somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিশুক মুনীর : কর্মসমগ্র

১৫ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মিশুক মুনীর । পুরো নাম আশফাক মুনীর মিশুক, দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ব্রডকাস্ট জার্নালিসম বিষয়ে শিক্ষকতায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর ছেলে। ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণকারী মিশুক মুনীরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। শিক্ষকতার চেয়ে ক্যামেরা হাতে কাজ করাটাই ছিলো তার সবচেয়ে পছন্দের। যখন দেশে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিকাশ হয়নি তখন সেই টানেই তিনি ছুটতেন দেশের বাইরে। তিনি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও ইউরোপেরে বিভিন্ন জায়গায় বিবিসির ক্যামেরা পারসন হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। এছাড়া তিনি কানাডার রিয়েল টেলিভিশনের হেড অব ব্রডকাস্ট অপারেশন হিসেবে কাজ করেছেন। নিজের হাতে গড়ে তোলেন একুশের সংবাদ টিম। নাম পান বাংলার সায়মন ড্রিং। তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস, চ্যানেল ফোর ও সিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু বিদেশের জন্য নয় দেশের জন্যই দেশে ব্রডকাস্ট জার্নালিজমের বিকাশেই কাজ করতে চাইতেন মিশুক মুনীর। সেকারণে গত বছর দেশে ফিরে এটিএন নিউজের সিইওর দায়িত্ব নেন।

মিশুক মুনীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর (১৯৭৯-১৯৮৩) পাস করেন। ১৯৮২-৮৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন জাতীয় জাদুঘরের অডিওভিজুয়াল কর্মকর্তা হিসেবে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোদস্তুর সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত একুশে টিভির বার্তাপ্রধান (পরিচালনা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি টরন্টোর ব্রেকথ্রো ফিল্মস, জে ফিল্মস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্স ক্যামেরাপারসন ও প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। কানাডার রিয়েল নিউজ নেটওয়ার্কের হেড অব ব্রডকাস্ট অপারেশন্স হিসেবে দীর্ঘ আট বছর কাজ করেন তিনি। সর্বশেষ গত বছর তিনি এটিএন নিউজে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও তিনি লিবিয়ার সংকটের সময় সে দেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের সংবাদ সংগ্রহ করতে নিজেই ছুটে যান। মিশুক মুনীর একাডেমি অব কানাডিয়ান সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশনের এবং কানাডিয়ান ইনডিপেনডেন্ট ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং কানাডিয়ান সোসাইটি অব সিনেমাটোগ্রাফির সহযোগী সদস্য ছিলেন।
বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের ছবি রানওয়ের প্রধান চিত্রগ্রাহক ছিলেন মিশুক মুনীর। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মুক্তমঞ্চে এই ছবির প্রদর্শনী করেছেন তাঁরা। এছাড়া জেমিনি অ্যাওয়ার্ড জয়ী রিটার্ন টু কান্দাহার এবং সিচুয়েশনাল ক্রিটিক্যাল, লিটল মিরাকলস, হার্টবিট, ওয়ার্ডস অব ফ্রিডম প্রামাণ্যচিত্রে কাজ করেছেন মিশুক মুনীর।

মিশুক মুনীর সম্পর্কে আরও তথ্য এখানে: প্রথম আলোবিডিনিউজ২৪বাংলানিউজ২৪

দ্যা রিয়েল নিউজের ওয়েব সাইটে মিশুক মুনীর-কে নিয়ে লেখা হয়েছে :
We called him TRNN employee 001. He was the first person to work with me on the project, starting in 2004. He fought tirelessly and was a critical reason why TRNN became a reality.

ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে দ্যা রিয়েল নিউজে করা তার একটি প্রতিবেদন এখানে :


ইরাকে তুর্কী হামলা নিয়ে দ্যা রিয়েল নিউজে করা তার একটি প্রতিবেদন এখানে :



সারাজীবন ক্যামেরার পেছনে থাকা এ মানুষটি সবসময়ই ক্যামেরা এড়িয়ে চলেছেন। পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা সত্বেও কখনো প্রচারে আসেননি। নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন একুশের সংবাদ টিম। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক জার্নালিজমে মেধা আর প্রযুক্তির সমন্বয় করতে চেয়েছেন সারা জীবন। বিদেশের জন্য নয় দেশের জন্যই দেশে ব্রডকাস্ট জার্নালিজমের বিকাশেই কাজ করতে কানাডার নিরাপদ জীবন ছেড়ে চলে এসেছিলেন দেশে....
কিন্তু হায় !! আমরা তাকে ধরে রাখতে পারলাম না....
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১২ ভোর ৫:১৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×