ইরানে ভূপাতিত ইসরাইলি ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাইলটবিহীন গোয়েন্দা বিমান বা ড্রোনের ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইসলামি রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি।
রোববার আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ড্রোনটিকে বিধ্বস্ত করে আইআরজিসি। ইহুদিবাদী ইসরাইল রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এ ড্রোনটি ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনার আকাশে পাঠিয়েছিল। কিন্তু নাতাঞ্জের আকাশে ঢোকার আগেই আইআরজিসি এটিকে শনাক্ত করে ভূপাতিত করে।
রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই কুচক্রি পদক্ষেপে আবারো ইহুদিবাদী ইসরাইলের হঠকারি মানসিকতার প্রমাণ পাওয়া গেল। এর মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল নিজের কলঙ্কজনক অতীতকে আরো বেশি কালিমালিপ্ত করল। আইআরজিসি আরো বলেছে, ইরানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার সর্বোচ্চ অধিকার সংরক্ষণ করবে রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনী।
এর আগে, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আরকিউ-১৭০ মডেলের চালকবিহীন একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়লে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিট এটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। পরে দূর নিয়ন্ত্রণের সাহায্যে ড্রোনটি অক্ষত অবস্থায় মাটিতে নামিয়ে আনেন ইরানি বিজ্ঞানীরা।
এরপর ২০১২ সালেই ইরানি বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেন লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি ড্রোনটির প্রযুক্তি হস্তগত করেন তারা। সে ঘোষণার প্রায় দুই বছর পর চলতি বছরের ১১ মে এ প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন ড্রোনের মোড়ক উন্মোচন করে তেহরান।
২০১২ সালে যখন ইরানি বিজ্ঞানীরা জানান, তারা আরকিউ-১৭০ ড্রোনের প্রযুক্তি রপ্ত করেছেন তখন ওয়াশিংটন বলেছিল, ইরান মিথ্যা দাবি করছে। ওয়াশিংটনের সে দাবির জবাব দিতে ইরানি প্রকৌশলিরা আটক মার্কিন ড্রোনটি দিয়ে তোলা গোয়েন্দা ছবি প্রদর্শন করেন। ড্রোনটির পেটের নীচে রাখা শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়ে ইরান সীমান্ত থেকে আফগানিস্তানের ৪২০ কিলোমিটার ভেতরে কান্দাহার বিমান ঘাঁটির যে ছবি ও ভিডিও চিত্র তোলা হয়েছিল তা প্রদর্শন করেন ইরানি বিজ্ঞানীরা।
View this link