তীব্র অনুভূতিশীলদের এইপোস্ট না পড়ার অনুরোধ রইল! পড়লে নিজ দ্বায়িত্বে পড়বেন!
রাম দা নিয়েই তেড়েফুড়ে বাড়ি থেকে বাহির হচ্ছিল করিম মিয়া, তাকে বাঁধা দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরল বড় ভাই রহিম।
- এইভাবে যাইছ নারে ভাই, মাথা ঠান্ডা কর। অনুভূতি মনের মইধ্যে চাইপা রাখ।
- আপ্নের নীতিবাক্য রাখেন দাদা। (রাগে গজগজ করতে থাকে করিম!) যখন বাপ মা তুইল্ল্যা গালি দিছিল তখন তো চুপ কইরা ছিলেন!
- হ! গাইল দিলে দিছে। কি করমু! হেরা শিকখিত মানুষ, যুক্তিবাদী। আম্রারে গাইল দিলেও সেইখানে যুক্তি থাকে।
- আপ্নার যুক্তি আপনে ুদান। শালাগোরে দাও দিয়া কোপাই আসমু আইজকা।
- মাথা ঠান্ডা কর ভাই, চল চেয়ারম্যানের কাছে চল। হেরে সব বুঝাই কই।
- ঐ ানকির পুতই তো সবগুলানরে লাগাই দিছে। ইলেকশনে ভোট দিলাম আম্রা, খাটা খাটনি সব করলাম, টেকাও খরচ কর্লাম, আর অহন গুন্ডা-পান্ডা লাগাই দিছে আম্রার এইখানে। নিজে সাধু সাইজা নীতি কথা কইতাছে, আর যুক্তি ফলাইতাছে। খলিলরে কি করছে শুনেন নাই???
- না, শুনি নাই।
- শুনবেন কেম্নে? শুনছেন তো খালি হেদের নীতিকথা.... এইসব নীতি কথার মায়েরে বাপ.... খলিল নতুন আবাদ করছিল, চারা লাগাইছে, ানকির পোলাগুলা রাইতের আন্ধারে গিয়া হাইগা আসছে, শালার বলদ হইলেও একটা কতা আছিল, গোবর কাজে লাগত.... শালাগুলারে অহনই গিয়া বলদ কইরা আমু !!!!.....!
(করিম আবারও তার ভাইয়ের হাত ছাড়ার চেষ্টা করে, কিন্তু পারে না।)
- হাত ছাড়েন না কেন? যখন মায়েরে তুইলা গালি দিছিল। তখন কই আছিলেন আপ্নে?
- মায় তো অনেক আগেই মইরা গেছে। গালি দিলে কি গায়ে লাগবো? তুইও তখন দিয়া দিতি পাল্টা গাইল। তখন দেছ নাই কেন?
- ভাদাইম্ম্যা জারজ গুলানরে গাইল দিলে কি হেদের গায়ে লাগবো? হেগো বাপ-মার কোন ঠিক-ঠিকানা আছে নাকি? গিয়া দেহেন, বাপের নাম জিগান, কইতারবোনা! আর বাপ মা থাকলেও কি হইত, হেরা কি আর বাপ মা মানে?
- সবই বুঝিরে ভাই, কিন্তু গাইলের বদলে কি আর গাইল দিবি? সমাজ আছে না, সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরী হইবো, শান্তি নষ্ট হইবো।
- ানকিরপোলাগুলা কিছু গাইল দিলে শান্তি নষ্ট হয় না, না? হেরা যখন গাইল দেয় তখন এই ুদির সমাজ কই থাকে। আর গাইলরে গাইল দিয়া মুকাবিলা করুম ক্যান। রামদাও কি এম্নে নিছি। সাহস থাকলে সামনে আসুক। রাইতের আন্ধারে হাগছ, সাহস থাকলে সামনে আইসা লুঙ্গি তুলুক, সোজা কাইটা দিমু..... (করিম মিয়া গজগজ করতে থাকে..)
এ গল্পের শেষ আর জানা যাই নি। আশ পাশের ৮/১০ বাড়ি থেকে লোক জন এসে জমে গিয়েছিল। সবাই করিম কে ঠান্ডা করতেই ব্যস্ত, আর দীর্ঘদিনের গালাগালে ক্ষোভ জমতে থাকে.....!
{প্রথমত: এ গল্পের সব চরিত্র, ঘটনা, পরিপ্রেক্ষিত কাল্পনিক। কারও সাথে বা কোন গ্রুপের সাথে মিলে গেলে তা হবে কাকতাল মাত্র। এ জন্য লেখক দায়ী নয়!
দ্বিতীয়ত: প্রথমেই বলা হয়েছিল তীব্র অনুভূতি সম্পন্ন কেউ এই পোস্ট না পড়তে, কেউ পড়ে তীব্র আঘাত পেয়ে থাকলে তাকে অনুরোধ করবো অনুভূতি নামক ঠুনকো জিনিস মাটিতে পুঁতে ফেলতে। অনুভূতি নিয়ে ব্লগানো নিষিদ্ধ। কারণ এইখানে তীব্র অনুভূতিশীলদের পু#কি মারা হয়! }
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭