-একটা বেনসন দেন তো !!!
পকেট থেকে একটা পাচ টাকার নোট বের করে দিলাম আর একটা এক টাকার নোট।
- কতদিন পর একটাকার নোট দেখলেন?
-দেখিতো প্রায়ই।
যাহ্ আমি ভাবলাম আমি অনেক দিন পর দেখলাম দেখে কেউই তেমন দেখেনা। এই নোট টা যখন পেয়েছিলাম ভাবছিলাম যে একটা এনটিক পেলাম।
মিন্টো রোড থেকে বের হয়ে রমনা থানা মসজিদের রোড এ দাড়িয়ে আছি। উফ। এখন্ও এক ঘন্টা। সাতটায় পড়াতে যেতে হবে। আজকে দ্বিতীয় দিন। এই এড়িয়াতে আমার তেমন আসা হয় নি। রাস্তা ঘাট ভালো চিনি ও না। এই এক ঘন্টা রাস্তা ঘাট চেনার কাজ এ ব্যয় করা যাবে। সমস্য হল হাত এ একটা বই আর একটা ডায়েরী। এক হাত এ ধরে এমন হাট তে ভাল লাগে না। নাহ এইবার একটা ব্যাগ কিনে ফেলতে হবে বেতন টা পেয়েই। আরো কিছু জিনিস কিনতে হবে। সিগারেট টা কেনার পর আর মনে হয় ২৮ টাকা আছে। সময় কাটানোর জন্যে সিগারেট এর মত ভাল বন্ধু হতেই পারে না। সমস্য হল সিগারেট শেষ হয়ে যায়। মাসের শুরুতেই অনেক সিগারেট কিনে রাখতে পার ভাল হত।
রাস্তা কোন ভাবেই চিন্তে পারছি না। রমনা থানা মসজিদ থেকে বাম দিকে কিছুদুর যেতেই ভিকারুন নেসা। পাশে দেখলাম মনোয়া হসপিটাল। নামটা খুব পরিচিত লাগল। কোন কারনে আমি একদিন এই হসপিটাল টা খুজছিলাম। কেন সেটা মনে পড়ল না। বের হলাম বেইলি রোড দিয়ে। কেএফসি এর কাছাকাছি যেয়ে দেখলাম একটা রাস্তা। ভাবলাম এই দিক যাই। যেখানে পড়াত যাওয়ার কথা আমার এই দিক দিয়ে হয় তো তারা তারি যাওয়া যাবে। পড়ে আবার সেই মনোয়ার হসপিটাল এ পাশ দিয়ে বের হলাম। আবার ও ভাবতে লাগলাম। কেন নামটা পরিচিত। নাহ। কিছুতেই মনে পড়ছে না। বাহ্ সন্ধা প্রায়। নামাজ না পড়তে পড়তে নিয়ম গুলাও ভুলে যাচ্ছি। যাই নামাজ পড়া যাক। ওযু করতে গিয়ে মনে হল এমন যদি নিয়ম হত নামাজ পড়তে হলে গোসল করতে হবে। কত ভাল হত। সব মসজিদে ওযুর বদলে গোসল করার ব্যবস্থা থাকতো ।
খুব গোসল করতে ইচ্ছা করছে।
বাসায় যাওয়ার সবচেয়ে ভাল ওয়েটা এখনও বের করা গেল না।
পড়িয়ে বের হলাম। ৯.০৯ । ওয়্যারলেস দিয়ে বের হলাম। বাস পাওয়া যাচ্ছে না। কোন বাস যায় এখান থেকে তাও বুঝতে পারছি না।
একটা সিগারেট দরকার। সমস্য হল টাকা শেষ। দুপুরের খাওয়াটা বিকলে খেলাম যাতে ক্ষিধে টা দেরী করে লাগে। খেতেই অনেক টাকা শেষ হয়ে গেল। একটা পিকআপ এ উঠতে পারলে ভাল হত। বাসায় যেতে অনেক দেরী হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৩২