ফ্রান্সে আই এস এর হামলায় ১৩২ জন নিহত কয় দিন পুর্বে মিসরে রাশিয়ার যাত্রিবাহী বিমান ভূপাতিত হয়ে ২ শতাধিক যাত্রীর করুন মৃত্যু কোন দিকে যাচ্ছে এই পৃথিবী আমরা কি নিজেদের কে শেষ করে ফেলব ? আমরা সিরিয়া নিয়ে এখন আর ভাবি না কেননা আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি এই সিরিয়াকে ধ্বংস করতে ও শিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করতে আই এস সৃষ্টি করা হয়েছে ।
কারা এর পিছনে আছে কম বেশি আমরা সবাই জানি ।
আমেরিকা পুরো পৃথিবীকে শাষন করতে চাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাবহারের জন্য তালেবানকে আমেরিকা তৈরি করেছিল । টুইন টাওয়ার ধ্বংসের অজুহাতে তালেবান প্রতিহত করার নাম করে পুরো আফগানিস্হান ধ্বংস করেছে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে আমেরিকা কি প্রমান করতে পেরেছে তালেবানরা টুইন টাওয়ার ধ্বংস করেছে ?
আমাদের দেশে আই এস নাই আমরা সবাই জানি তবে কোন একটি মহল কৃত্রিম ভাবে আই এস সৃষ্টির নাটক সাজিয়ে বিসৃংখলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পরিকল্পনা করছে ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমেরিকা এ দেশ সৃষ্টি হোক সেটা চাই নি । সপ্তম নৌ বহর আসার পুর্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল এটা আমাদের চরম সৌভাগ্য নয়লে হয়ত স্বাধীনতার স্বাধ আমরা আদৌ পেতাম কিনা বা নয় মাস নয় ৯ যুগেও হয়তো এই দেশ স্বাধীন হত না । ইতিহাসই বলে দিবে কারা আমাদের বন্ধু বা শত্রু ।
রাশিয়াকে ধন্যবাদ পরে হলেও সিরিয়ায় আই এস দমনে প্রত্যেখ্য অংশ নিয়েছে । আই এস পুরো বিশ্বের ক্যান্সার এটা যত ধ্রুত সম্ভব এর প্রতিকার দরকার নয়লে এই ক্যান্সার সারা বিশ্বে তথা আমাদের দেশেও সংক্রমন ঘটাতে পারে । কেননা নগর পুরলে দেবালয় বাদ যায় না ।
আই এস ধ্বংস করতে হলে এর ব্লাড লাইন তথা এর অর্থ ও অস্ত্রের যোগান বন্ধ করতে হবে । আর এইগুলা করে মধ্যেপ্রাচ্যর কয়েকটা দেশ ও আমেরিকা । আমেরিকা তো কয়েকদিন পর পর বিমান থেকে আই এস কে অস্ত্র সাপ্লাই করে । আই এস গারি বহরকে এপাচি চপার দিয়ে নিরাপত্যা দেয় ।
সবাই আমার সাথে একমত হবে কিনা যানিনা আই এস এর চেয়ে বড় সন্ত্রাসী আমেরিকা । কেননা নিজেন স্বার্থে এরা সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে এবং সারা পৃথিবীকে তারা অস্ত্র ব্যাবসার গ্রাহক বানিয়ে রেখেছে । লিবিয়া আফগানিস্হান সিরিয়া ইরাক এই দেশ এর এই করুন অবস্হা একমাত্র আমেরিকার জন্য ।
মার্স ভাইরাস ইবোলা সহ অসংখ্য ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেয়ার পিছনে আমেরিকার হাত থাকতে পারে কেননা এর ঔষধ কিন্তু আমেরিকা ই বিক্রয় করবে ।
পৃথিবী হয়তো নতুন বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ।
চিনের সাথে উস্কানি রাশিয়ার প্রত্যেখ্য যুদ্ধে অংশগ্রহন ও ব্রিক্স ব্যংকের যাত্রা হয়তো আমেরিকার স্বার্থে আঘাত হানবে আর চিন ও রাশিয়া কখনো ছেড়ে কথা বলবে না । আর পৃথিবী পাবে নতুন এক বিশ্বযুদ্ধ । ধংস হবে পৃথিবী ।
নয়তো আমাদের আজীবন গিনিপিগ হয়ে বাস করতে হবে ।
আমাদের এই দেশের উপর যেন কারো কালো ছায়া না পরে । এই প্রত্যাশা করি ।
খান মো নাছির উদ্দিন সুমন
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১২