এদেশে ইংরেজি নিউ ইয়ারে মদ-বিয়ার খেয়ে, ইংলিশ-হিন্দি সং এর তালে তালে লম্ফঝম্ফ করে আনন্দফূর্তি করার এই নিয়মটা কারা চালু করেছে? কী কারণে এমন আনন্দ করতে হবে?
আছ্ছা,এই আমাদের অতি সংক্ষিপ্ত জীবন থেকে একটি বছর কমে যাওয়াতে,ক্ষয় হওয়াতে এতো ফূর্তির যৌক্তিকতাই বা কী! কমন সেন্স বলে,এতে আরও কষ্ট পাবার কথা। অনুতপ্ত হবার কথা। অনুশোচনায় জ্বলবার কথা। কিন্তু প্রাকটিসটা পুরাই উল্টো!
আমি আগেও বলেছি: 'বাঙ্গালি মুসলমানিত্ব' বড়ই আজব চিজ। অদ্ভুত ফেনমেনন। যেখানেই উৎসব বেহেল্লাপনা সেখানেই এদের উপস্থিতি এবং উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে। বাস্তবতা যাই হোক না কেন। ফূর্তি ইনজয়মেন্টই সবকিছু।এদের ধর্ম কর্ম চেতনা দেশপ্রেম সবই দিন নির্ভর। উৎসবকেন্দ্রিক।
এরা সারাবছর বাংলা ভাষাকে,সংস্কৃতিকে এবং সালকে উপেক্ষা করে,ভুলে থেকেও ঠিকই পহেলা বৈশাখে ‘বাঙ্গালিত্ব’ উদ্ধারে যারপরনাই তৎপরতা দেখবে। আবার এই এরাই থার্টি ফার্স্ট নাইটেও পুরাই ইংরেজি স্টাইলে হ্যাপি নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনেও মেতে থাকবে।
বাঙ্গালিত্ব,মুসলমানিত্ব এসব তখন হাওয়ায় মিঠাই কিংবা কর্পূরের ন্যায়! অস্তিত্বহীন। ফুরুৎ করে হাওয়ায় মিশে যায়। এখানেই তামাশার শেষ নয়। এইসব ফূর্তিবাজরাই আবার ঈদে মীলাদুন্নবী,শবে বরাত,শবে কদর,রমজান, মুহাররম কিংবা ঈদ এলে তাদের মুসলমানিত্ব,ধার্মিকতা দেখাতে আবারও মহাতৎপর হয়ে ওঠবে!
বাঙ্গালি যে সংকর জাতি। সে তো মিথ্যে নয় বাপু।
এরাই এর জ্বলজ্বলে প্রমাণ। দৃষ্টান্ত।