আজকালকার পেপারগুলোতে নারীদেরকে কেন্দ্র করে ''নিজেরও যত্ন নিন'' টাইপ আর্টিকেলগুলোতে এমনভাবে সন্তান নেয়া কিংবা মা হবার ব্যাপারটিকে উপস্থাপন করা হয় যেন বাচ্চা নেয়া পাপ,মা হওয়া পাপ,কোন মেয়ে মা হলে তার ফিগার রকেট লাঞ্চার মারা ভাঙ্গা বিল্ডিং,চেহারা জং এ ধরা লোহা এমন হয়ে যায়! নন অ্যাট্রাকশন। পুরাই নেগেটিভলি প্রেজেন্টেশন।
চাকরীজীবি নারীদের বাচ্চা নেয়াটা যেন পাপ। ক্যারিয়ার শেষ। উটকো ঝামেলা। মা হলে জীবন ''উপভোগ'' করা যায় না এমন কিছু। জীবনের অনেক রকমের স্বাধীনতা হারিয়ে বন্দি এক জীবন।
এসবের মধ্যে ফিগার আর ক্যারিয়ার ইস্যুটা ব্যাপক টানে নারীদের। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। কিন্তু ইদানীং কালের যারা ফিউচার মা হবে তাদের পায়ের নিচে ''নিজের রুপ যৌবন'' ধরে রাখো,বাচ্চারে লাথি মারো টাইপ স্লোগান চলে আসবে। শুনি, অনেক আধুনিক নারীরা এসব খুব ফলো করে চলেন।
নিজের যত্ন তো নিতেই হবে। অবশ্যই নিবেন। এক্ষেত্রে কেবল খোদ নারীই নয় বরং একজন পুরুষ বাবা হিসেবে, স্বামী হিসেবে কিংবা সন্তান হিসেবে বহু কিছুই করবার রয়েছে নারীর জন্যে। এবং সেসব যথাযথভাবে পালন করা ধর্মীয়, নৈতিক ও আইনগত দিক থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্যও বটে।
কিন্তু কেবলই রুপ যৌবন ফিগার আর ক্যারিয়ারকে এতটা হাইলাইটেড করে মা হতে নিরোৎসাহিত করা, প্রচন্ড রকমের সেলফিশ হতে উজ্জীবিত করা এসব কি!!
এসব কেমন টাইপের জার্নালিজম? এরা সোসাইটিকে কোথায় নিক্ষেপ করতে চায়?
'মাতৃত্ব' একজন নারী জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা। সন্মান। মর্যাদার প্রতীক। ইসলামে একে এতটাই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যে, পুরুষাও এখানটাই এসে মর্যাদায় পিছিয়ে গেছে। এই মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ত্যাগ স্বাীকার তো করতেই হবে। সেটি রুপ যৌবনই হোক,ক্যারিয়ারই হোক কিংবা স্বাধীনতার। একে এতটা নেগেটিভলি প্রেজেন্টেশনের মানেটা কি?? ওরা কি মা ছাড়া জন্ম নেয়া সন্তান?? নাকি সমাজটাকে পাশ্চাত্য স্টাইলে ঠেলে দেবার পাঁয়তারা?? অদ্ভুত মানসিকতা।