আমরা অনেকে ধর্ষণ নিয়ে অনেক কিছু লিখি। এর পেছনের মূল কারণের মধ্যে অনেকে মেয়েদের উন্নতদেশের আদলের পোশাক-আশাক কথা প্রায়ই সময় বলে থাকেন। মেয়েদের এসব যৌন-উদ্দীপক পোশাক নিয়ে নানা জায়গায় নানা আলোচনা। দিন পাঁচেক আগে, সামুতে এক ভাইয়ের ব্লগের এক উদাহরণ মনে দাগ কাটে।
উদাহরণটি ছিল, কেউ আপেলের চাষ করলো এবং সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল যার ইচ্ছা হয় আপেল খেতে পারে। সবাই আপেল প্রয়োজন পড়লে নিয়ে খেত।
আর একটি বাগানে আপেল চাষ করলো, সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল, আপেল চুরি করা নিষেধ। যদি আপেল চুরি হয় তাহলে কিছুটা দায়িত্ব মালিকের উপরো বর্তায়। কারণ সে কোন নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেনি।
তাঁর এই উদাহরন আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক দিন। কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রতিপত্তি সম্পন্ন ব্যাক্তি আপেল বাগানের নিরাপত্তা না থাকলের চুরি হয় না। নিরাপত্তা দিয়েও আপেল চুরি যায় কোন হতভাগার।
আমাদের দেশে যে সকল মেয়েরা এই সকল যৌন উদ্দীপক পোশাক পরিধানের রেওয়াজ রাখেন, তারা খুব কমই ধর্ষণ নামক জঘন্য জিনিসটার মুখোমুখি হন। মুখোমুখি হতে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সরল মেয়েদের। যারা হয়ত সেই সকল পোশাকের কথা স্বপ্নে ভেবে থাকেন।
তাহলে এই ধর্ষনের কারণ কি শুধু উগ্র পোশাক?
আর বর্তমানে প্রচুর শিশু ধর্ষনের মত ঘটনা অহরহ। তাহলে এই উগ্র পোশাকের ফলাফল কি এই শিশুধর্ষণ?
আমার মনে হয় না। আমাদের নীতির মধ্যে রয়েছে এই সমস্যা।
আর দেশে ধর্ষনের শাস্তি যে হাল, দুস্কৃতিকারীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে অন্যদের বুকে সাহস যোগাচ্ছে।