিযুক্ত করেন। কিন্তু পাপ্পু অভিযোগ অস্বীকার করলেও তারা শোনেননি তা।
ওইদিনই স্কুলের কেরানি রায়হান রশি দিয়ে পাপ্পুর হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায় সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক শওকত আলীও তাকে মারতে থাকেন।
এক পর্যায় জ্ঞান হারিয়ে মাটিয়ে পড়ে গেলে শিক্ষক হাবিব ও কেরানি রায়হান তার বুকে ও গলায় পা দিয়ে চেপে রাখেন। আর প্রধান শিক্ষক লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন।
পাপ্পুর বাবা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দাবি করেন।
পাপ্পুর সহপাঠীরা মারধরের দৃশ্যের ভিডিও মোবাইল ফোন সেটে ধারণ করে। পরে তারা এর সিডি শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামানের কাছে জমা দেয়।
ওয়াহেদুজ্জামান সিডিটি দেখে বলেন, “এ ঘটনা অমানবিক। এরা অসভ্য এবং শিক্ষকতা পেশায় অযোগ্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাট করতে পরবেন না।
শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ জঘন্য ববর্রতায় জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত। ঘটনা তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেনাপোল পোর্ট থানার পরিদর্শক (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়ের (জিডি) করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আপনারা যেভাবে বলছেন আসলে তাকে ওভাবে মারা হয়নি।
এ সময় সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজের কথা বললে তিনি চুপ করে থাকেন। এরপর আর কিছু বলতে রাজি হননি।
উৎসঃ বিডি নিউজ ২৪.কম